উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান নিয়ে স্পেনের মাদ্রিদভিত্তিক শিক্ষা ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান ওয়েবমেট্রিক্স জরিপে বিশ্বের বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ৪ হাজার ৮২৯ তম রয়েছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়। গত বছর এ অবস্থান ছিল ৫ হাজার ২৪৯ তম।
সম্প্রতি বিশ্বের দুই শতাধিকেরও বেশি দেশের ৩১ হাজার উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় র্যাংকিং-২০২৩ (জানুয়ারি) প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে স্পেনের রাজধানী মাদ্রিদভিত্তিক শিক্ষা ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান ওয়েবমেট্রিক্স।
ওয়েবমেট্রিক্সের প্রতিবেদন অনুযায়ী, দেশসেরা শীর্ষ ১০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে প্রথম অবস্থানে রয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (বিশ্ব র্যাংকিং ৯৭৫), দ্বিতীয়- রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (বিশ্ব র্যাংকিং ১২১০), তৃতীয়- শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (বিশ্ব র্যাংকিং ১৩৬৫), চতুর্থ- বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বিশ্ব র্যাংকিং ১৪৩২), পঞ্চম- নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় (বিশ্ব র্যাংকিং ১৮২৫), ষষ্ঠ- জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (বিশ্ব র্যাংকিং ২০৬০), সপ্তম- ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় (বিশ্ব র্যাংকিং ২১২৯), অষ্টম- বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বিশ্ব র্যাংকিং ২৩০৯), নবম- ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি (বিশ্ব র্যাংকিং ২৪০৪), দশম- চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (বিশ্ব র্যাংকিং ২৪১৪)।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈন অনুভূতি ব্যাক্ত করে বলেন, আমি যোগদানের পর থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের রেটিং বৃদ্ধি এবং একটি অগ্রবর্তী প্রতিষ্ঠানে রুপ দিতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছি। এর মধ্যে শিক্ষার্থীদের বৃত্তি প্রদান, গবেষণায় প্রলুব্ধ করতে শিক্ষকদের এ্যাওয়ার্ড প্রদান, এছাড়াও গবেষণার সক্ষমতা বৃদ্ধিতে যত রকম সহযোগিতার প্রয়োজন তার সবটুকুই আমরা প্রদান করেছি। যার ফলাফল বিশ্ববিদ্যালয়ের এই অগ্রগতি। গত বছরে ৩১৬ এবং এ বছর ৪২০ ধাপ অগ্রগতি মূলত আমাদের পরিকল্পিত কর্মপন্থারই প্রতিফলন। বর্তমানে শিক্ষকদের প্রমোশন এবং নিয়োগেও আমরা হাই কোয়ালিটি জার্নালে প্রকাশিত গবেষণাকে বাধ্যতামূলক করেছি। যেটির মৌলিক উদ্দেশ্য হলো বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্ঞান সৃষ্টিতে অবদান নিশ্চিত করা।
একইসাথে আমি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি, সেসকল শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীদের প্রতি যারা আমার ভীষণকে আঁকড়ে ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম অর্জনে একনিষ্ঠ ভূমিকা রেখেছে। সবাইকে আমি ধন্যবাদ দিচ্ছি একইসাথে সবার প্রতি উদাত্ত আহ্বান করবো তারা যেন সামনের দিনগুলোতে এই ধারা অব্যাহত রাখে। এমন অগ্রগতি নিয়মিত রাখতে সকল সদস্যদের প্রতি আমার সাধ্যের মধ্যে সকল সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।
প্রসঙ্গত, এই র্যাংকিং তৈরিতে প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা পদ্ধতি, বৈজ্ঞানিক গবেষণার প্রভাব, নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবন ও সম্প্রসারণ, অর্থনৈতিক প্রাসঙ্গিকতা, সাম্প্রদায়িক সন্নিবেশ অর্থাৎ সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও পরিবেশগত ভূমিকা বিবেচনা করে ওয়েবমেট্রিক্স। ২০০৪ সাল থেকে ওয়েবমেট্রিক্স নিয়মিত বিশ্ববিদ্যালয়ের এ র্যাংকিং প্রকাশ করে আসছে। প্রতি বছর জানুয়ারি ও জুলাই মাসে তারা এটি প্রকাশ করে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন