চার দিনব্যাপী হযরত শাহ্সূফী খাজাবাবা ফরিদপুরী’র মহা পবিত্র বিশ্ব ওরশ
শরীফ ১৮ ফেব্রুয়ারী শনিবার ভোর থেকে শুরু হয়েছে। শেরপুরের পাকুরিয়াস্থ
বিশ্বওলীর আবির্ভাব মঞ্জিলে এই ওরশ শরীফের আয়োজন করা হয়েছে। ২১
ফেব্রুয়ারী মঙ্গলবার খাজাবাবার রওজা শরীফ জিয়ারত ও আখেরী মুনাজাত
অনুষ্ঠিত হবে। এর মাধ্যমেই চারদিন ব্যাপী ওরশ শরীফের সমাপ্তি হবে।
ইতিমধ্যে ভক্তরা আসতে শুরু করেছেন।
দেশ বিদেশের কয়েক লাখ শান্তি ও কল্যাণকামী নারী পুরুষ আন্তর্জাতিক এ
মহামিলন মেলায় সমবেত হবেন বলে আশা করা হচ্ছে। ভিন্ন ধর্মের ভক্তরাও জড়ো
হতে শুরু করেছেন। তাদের জন্য করা হয়েছে আলাদা প্যান্ডেল।
বিশ্ব ওরশ শরীফ দেশ বিদেশে জাকের পার্টি ও শুভানুধ্যায়ীদের মাঝে ব্যাপক
উৎসাহ উদ্দীপনা সৃষ্টি করেছে। শেরপুর ও আশপাশের জেলার জনসাধারণের মাঝেও
অবারিত এ মহামিলন মেলা ব্যাপক উন্মাদনা তৈরি হচ্ছে।
খাজা এনায়েতপুরী তার আধ্যাত্মিক উত্তরাধিকারকে নিজ সান্নিধ্যে নিতে
তৎকালীন বৃটিশ আমলে পাকুরিয়ার বাড়িতে তশরীফ রেখেছিলেন। তখন তার বয়স ছিলো
মাত্র ১০ বছর। আপন মুর্শিদ তাকে সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুর দরবার শরীফে নিয়ে
যাওয়ার পরে, একটানা সুদীর্ঘ ৪০ বছর সর্বস্ব উজাড় করে ত্যাগ, তিতিক্ষা
সঙ্গী করে সুকঠিন খেদমতে নিজেকে বিলিয়ে দেন।
জাকের পার্টি চেয়ারম্যান পীরজাদা মোস্তফা আমীর ফয়সল মুজাদ্দেদী সমবেতদের
সাক্ষাৎ ও নসিহত দান করবেন।
অনুষ্ঠান সুষ্ঠুভাবে সম্পূর্ণ করার জন্য এলাকায় ব্যাপক নিরাপত্তার
ব্যবস্থা করা হয়েছে। কয়েক কিলোমিটার এলাকা জুড়ে শামিয়ানা, সুসজ্জিত তোরন,
দমকল, মেডিকেল ইউনিট ও হ্যালিপ্যাডের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা সুনিশ্চিতে আইনশৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনী এবং তাদের
সহযোগিতা দানে কয়েক হাজার নিরাপত্তা কর্মীর অংশগ্রহণ, আর্চওয়ে গেট,
হ্যান্ডহেল্ড মেটাল ডিটেক্টর ও পর্যাপ্ত সিসি টিভি ক্যামেরা স্থাপন করা
হয়েছে।
ওরশ শরীফের মূল টাওয়ারে উড়ছে বিশ্ব ওরশ শরীফের ঐতিহ্যবাহী ‘আল্লাহু
আকবার’ পতাকা। সব মিলিয়ে নান্দনিক আয়োজন এবং অনুসারী ও মেহমানদের
স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণের মহাস্রোতে অপরুপ ঐকতানে মুখরিত পাকুরিয়া।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন