শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

দু’দেশের বাণিজ্য বৈষম্য দূর করার আহ্বান

চিটাগাং চেম্বারে ভারতীয় বেঙ্গল চেম্বার প্রতিনিধি দল

চট্টগ্রাম ব্যুরো : | প্রকাশের সময় : ১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩, ১২:১৩ এএম

চিটাগাং চেম্বার কর্মকর্তাদের সাথে ভারতীয় বেঙ্গল চেম্বারের প্রতিনিধিদের এক মতবিনিময় সভায় দু’দেশের মধ্যে বাণিজ্য বৈষম্য দূর করার আহ্বান জানানো হয়েছে।
গতকাল শনিবার বেঙ্গল চেম্বারের সভাপতি সুবির চক্রবর্তীর নেতৃত্বে ১৬ সদস্যের বাণিজ্য প্রতিনিধিদল আগ্রাবাদ ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারস্থ বঙ্গবন্ধু কনফারেন্স হলে মতবিনিময় সভায় মিলিত হন। চিটাগাং চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলমের সভাপতিত্বে চেম্বারের প্রাক্তন সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার আলী আহমেদ, পরিচালক মাহফুজুল হক শাহ, উইম্যান চেম্বারের সিনিয়র সহ-সভাপতি আবিদা মোস্তফা, কর্ণফুলী শিপ বিল্ডার্সের এডভাইজর কনসালট্যান্ট ক্যাপ্টেন আমিরুল ইসলাম প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
চিটাগাং চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, ভৌগোলিক ও অর্থনৈতিকভাবে দু’দেশের মধ্যে অনেক সাদৃশ্য ও গভীর সর্ম্পক রয়েছে যা আমাদের ব্যবসায়িক সম্পর্ক সম্প্রসারণে ভূমিকা রাখবে। সেই জন্য আমাদের সড়ক, রেল ও বিমান যোগাযোগ বৃদ্ধি করা প্রয়োজন। আমাদের ফরেন ডিরেক্ট ইনভেস্টমেন্ট (এফডিআই) পলিসি অত্যন্ত লাভজনক। ত্রিপুরাকে ঘিরে আমাদের অর্থনৈতিক কর্মকা-কে আরো এগিয়ে নিতে পারলে উভয়দেশ লাভবান হবে। দু’দেশের মধ্যে অনেক বাণিজ্য বৈষম্য রয়েছে উল্লেখ করে ব্যবসায়ীদের যৌথ বিনিয়োগের মাধ্যমে এই বৈষম্য দূর করা সম্ভব। তিনি ভারতের বিনিয়োগকারীদেরকে বাংলাদেশের বৃহৎ শিল্পাঞ্চল মীরসরাই শিল্পনগরে বিনিয়োগ ও শিল্প কারখানা স্থাপনের আহ্বান জানান। বেঙ্গল চেম্বার সভাপতি সুবির চক্রবর্তী বলেন, চট্টগ্রাম বন্দর শুধু বাংলাদেশের গেটওয়ে না, এটা গেটওয়ে অব ইস্ট। তার সাথে ভারতের সেভেন সিস্টারসসহ পার্শ্ববর্তী অঞ্চলগুলোকে যুক্ত করে ইস্টার্ন রিজিওন কানেক্টিভিটি বৃদ্ধি করে উভয়দেশ লাভবান হতে পারে। এছাড়া চিটাগাং চেম্বার এবং বেঙ্গল চেম্বার যৌথভাবে একটা ইস্টার্ন রিজিওন নেটওয়ার্ক স্থাপনের লক্ষ্যে কাজ করতে পারে। পশ্চিমবঙ্গের ব্যবসায়ীরা বাংলাদেশসহ আশেপাশের দেশগুলোতে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে যৌথ বিনিয়োগে আগ্রহী। বাংলাদেশ এবং ভারতের অর্থনৈতিক কর্মকা- নদীর ধারে এবং সাগরতীর কেন্দ্রিক। তাই রিভার ক্রুজ, আর্টিফিসিয়াল ইন্টিলিজেন্স, লেদার প্রসেসিং, বিদ্যুৎ, নবায়ণযোগ্য জ্বালানী এবং স্বাস্থ্য খাতে বিনিয়োগের সম্ভাবনার কথা উল্লেখ করেন। এছাড়া বাংলাদেশের সাথে দীর্ঘমেয়াদী নেটওয়ার্কের ভিত্তিতে আসিয়ানভূক্ত দেশগুলোতে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বাড়াতে লুক-ইস্ট পলিসির সম্ভাবনা কথা তুলে ধরেন তিনি।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন