মহান শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের কর্মসূচিকে ঘিরে ল²ীপুরের রামগতিতে বিএনপির দু’গ্রæপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার সকালে উপজেলার রামগতি বাজারে বিএনপির সাবেক সাংসদ আশ্রাফ উদ্দিন নিজান গ্রæপ এবং সাবেক বিএনপি নেতা শামীম-বাচ্চু গ্রæপের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। দফায় দফায় হওয়া এ সংঘর্ষের ঘটনায় উভয়পক্ষের অন্তত ২০ নেতাকর্মী আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। আহতদের মধ্যে চরগাজী ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলামকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে এবং যুবদল নেতা মো. জুয়েল ও শ্রমিক দল নেতা মো. ছালাউদ্দিনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যদের স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
জানা গেছে, উপজেলা বিএনপির কমিটি গঠনসহ সাংগঠনিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিএনপি দলীয় সাবেক সংসদ সদস্য আশ্রাফ উদ্দিন নিজানের অনুসারীদের সঙ্গে সাবেক বিএনপি নেতা মুনীর চৌধুরী শামীম ও মীর আক্তার হোসেন বাচ্চুর অনুসারীদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। মহান শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে সোমবার রাত ১২টায় শামীম-বাচ্চু নেতৃত্বে বিএনপির ব্যানের শহীদ মিনারে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করা হয়। ওই কর্মসূচি থেকে ফেরার পথে নিজান গ্রæপের নেতাকর্মীরা শ্রমিক দল নেতা সেলিম ও যুবদল নেতা রাকিবের ওপর হামলা করে। এর জের ধরে মঙ্গলবার সকালে উভয় গ্রæপের লোকজন রামগতি বানি ভবানি কামেশ^রি পাইলট উচ্চবিদ্যালয়ের শহিদ মিনারে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করতে গেলে হট্টগোল শুরু হয়। এর একপর্যায়ে উভয়পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়লে দু’পক্ষের ২০ নেতাকর্মী আহত হন।
সাবেক বিএনপি নেতা মীর আক্তার হোসেন বাচ্চু জানান, কোনো প্রকার উস্কানী ছাড়াই নিজান গ্রæপের লোকেরা হামলা চালিয়ে জুয়েল, ছালাউদ্দিন, আলাউদ্দিন, সেলিম ও রাকিবসহ ১১ নেতাকর্মীকে আহত করেছেন। পরে তাঁদেরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
অপরদিকে নিজান গ্রæপের নেতৃত্ব দেওয়া উপজেলা বিএনপির আহŸায়ক জামাল উদ্দিন জানান, মহান শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নে শহিদ মিনারে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ ও প্রভাতফেরীর আয়োজন করা হয়। উপজেলার রামগতি বাজারে চরগাজী ও বড়খেরী ইউনিয়ন বিএনপি ওই কর্মসূচি পালন করতে গেলে শামীম-বাচ্চু গ্রæপের লোকেরা অতর্কিত হামলা করে। এতে চরগাজী ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম, চরগাজী ইউনিয়ন যুবদল সভাপতি নুরুল আমিন নোমান, সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুর রহমান, ছাত্রদল নেতা আরিফ, হৃদয়, নোমান, ফরহাদ ও ইসমাইলসহ নয়জন নেতাকর্মী আহত হন। এ ব্যাপারে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে তিনি জানান।
রামগতি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আলমগীর হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক রয়েছে। তবে, এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো পক্ষ অভিযোগ দায়ের করেননি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থাগ্রহণ করা হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন