বুধবার, ২২ মে ২০২৪, ০৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৩ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

নোয়াখালী অনাবৃষ্টিতে হতাশায় কৃষক

নোয়াখালী জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩, ৬:৪৩ পিএম

প্রায় তিন মাস সময় অবদি নোয়াখালী জেলায় বৃষ্টি না হওয়ায় প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে এখানকার নানা ফসল উৎপাদন। প্রান্তিক চাষীরা আছে চরম হতাশায়।

পুকুর, খাল,নদী -নালা ক্রমাগত শুকিয়ে পানি শূন্য হবার শংকায় আছে এজনপদবাসী।

চলতি মৌসুমে ইরি-বরো চাষ এবং নানা ধরনের রবি-খরিপ ফসল উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সংশয় দেখা দিয়েছে জেলার সবকটি উপজেলার কৃষকদের মাঝে।

অনাকাঙ্ক্ষিত বিদ্যুৎ বিভ্রাট এবং অসহনীয় লোড শেডিংএ জনভোগান্তি বেড়েই চলেছে।

ফাগুনের তাপদাহে পুড়ছে সব। ধুলাবালির আক্রোশে জ্বর,সর্দি-কাশি,ডায়রিয়া,আমাশয় রোগ দেখা দিয়েছে জেলার ঘরে-ঘরে।এসব রোগে আক্রান্ত বেশি হচ্ছে শিশু এবং বৃদ্ধ।

দীর্ঘ সময় বৃষ্টি না হওয়ায় নানাধরণের পোকামাকড়ে আক্রান্ত হচ্ছে, তরমুজসহ নানা খরিপ জাতের ফসল।

সুবর্ণচরের তরমুজ চাষী আবদুল্লাহ বলেন,বৃষ্টি না হলে শুধু সেচ দিয়ে কুলিয়ে উঠতে পারবো না।ইরি-বরো এবং তরমুজ বাংগি চাষে অনেক টাকা খরচ করে এখন হতাশায় আছি।

একই ধরনের কথা বলেছেন সদর উপজেলাসহ অন্যান্য এলাকার ভুক্তভোগি কৃষকগণ।

নোয়াখালী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোঃ শহিদুল হক দাবি করে বলেন,বৃষ্টি না হলেও সমস্যা হবে না। কৃষকরা সেচ দিতে পারছে,বিদ্যুতের সমস্যাও তেমন নেই,উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রাও অর্জিত হবে বলে একর্মকর্তা দাবি করেছেন।

নোয়াখালী আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত আবহাওয়া অফিসার মামুনুর রশীদ বলেন,এ মাসে সামান্য পরিমাণ বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস আছে।আকাশে মেঘ ও বৃষ্টি উঁকিঝুঁকি মারছে, এখনও আসছেনা, তাই কৃষকদের মনে উদ্বেগ আছে।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন