সারাদেশে ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে পালিত হয়েছে পবিত্র মেরাজের রজনী। গতকাল বাদ যোহর পবিত্র এই দিনটি উপলক্ষে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমসহ রাজধানীর বিভিন্ন মসজিদে আয়োজন করা হয়েছে বিশেষ দোয়া, মোনাজাতসহ ইসলামী আলোচনা অনুষ্ঠান।
ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা ইবাদত-বন্দেগির মধ্য দিয়ে মেরাজের পবিত্র রাত পালন করেছেন। আল্লাহর নৈকট্য লাভে এ রাতে নফল নামাজ, কোরআন তেলায়াত, তাসবিহ তাহলিল ও জিকির আসকার করেন মুসল্লিরা। পবিত্র শবে মেরাজ ১৪৪৪ হিজরী উদযাপন উপলক্ষ্যে বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদে আলোচনা সভা দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়েছে।
পবিত্র শবে মেরাজ ১৪৪৪ হিজরী উদযাপন উপলক্ষ্যে গতকাল শনিবার বাদ যোহর ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদে ‘পবিত্র শবে মেরাজ এর গুরুত্ব ও তাৎপর্য’ শীর্ষক আলোচনা সভা, দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়েছে।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন দ্বীনী দাওয়াত ও সংস্কৃতি বিভাগের পরিচালক মো. আনিছুর রহমান সরকার। আলোচনা করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগের চেয়ারম্যান ড. মো. আবদুল কাদির।
অনুষ্ঠান শেষে দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মো. এহসানুল হক। অনুষ্ঠানে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পরিচালকবৃন্দ, কর্মকর্তা-কর্মচারি ও সাধারন মুসল্লিগণ উপস্থিত ছিলেন।
লাইলাতুল মেরাজ বা মেরাজের রজনী, যা সচরাচর শবে মেরাজ হিসাবে আখ্যায়িত হয়, ইসলাম ধর্মমতে যে রাতে ইসলামের নবী মুহাম্মদের (সা.) ঐশ্বরিক উপায়ে ঊর্ধ্বাকাশে আরোহণ করেছিলেন এবং ¯্রষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন, এটি সেই রাত ছিল। ইসলামের ইতিহাস অনুযায়ী, হযরত মুহাম্মদের (সা.) নবুওয়াত প্রাপ্তির একাদশ বৎসরের (৬২০ খ্রিষ্টাব্দ) রজব মাসের ২৬ তারিখের দিবাগত রাতে হযরত জিব্রাঈল (আ.)-এর সঙ্গে পবিত্র কাবা হতে পবিত্র বায়তুল মুকাদ্দাস হয়ে সপ্তাকাশের উপর আরশে আজিমে আল্লাহ সুবহানাহু তাআলার দিদার লাভ করেন এবং পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের হুকুম নিয়ে দুনিয়াতে প্রত্যাবর্তন করেন। তিনি অবলোকন করেন সৃষ্টি জগতের সমস্ত কিছুর অপার রহস্য।
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম এর জীবনের সবচেয়ে আলোড়ন সৃষ্টিকারী ঘটনা হচ্ছে ‘মেরাজ’। মেরাজ ইসলামের ইতিহাসে এমনকি পুরা নবুওয়াতের ইতিহাসেও এক অবিস্মরণীয় ঘটনা। কারণ সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানব ও রাসূল হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম ছাড়া অন্যকোনো নবী এই পরম সৌভাগ্য লাভ করতে পারেননি। ইসলামে মেরাজের বিশেষ গুরুত্ব হচ্ছে, এই মেরাজের মাধ্যমেই ইসলাম ধর্মের নামাজ মুসলমানদের জন্য ফরজ নির্ধারণ করা হয় এবং দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের বিধান নির্দিষ্ট করা হয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন