রোববার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মহানগর

শহর এলাকায় মোটরসাইকেলের গতি ৩০ কিমি বেঁধে দেওয়ার প্রস্তাব

অনলাইন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩, ১০:৪৯ এএম

দেশে সড়ক দুর্ঘটনায় সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে মোটরসাইকেল। বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির পরিসংখ্যান অনুযায়ী, মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় হতাহতের সংখ্যাও বেশি। সড়কে দুর্ঘটনা কমাতে মোটরসাইকেল চলাচল নীতিমালা করতে যাচ্ছে সরকার। ইতোমধ্যে একটি খসড়া নীতিমালাও তৈরি করেছে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ।

খসড়া নীতিমালায়, ঢাকাসহ শহরের ভেতরে মোটরসাইকেলের সর্বোচ্চ গতি ৩০ কিলোমিটার বেঁধে দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে। মহাসড়কে ১২৫ এর কম সিসির (ইঞ্জিনক্ষমতা) মোটরসাইকেল চলাচল করতে পারবে না। পাশাপাশি পেছনে আরোহী নিয়ে মহাসড়কে মোটরসাইকেল চালানো যাবে না। আর রাইড শেয়ারিংয়ের মোটরসাইকেলের চালকের পোশাক ও হেলমেটের রং নির্ধারণ করে দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে এ নীতিমালায়। সংশি্লষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

এ খসড়া নীতিমালা তৈরি করেছে সড়ক পরিবহণ ও মহাসড়ক বিভাগের ৯ সদস্যের একটি কমিটি। এ কমিটির প্রধান হচ্ছেন এ বিভাগের যুগ্ম সচিব মো. আনিসুর রহমান। কমিটিতে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ), বাংলাদেশ প্রকেৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট), পুলিশ এবং সড়ক ও জনপথ (সওজ) অধিদপ্তরের প্রতিনিধিরা রয়েছেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে মো. আনিসুর রহমান বলেন, আমরা একটি নীতিমালার খসড়া তৈরি করেছি। ওই নীতিমালা নিয়ে স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে বৈঠক হবে। যেহেতু এটি নীতি-নির্ধারণী কিছু বিষয় রয়েছে তাই তাদের মতামত নিয়ে মন্ত্রণালয় তা চূড়ান্ত করবে।

নীতিমালা বাস্তবায়ন হলে সড়কে দুর্ঘটনা কমবে বলে মনে করেন বুয়েটের অ্যাক্সিডেন্ট রিসার্চ ইন্সটিটিউটের সহকারি অধ্যাপক কাজী মো. সাইফুন নেওয়াজ। একইসঙ্গে নীতিমালা বাস্তবায়নের ওপরও জোর দেন তিনি।

জানা গেছে, সড়কে দুর্ঘটনার সংখ্যা কমাতে মোটরসাইকেল চলাচলে বেশ কিছু বিধি-নিষেধ আরোপ করার প্রস্তাব করা হয়েছে খসড়া এ নীতিমালায়। বিদ্যমান কয়েকটি আইন, বিধি ও নীতিমালার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে এটি তৈরি করা হয়েছে। এতে প্রস্তাব করা হয়েছে, ঈদ বা দুর্গাপূজার মতো উত্সব বা পার্বণকালীন সময়ে ১০ দিন জাতীয় ও আঞ্চলিক মহাসড়কে মোটরসাইকেল চলতে পারবে না।

যেকোনো সড়কে গর্ভবতী নারী, বয়স্ক ব্যক্তি ও ১২ বছরের কম বয়সী শিশুদের মোটরসাইকেলের আরোহী হিসেবে নেওয়া যাবে না। ড্রাইভিং লাইসেন্স ছাড়া কোনো ব্যক্তির কাছে মোটরসাইকেল বিক্রি নিষিদ্ধ করার কথা বলা হয়েছে। আর নিবন্ধন সম্পন্ন হওয়ার আগে ক্রেতার কাছে মোটরসাইকেল হস্তান্তর করা যাবে না। অর্থাৎ, ক্রেতার হাতে মোটরসাইকেল যাওয়ার আগেই লাইসেন্স নিশ্চিত করতে হবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন