শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মহানগর

চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় এই প্রজন্মকে প্রস্তুত হতে হবে: পলক

অনলাইন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩, ৮:৫৫ পিএম

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এমপি বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দক্ষ নেতৃত্বে এবং ডিজিটাল আর্কিটেক সজীব ওয়াজেদ জয়ের তত্ত্বাবধানে ও পরামর্শে প্রযুক্তির উদ্ভাবনী সংস্কৃতিতে এগিয়ে যাচ্ছে দেশ। এই সুযোগ গ্রহণ করে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় এই প্রজন্মকে প্রস্তুত হতে হবে।

প্রতিমন্ত্রী পলক আজ শনিবার নাটোরের সিংড়া গোল-ই-আফরোজ সরকারি কলেজ মাঠে দিনব্যাপী আইসিটি চাকরি উৎসবের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
উৎসবে সিংড়া উপজেলার ৮০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ৩ হাজার ৬১৪ জন শিক্ষার্থী তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খাতের চাকরি প্রার্থী এবং দেশের ২৮টি স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান চাকরিদাতা হিসেবে অংশগ্রহণ করে। এরমধ্যে সংক্ষিপ্ত তালিকায় অন্তর্ভূক্ত ১ হাজার ৩০০ জনের মধ্যে ২০ জনকে নিয়োগপত্র প্রদান করেন প্রতিমন্ত্রী।
উৎসবে চাকরি সহায়ক তথ্য-প্রযুক্তি ভিত্তিক পাঁচটি সেশনে দেশের উদ্যোক্তাগণ তাদের কার্যক্রম এবং সফলতার গল্প শোনান।
গতকাল একই স্থানে দিনব্যাপী সিংড়া আইসিটি ফ্রিল্যান্সিং ক্যাম্প-২০২৩ অনুষ্ঠিত হয়। এই ক্যাম্পে দেশের খ্যাতনামা ফ্রিল্যান্সাররা তাদের সফলতার অভিজ্ঞতা বিনিময় করেন।
প্রতিমন্ত্রী পলক বলেন, ২০৪১ সালের প্রযুক্তি নির্ভর মেধাবী উন্নত দেশ গড়তে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। তারুণ্যের অফুরান শক্তিতে প্রযুক্তি নির্ভর দক্ষ মানবসম্পদে পরিণত করে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করাই আমাদের লক্ষ্য। এই লক্ষ্য পূরণে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স, রোবটিক্স, সাইবার সিকিউরিটি এবং মাইক্রো প্রসেসর নিয়ে কাজ করছে দেশের প্রযুক্তি খাত। আমাদের পরিকল্পনা বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে শীর্ষ প্রযুক্তির দেশে পরিণত হবে বাংলাদেশ। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় আমরা বদ্ধপরিকর। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় তরুণ প্রজন্মকে শ্রম, মেধা সততার শক্তি নিয়ে দক্ষ হয়ে গড়ে উঠতে হবে। তাহলে সফলতা অনিবার্য।
পলক বলেন, বিগত ১৪ বছরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে দেশে অভুতপূর্ব উন্নয়ন সাধিত হয়েছে। এখন শহর আর গ্রাম, ধনী আর গরীব এবং নারী আর পুরুষের মধ্যে কোন ব্যবধান নেই। বিদ্যুৎ, যোগাযোগ আর দ্রুতগতির ইন্টারনেট সংযোগে গ্রামগুলোতে কর্মচাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। গ্রামে বসেই ফ্রিল্যান্সাররা বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। ‘হার পাওয়ার’ প্রকল্পের আওতায় ২৫ হাজার নারী উদ্যোক্তা সৃষ্টিতে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হচ্ছে। প্রশিক্ষণ শেষে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টিতে ২০ হাজার টাকা করে কর্ম সহায়ক অনুদান প্রদান করা হবে।
সকালে উৎসবের উদ্বোধন করেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব মো. শামসুল আরেফিন বলেন, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিশাল এক সামাজ্য। এই সামাজ্যের সাথে নতুন প্রজন্মের মেলবন্ধন তৈরী করে দেয়া হবে। এভাবে এই প্রজন্ম স্মার্ট হবে। গড়ে উঠবে স্মার্ট নাগরিক, স্মার্ট সরকার এবং স্মার্ট দেশ।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন