যশোর জেলা শ্রমিক লীগের একাংশের আন্দোলনের মুখে আগামী ২৫ ফেব্রুয়ারির সম্মেলন স্থগিত করা হয়েছে। জাতীয় শ্রমিক লীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি নূর কুতুব আলম মান্নান স্বাক্ষরিত এক পত্রে এই সম্মেলন স্থগিত করা হয়। গত ১৭ ফেব্রুয়ারি স্বাক্ষরিত পত্রে তিনি এই সম্মেলন স্থগিত করলেও ২০ ফেব্রুয়ারি পত্রটি হাতে পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন জেলা শ্রমিক লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জবেদ আলী।
তিনি জানান, আগামী ২৫ ফেব্রুয়ারি যশোর জেলা শ্রমিক লীগের সম্মেলনের জন্য কেন্দ্র থেকে চিঠি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু কাউন্সিলদের তালিকা না থাকাসহ বেশ কিছু জঠিলতা থাকায় এই সম্মেলন বাতিলের দাবিতে আন্দোলন করেন শ্রমিক লীগের নেতাকর্মীরা। শন্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখতে ২৫ তারিখের সম্মেলন কেন্দ্র থেকে স্থগিত করা হয়েছে।
সম্মেলন স্থগিতের চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘সম্মেলনকে কেন্দ্র করে স্থানীয় নেতৃবৃন্দের মধ্যে বিভাজন প্রতিবাদ সভা ও বিক্ষোভ মিছিলের মাধ্যমে মুখোমুখী অবস্থানের রূপ নিয়েছে। যশোরে সংঘাতময় পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে মর্মে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও স্থানীয় পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ ইতিমধ্যে কেন্দ্রের নজরে এসেছে। সংঘাতময় পরিস্থিতি এড়ানো ও আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ভোটের মাঠ সুষ্ঠু ও স্থীতিশীল রাখতে জাতীয় শ্রমিক লীগের কেন্দ্রীয় সিনিয়র নেতৃবৃন্দের সাথে আলোচনা সাপেক্ষে যশোর জেলা শাখার আগামী ২৫ ফেব্রুয়ারির সম্মেলন স্থগিত করা হলো। পরিবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত এই পত্রের কার্যকারিতা বলবৎ থাকবে।’
দলীয় সূত্রে জানা যায়, ২৫ ফেব্রুয়ারি জেলা শ্রমিক লীগের সম্মেলনের তারিখ নির্ধারণ করা হলেও কাউন্সিলরের তালিকা তৈরি করা হয়নি। জেলা শ্রমিক লীগের বিবাদমান দ্বন্দ্বের কারণে প্রতিটি উপজেলায় শ্রমিক লীগের একাধিক কমিটি রয়েছে। যশোর জেলা শাখাতেও সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক দুইজন। একারণে এক পক্ষ সম্মেলনের জন্য তারিখ নিয়ে আসলেও অপর পক্ষ আন্দোলনে নামে। তবে শেষ পর্যন্ত সেই সম্মেলন স্থগিত করা হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন