শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ০৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ০৯ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

সরিষাবাড়ীতে শহীদ মিনারে জুতা পায়ে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ ফুলের তোড়া নিয়ে কাড়াকাড়ি সর্বস্তরের জন সাধারনের মাঝে চাপা ক্ষোভ

সরিষাবাড়ী (জামালপুর) সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩, ৭:৪৬ পিএম

জামালপুরের সরিষাবাডীতে উপজেলা প্রশাসনের অব্যবস্থাপনার কারণে শিশুরা জুতা পায়ে শহীদ মিনারে দৌডাদৌডী ও জুতা পায়ে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ এবং পুস্পস্তবক কাড়াকাড়ির ঘটনা ঘটেছে। এই নিয়ে মুক্তিযোদ্ধারা,রাজনৈতিক এবং সচেতন মহল সহ সবার মনে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে। ২১ ফেব্রুয়ারী সকালে জুতা পায়ে শহীদ মিনারে দৌডাদৌডী ও শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ এবং পুস্পস্তবক কাড়াকাড়ির একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে উপজেলা জুড়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। সারা দেশের ন্যায় মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস যথাযোগ্য মর্যাদায় দিবসটি পালনের জন্য সরকারি বেসরকারি ,রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের ব্যক্তিবর্গসহ সর্বস্তরের মানুষ প্রভাত ফেরীতে স্বতঃস্ফূর্তভাবে সকল ভাষা সৈনিক ও ভাষার শহীদদের প্রতি পৌর এলাকার গণ ময়দান মাঠে শহীদ মিনারে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করেন। এরপরে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে গণ ময়দান মাঠে আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান চলাকালীন সময়ে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা শহীদদের প্রতি অর্পিত শ্রদ্ধাঞ্জলি কাডাকাডী করে নিয়ে যায়। এসময় বিষয়টি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা গিয়াস পাঠানের নজরে পড়লে পুলিশ প্রশাসনকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বলেন। পরে শহীদ মিনার হতে তুলে নিয়ে যাওয়া শ্রদ্ধাঞ্জলিগুলো উদ্ধার করে শহীদ মিনারে রেখে দেওয়া হয়।

সরিষাবাড়ী সরকারী পাইলট গার্লস স্কুল এন্ড কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ আ: রউফ জানান, শুধু দু:খ প্রকাশ করলে কি হয় ? নিশ্চয়ই কাওকে বা কোন কমিটিকে দায়িত্ব দেওয়া উচিৎ ছিল যে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক। শহীদ মিনার এবং স্মৃতি সৌধের পবিত্রতা রক্ষা করা এটা প্রশাসনসহ সর্বস্তরের জনতার দায়িত্ব। নইলে জাতি বিবেকের কাছে অপরাধী থাকবে। মুঠোফোনে সরিষাবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ মুহাম্মদ মহব্বত কবীর জানান,ফুল কাড়াকাড়ি দেখে পুলিশ সাথে সাথেই ব্যবস্থা নিয়েছে এবং পুস্পস্তবক উদ্ধার করে শহীদ মিনারে রাখা হয়।
এ বিষয়ে সরিষাবাডী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা গিয়াস উদ্দিন পাঠান বলেন, আমাদের আগামী প্রজন্মকে শহীদ মিনার সম্পর্কে অবগত করা দায়িত্ব ও কর্তব্য। প্রতিটি পরিবার হতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে শিখাতে হবে শহীদ মিনার কি ? কিভাবে শহীদ মিনারের উঠতে হয় এবং শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি জানাতে হয়। তবে বিষয়টি একটি দুঃখজনক এবং বিচ্ছিন্ন ঘটনা বলে জানিয়েছেন সরিষাবাড়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার উপমা ফারিসা।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন