কক্সবাজার শহরের কলাতলী হোটেল-মোটেল জোনের ‘সী আলিফ’ হোটেলের কক্ষ থেকে কন্যা শিশুসহ নারীর মরদেহ উদ্ধারের রহস্য উন্মোচন হয়েছে।
্স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে এবং ৮ মাস বয়সী মেয়েকে বালতির পানিতে চুবিয়ে হত্যা করেন জেবিন দে ওরফে দুলাল বিশ্বাস।
শনিবার (১৮ জানুয়ারি) বিকালে এক সংবাদ সম্মেলন করে এমনই তথ্য দিয়েছে পুলিশ।
এর আগে ঘটনার দিন শুক্রবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) রাতেই জেবিন কক্সবাজার থেকে পালিয়ে চট্টগ্রামের নতুন ব্রিজ এলাকায় অবস্থান করে। এসময় বাকলিয়া থানার পুলিশ ঘাতক জেবিন দেবকে আটক করে। পালানোর আগে দুই মেয়েকে বাঁশখালী গ্রামের বাড়িতে রেখে জেবিন চট্টগ্রাম গেলে পুলিশের হাতে আটক হয়।
কক্সবাজার সদর মডেল থানায় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ রফিকুল ইসলাম জানান,কক্সবাজারের ঘটনার পর অভিযুক্তকে আটক করতে নিকটবর্তী থানায় খবর পাঠায় পুলিশ। ওই খবরের প্রেক্ষিতে নতুন ব্রিজ এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়। আটকের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্ত্রীকে গলা টিপে শ্বাসরোধ করে এবং আট মাস বয়সী মেয়েকে হত্যার দায় স্বীকার করেন জেবিন দেব।
জিজ্ঞাসাবাদে জেবিন দেব স্বীকারোক্তি মুলক জবানবন্দিতে জানায়, তিনি একজন প্রবাসী। পারিবারিক ভাবে অসন্তোষ ছিল তার। তাদের সাংসারিক জীবনে কলহ লেগে ছিল এবং স্ত্রীকে তিনি পরকিয়ার সন্দেহ করতেন। তাই ছোট মেয়েকে নিয়ে সংসারের মধ্যে অশান্তি ও সম্পর্কের টানা পোড়ন ছিল। ফলে সে গত ৫ ফেব্রুয়ারি বিদেশ থেকে ফিরে আসে। তিনি বিদেশ থেকে আসার পর গত গত ৭ ফেব্রুয়ারি একবার কক্সবাজার এসে ঘুরে যায়। ওই সময় জেবিন দে তার স্ত্রী ও ছোট মেয়েকে হত্যা করার পরিকল্পনা করে। সে মোতাবেক ১৪ ফেব্রুয়ারি কক্সবাজারে এসে হোটেল সী আলিফে উঠেন এবং পরিকল্পনা মতো স্ত্রী ও শিশু কন্যাকে হত্যা করেন।
শুক্রবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) বিকাল সাড়ে ৩টায় কলাতলীর সী আলিফ নামের আবাসিক হোটেলের ৪১১ নম্বর কক্ষ থেকে মা-মেয়ের মরদেহ দুইটি উদ্ধার করে পুলিশ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন