নেছারাবাদে রোজাদার গৃহবধূর ঘরে ঢুকে শ্লীলতাহানীর চেষ্টা চালানোর অভিযোগে সোহাগ নামে এক লম্পট-কে জুতা পিটা করা হয়েছে। রোববার রাগে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের শালিশ বিচারে ওই লম্পট-কে জুতা পিটা সহ কান ধরে ওঠবাস করানো হয়। রোববার রাতে সমুদয়কাঠি ইউপি চেয়ারম্যান হুমাউন বেপারী ওই শালিস করেন। উপজেলার সমুদয়কাঠি ইউনিয়নের সেহাঙ্গল গ্রামের বুদ্ধিরবাজার এলাকায় ওই ঘটনা ঘটে। ওই লম্পট সোহাগ গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে।
জানাগেছে সেহাঙ্গল গ্রামের বুদ্ধিরবাজার এলাকার এক ভাঙ্গারী ব্যবসায়ী কাজের তাগিদে দিনের বেলা বাড়ির বাহিরে থাকেন। স্বামী বাড়ীতে না থাকার সুযোগে ওইদিন সোহাগ ঘরের মধ্যে প্রবেশ করেই গৃহবধুকে ঝাপটে ধরে। দরিদ্র গৃহবধূ জানান তিনি রোজা রেখেছিলেন। তার শরীরটা ভালো না থাকায় শুয়ে ছিলেন। আকষ্মিক এ ঘটনায় গৃহবধু আত্মরক্ষার্থে প্রানপন বাচার চেষ্টা করে ডাক চিৎকার দেন। অবস্থা বেগতিক দেখে সোহাগ পালিয়ে যায়।
এ বিষয় সমুদয়কাঠি ইউনিয়ন চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবির বলেন, ঘটনাটি রসিকতার ছলে হয়েছিল। পরে রাতে সোহাগকে জুতাপেটা করে ওই মহিলার পা ধরে মাফ চাওয়ানো হয়েছে।
এ বিষয় নেছারাবাদ ( স্বরপকাঠি) থানার ওসি আবির মোহাম্মদ হোসেন বলেন, ওই মহিলা অভিযোগ দিলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন