বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৮ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

৩ বছর যেতে না যেতেই কুবির ২ কোটি টাকার সড়কে ভাঙন-ফাটল

কুবি সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩, ৮:১৪ পিএম

প্রায় দুই কোটি টাকা ব্যয়ে করে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) অভ্যন্তরীণ আরসিসি সড়কটির নির্মাণের তিন বছর যেতে না যেতেই বেশ কয়েকটি স্থানে ভাঙন-ফাটল ধরেছে। নির্মাণ কাজ সম্পূর্ণ হওয়ার তিন বছর পূর্ণ হওয়ার পূর্বেই সড়কটিতে ভাঙন-ফাটল দেখা দেওয়ায় এর নির্মাণ কাজের মান এবং স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় সংশ্লিষ্টদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটক হতে প্রশাসনিক ভবন, গ্যারেজের সড়ক, গোল চত্তর পর্যন্ত সড়ক ৭ ইঞ্চি করে ঢালাই, গোল চত্বর হতে ক্যাফেটেরিয়া পর্যন্ত সড়ক ৬ ইঞ্চি করে ঢালাই এবং অবশিষ্ট শহীদ মিনার পর্যন্ত সড়ক ৫ ইঞ্চি ঢালাইয়ের মাধ্যমে ৮২৭ দশমিক৪৬ কিউবিক মিটার আরসিসি সড়ক নির্মাণ, ৩টি কালভার্ট , আরসিসি ও ব্রিকস ড্রেন, পূর্বের পরিবহন মাঠের পাশে বসার সিঁড়ি, সড়কের নীচে পাইপ স্থাপন এবং রাস্তার সাপোর্টিং গার্ডওয়াল নির্মাণের জন্য মোহাম্মদ ইউনুস এন্ড ব্রাদার্স (প্রা.) লিমিটেড নামক একটি কোম্পানীকে ১ কোটি ৯৪ লাখ ৭৮ হাজার ৭৭৬ টাকার কার্যাদেশ দেওয়া হয়। তবে সম্প্রতি সড়কটির বিভিন্ন স্থানে ছোট বড় ভাঙন-ফাটলের দেখা যায়। এরমধ্যে ক্যাফেটেরিয়ার পর থেকে শহীদ মিনার পর্যন্ত সড়কে
ভাঙন-ফাটলের পরিমাণ সবচেয়ে বেশি।

গেল ২০১৯ সালের শেষের দিকে প্রায় ২ কোটি টাকা ব্যয়ে অভ্যন্তরীণ সড়কটি বাস্তবায়ন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমরান কবির চৌধুরী। কিন্তু নির্মাণ শেষ হওয়ার কয়েক মাসের মাথায় রাস্তায় ভাঙন-ফাটলের দেখা দেয়। পরে বিষয়টি নিয়ে গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হলে সমালোচনার মুখে ভাঙ্গনের স্থানে ঢালাই দিয়ে রাস্তা মেরামত করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তমঞ্চ, কেন্দ্রীয় মসজিদ, শহীদ মিনার এবং ক্যাফেটেরিয়ারসহ বিভিন্ন স্থানে এ ভাঙন-ফাটলের দেখা দিয়েছে। কিছু কিছু জায়গায় রড বের হয়ে গেছে। এর আগেও এসব স্থানে ফাঁটল দেখা দিলে সংস্কার করা হয়। তবে সেটিও কাজেও আসেনি। এতে ভবিষ্যতে বহুমুখী সমস্যা দেখা দিতে পারে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

বিষয়টি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষার্থী বলেন, এ সড়ক আমাদের নিত্যনৈমিত্তিক চলাচলের পথ। সড়কের এমন অবস্থা যা আমাদের জন্য হুমকি। যেকোনো সময় বড় ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে পারি আমরা। এই সড়কে দিয়ে ক্যাম্পাসে দর্শনার্থীদের বাস আসে, বড় মালামালের ট্রাক ঢুকে। প্রশাসন যদি এ বিষয়ে কোন কার্যকরী পদক্ষেপ না নেয় আমাদের জন্য বড় দূর্ঘটনার কারণ হতে পারে এ সড়ক।

এ বিষয়ে প্রকৌশল এস. এম. শহিদুল হাসান বলেন, সড়ক নির্মাণ করার পর পর্যাপ্ত সময়ের আগে শিক্ষক ডরমিটরি, বঙ্গবন্ধু হল নির্মাণের যানবাহন এবং শিক্ষার্থী পরিবহন চলাচলের ফলে রাস্তায় ফাটল দেখা দিয়েছে। এখন যদি প্রশাসন রাস্তা সংস্কারের জন্য অর্থ প্রদান করে তাহলে আমরা সংস্কার করব।

বিষয়টি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির বলেন, এই বিষয়ে আমি কিছু বলতে পারব না৷

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন