সরকারি চাকুরিজীবি হওয়া সত্বেও দুইটি উ˜েদ্যাক্তা সমিতির সভাপতি ও নিবন্ধন ছাড়া ডিজিটাল ব্যবসা করার অভিযোগ উঠেছে বঙ্গবন্ধু ডাঙ্গিরহাট সরকারি কলেজের প্রভাষক মো.সাইফুল্যাহর বিরুদ্ধে।সরকারের অনুমোদন ছাড়াই তিনি ব্যবসা ও সংগঠনে জড়াচ্ছেন, যা সরকারি কর্মচারী (আচরণ) বিধিমালা ১৯৭৯–এর সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। বিধিমালার ১৭ নম্বর ধারায় বলা আছে, কোনো সরকারি কর্মচারী সরকারের অনুমোদন ছাড়া, সরকারি কাজ ছাড়া অন্য কোনো ব্যবসায় জড়িত হতে পারবেন না। অন্য কোনো চাকরি বা কাজ গ্রহণ করতে পারবেন না। পরিবারের সদস্য অর্থাৎ স্ত্রী–সন্তানও ব্যবসা করতে পারবেন না।কিন্তু সরকারি কলেজের এই প্রভাষক কিভাবে দুইটি সংগঠনের সভাপতি ও অনলাইনে স্পাইরুলিনা পাউডার বিক্রি করছেন প্রশ্ন স্থানীয়দের।
জানা যায়,বঙ্গবন্ধু ডাঙ্গিরহাট সরকারি কলেজের প্রভাষক মো.সাইফুল্যাহ বাংলাদেশ নারী ও যুব উ˜েদ্যাক্তা ফোরাম বিসিক পঞ্চগড়ের সভাপতি একই সাথে জাতীয় ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প সমিতি (নাসিব) সভাপতি পঞ্চগড় জেলা বিসিক। এছাড়াও তিনি ফেসবুকে পেইজ খুলে ( ঢ়ধহপযধ শধহড়হ) বিক্রি করছেন স্পাইরুলিনা পাউডার যার কোন লাইসেন্স নাই।এতে প্রতারণা করে হাতিয়ে নিচ্ছেন মানুষের হাজার হাজার টাকা।স্পাইরুলিনা পাউডারের মান নিয়েও উঠেছে নানা কথা।
সরকারি চাকুরিজীবি সাইফুল্যাহ আটোয়ারী উপজেলার রাধানগর এলাকার মৃত খলিলুর রহমানের ছেলে। বর্তমানে তিনি জেলা শহরের ইসলামবাগ এলাকার একটি ভাড়া বাসা থেকে স্পাইরুলিনা পাউডার তৈরি ও বিক্রয় কার্যক্রম করছে।বিভিন্ন জেলায় পাঠাচ্ছেন অনলাইনের মাধ্যমে।
এ বিষয়ে সরকারি কলেজের প্রভাষক মো. সাইফুল্যাহ মুঠোফোনে জানান,যেহেতু অলাভজনক সংগঠন সেখানে থাকা যায়,আর স্পাইরুলিনা সুপার ফুডের বিষয়ে জানান ক্ষুদ্র উ˜েদ্যাক্তা হিসেবে যেটা প্রয়োজন, ট্রেড লাইসেন্স সেটা আছে।
বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ পঞ্চগড়ের মাহমুদুল কবির জানান,স্পাইরুলিনা সামুদ্রিক শৈবাল থেকে উৎপন্ন করা হয়, টেবলেট,ক্যাপসুল ও পাউডার আকারে। এটা ঔষধ প্রশাসনের বিষয় তাদের কাছ থেকে লাইসেন্স নিতে হবে।
ঔষধ প্রশাসন ঠাকুরগাঁও ও পঞ্চগড় জেলা কার্যালয়ের ঔষধ তত্বাবধায়ক মো.জাহিদুল ইসলাম বলেন,স্পাইরুলিনা যদি ঔষধ হয় তাহলে অবশ্যই লাইসেন্স লাগবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন