শেরপুরের পাকুরিয়ায় হযরত শাহ্সূফী খাজাবাবা ফরিদপুরী’র মহা পবিত্র বিশ্ব
ওরশ শরীফে ধেয়ে আসছে ভক্তরা। তাদের প্রাণপ্রিয় খাজাবাবার রওজা শরীফ
জিয়ারত ও আখেরী মুনাজাতে অংশ নিয়ে মনের মকসুদ পূর্ণ করে নিয়ে যাবেন।
আশির্বাদ নিয়ে নিবেন বর্তমান গদিনিশন পীর সাহেবের কাছ থেকে।
বিশ্ব ওলীর জন্মভূমি শেরপুরের পাকুরিয়া অভিমুখে সারাদেশের বিভিন্ন
প্রান্ত থেকে সড়ক মহাসড়কে শত শত গাড়ীর মিছিল। সকল জেলা ও মহানগরের
কাফেলার স্রোত তারাকান্দি, আমতলি, নাগপাড়া, খোয়ারপাড়া, শেখহাটি হয়ে
পূণ্যভুমি পাকুরিয়ায় বিশ্ব ওলীর আবির্ভাব মঞ্জিলে এসে মিলিত হচ্ছেন।
চার দিনব্যাপী হযরত শাহ্সূফী খাজাবাবা ফরিদপুরী’র মহা পবিত্র বিশ্ব ওরশ
শরীফ ১৮ ফেব্রুয়ারী শনিবার ভোর থেকে শুরু হয়ে আজ ১৯ ফেব্রুয়ারী রবিবার
দ্বিতীয় দিন চলছে। আয়োজকরা আশা করছেন এবার লাখ লাখ ভক্তরা সমবেত হবেন ওরশ
শরীফে। আগামীকাল সোমবার রাতে দেশ জাতি ভক্তদের উদ্দেশ্যে বায়ান করবেন
বিশ্ব ওলী কেবলাজান ছাহেবের মহান আধ্যাত্বিক উত্তরাধিকার এবং জাকের
পার্টি চেয়ারম্যান পীরজাদা মোস্তফা আমীর ফয়সল মুজাদ্দেদী।
ইতিমধ্যে বিশ্ব ওলী কেবলাজান ছাহেবের মহান আধ্যাত্বিক উত্তরাধিকার এবং
জাকের পার্টি চেয়ারম্যান পীরজাদা মোস্তফা আমীর ফয়সল মুজাদ্দেদী
হেলিকাপ্টার যোগে ওরশ শরীফে উপস্থিত হয়েছেন। বিশ্ব উরস শরীফের দ্বিতীয়
দিনে রবিবার সন্ধ্যা থেকে সমবেতদের দফায় দফায় সাক্ষাৎ দান করছেন।
ওয়াক্তিয়া নামাজের সাথে নফল ইবাদত বন্দেগী, তেলাওয়াতে কালামে পাক, দফায়
দফায় মিলাদ মাহফিল ও বিশেষ মুনাজাত, রাতের শেষ ভাগে আল্লাহ তায়ালার রহমত
কামনা ও বিশ্বনবী রাসুলে পাক (সা:) এর স্মরণ, মোরাকাবা মোশাহেদা, জেকের
আসকার ও ওয়াজ নসিহত অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
বিশ্ব ওলীর আবির্ভাব মঞ্জিল পাকুরিয়া পাক দরবার শরীফের চারপাশে কয়েক
কিলোমিটার এলাকা জুড়ে বিশাল বিশাল শামিয়ানা, সুসজ্জিত তোরন, গাড়ী
পার্কিং, দমকল ও মেডিকেল ইউনিট, হ্যালিপ্যাড, নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা
সুনিশ্চিতে আইনশৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনী এবং তাদের সহযোগিতাদানে কয়েক
হাজার নিরাপত্তাকর্মীর অংশগ্রহণ, আর্চওয়ে গেট, হ্যান্ডহেল্ড মেটাল
ডিটেক্টর ও পর্যাপ্ত সিসি টিভি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে।
আগামী ২১ ফেব্রুয়ারী মঙ্গলবার খাজাবাবার রওজা শরীফ জিয়ারত ও আখেরী
মুনাজাত অনুষ্ঠিত হবে। এর মাধ্যমেই চারদিন ব্যাপী ওরশ শরীফের সমাপ্তি
হবে। আশির্বাদ নিয়ে নিজ নিজ বাড়ী ফিরে যাবেন সারা দেশ থেকে আসা লাখো
ভক্তরা।
প্রসঙ্গত, খাজায়ে খাজেগান খাজা এনায়েতপুরী (কুঃছেঃআঃ) ছাহেব তার
আধ্যাত্মিক উত্তরাধিকারকে নিজ সান্নিধ্যে নিতে ততকালীন বৃটিশ আমলে
বিশ্বওলী কেবলাজান ছাহেবের এই পাকুরিয়ার বাড়ীতে তশরীফ রেখেছিলেন। তখন তার
বয়স মাত্র ১০ বছর। আপন মুর্শিদ তাকে সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুর দরবার শরীফে
নিয়ে যাওয়ার পরে একটানা সুদীর্ঘ ৪০ বছর সর্বস্ব উজাড় করে দৃষ্টান্ত বিরল
ত্যাগ, তিতিক্ষা সঙ্গী করে আপন মুর্শিদের সুকঠিন খেদমতে নিজেকে বিলিয়ে
দেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন