নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহ্মুদ চৌধুরী এম.পি বলেছেন,যত দিন শেখ হাসিনার হাতে দেশ, পথ হারাবেনা বাংলাদেশ। এটা কোন শ্লোগান নয়, এটা হচ্ছে মানুষের বিশ্বাস এবং অনুভ‚তি। মানুষ যেনে গেছে শেখ হাসিনা ই পারে একটি স্মার্ট ও উন্নত বাংলাদেশ গড়তে। বাংলাদেশ পৃথিবীতে উন্নয়নের রোল মোডেল। বাংলাদেশের শতভাগ শিশু স্কুলে যায়। বাংলাদেশ খাদ্যে সয়ংসম্পুর্নতা অর্জন করেছে।বাংলাদেশের মানুষ বস্ত্রহীন ও গৃহহীন থাকেনা। বাংলাদেশ সাবলম্বি একটি দেশ। আমরা যাদের সাথে যুদ্ধ করে এদেশ স্বাধীন করেছি সেই পাকিস্তানের অবস্থা কি। পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী বলেছেন,পাকিস্তান দেউলিয়া হয়ে গেছে। এই পাকিস্তান দেউলিয়া হওয়ার মধ্যদিয়ে প্রমান করে ভাষা আন্দোলনসহ মহান মুক্তিযুদ্ধে সময় মা বোনদের আত্মত্যাগ ও যারা জীবন দিয়েছেন তাদের রক্ত বৃথা যায় নাই। সেই রক্ত আজকে মানুষের অধিকার আদায়ে ও শান্তি প্রতিষ্ঠায় সত্য প্রমানিত হয়েছে। ৭৫ এর ১৫ আগষ্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে সপরিবারে হত্যার পর জিয়উর রহমান, এরশাদ, খালেদা জিয়ারা পাকিস্তানের ভাব ধারায় এ দেশ পরিচালনা করার চেষ্টা করেছিল। ওইভাবে দেশ চলতে থাকলে এই বাংলাদেশও পাকিস্তানেরমত দেউলিয়া হয়ে যেত। পাকিস্তানের ভাব ধারায় চলা ব্যাক্তিদের শহিদ মিনারে এসে সম্মান দেখানো ও মায়া কান্না করা মানায় না। কারণ তারা এদেশের কখনো কল্যাণ চায় নাই। আজ শেখ হাসিনার হাতে দেশ আছে বলেই বঙ্গবন্ধুর আদর্শে ভাষা আন্দোলনের চেতনা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বাংলাদেশ আজ বিশ্ব দরবারে মাথা উঁচু করে দাড়িয়ে আছে। আমরা আজ গর্ব করে বলতে পারি আমরা কাংখিত জায়গায় পৌঁছে গেছি। শেখ হাসিনার সরকার আমলেই আমাদের এই বাংলা ভাষা আন্তর্জাতিক মার্তৃভাষা হিসাবে স্বীকৃতি পেয়েছে। এই শহিদ মিনারে দাড়িয়ে আমাদের অঙ্গীকার হোক, ভাষা শহিদদের চেতনা এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বঙ্গবন্ধুর আদর্শের পথে আমরা এগিয়ে যাব।
মঙ্গলবার সকালে দিনাজপুরের বিরল কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার চত্বরে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে মহান একুশে ফেব্রæয়ারি শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মার্তৃভাষা দিবস উদ্যাপন উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আলোচনা সভায় ইউএনও আফছানা কাওছারের সভাপতিতে এবং ইউআরসি মোস্তাফিজুর রহমানের সঞ্চালোনায় বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান একেএম মোস্তাফিজুর রহমান বাবু, উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও পৌর মেয়র আলহাজ্ব সবুজার সিদ্দিক সাগর, সাধারণ সম্পাদক রমাকান্ত রায়, যুগ্মসাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের সদস্য মোশারফ হোসেন, বিরল মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ সুফিয়া নাহার মঞ্জু ও থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রেজাউল হাসান রেজা। প্রধান অতিথি এর আগে বিরল উপজেলা আওয়ামীলীগের আয়োজনে একুশের প্রভাতফেরিতে অংশগ্রহন করেন এবং বিরল কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পন করেন এবং পরে তিনি বিরল থানা পরিদর্শণ ও বিরল উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি আব্দুল মালেক মাষ্টারের কন্যা জান্নাতুন ফেরদৌস জান্নাতের মৃত্যুতে তার শাহাপাড়াস্থ বাড়ীতে উপস্থিত হয়ে গভীর শোক প্রকাশ করে ও সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন