পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপন করা হয়েছে শহীদ ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। মঙ্গলবার রাত ১২.০১ মিনিটে উপজেলা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ এবং ১মিনিট নিরবতা ও শহীদদের শরণে মোনাজাত করা হয়।এর আগে প্রশাসন দিবসটি উপলক্ষে তেঁতুলিয়া উপজেলা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারটি প্রায় ৪০ টি ভাষা অক্ষর অঙ্কন করে সাজানো হয়েছে।এ নিয়ে শিশু ও বয়স্ক মানুষের মাঝে বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায়,তেঁতুলিয়া উপজেলা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের তিনটি কলামে অ,আ,ক, খ,অ,ই,ঈ,উ,১,২। বাকী আটটি কলামে রয়েছে আরবি,মারাঠি,চেইনিজ,বার্মিজ,তামিল,তেলেগু,নেপালি,পাঞ্জাবি, কন্নড়,ওড়িষা,জাপানি,কোরিয়ান,লাও,হিব্রু,গ্রীকসহ একাধিক ভাষা অক্ষর অঙ্কিত।সানোয়ার,হিমু,আশাসহ একাধিক শিশু, কিশোর,শিক্ষার্থীরা জানায়,বাংলা ভাষার অক্ষরতো বুঝতে পারছি কিন্তু পাশাপাশি বিদেশি ভাষার অক্ষর গুলো দেখে কিছুই বুঝতে পারছি না।এছাড়াও এক কিশোরকে বিদেশি ভাষার অঙ্কিত অক্ষরের উপর হাত দিয়ে মনোযোগ সহকারে দেখছে,পাশে আরো কয়েকজন শিশুও।
তিরনইহাট এলাকা থেকে একাদশের শিক্ষার্থী শাহনাজ জানান,এর আগেও একুশে ফেব্রুয়ারিতে ফুল দিয়েছি কিন্তু ভিন্ন দেশের ভাষা অক্ষর কখনো শহীদ মিনারে চোখে পড়েনি।প্রতিনিয়ত আমরা অ,আ, ক,খ দেখেছি।এবারের বিষয়টা একটু ভিন্ন রকমের।
বীরপ্রতিক আব্দুর মান্নান বিদেশি ভাষা অক্ষর অঙ্কিত শহীদ মিনারের বিষয় বলেন, যারা অন্য ভাষা অক্ষর ব্যবহার করেছে তারাই ভাল জানেন।
এসময় উপজেলা চেয়ারম্যান কাজী মাহমুদুর রহমান ডাবলু, নির্বাহী অফিসার সোহাগ চন্দ্র সাহা,ভাইস চেয়ারম্যান ইউসুব আলীসহ,মুক্তিযোদ্ধা,সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাবৃন্দ,রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী শিক্ষক,শিক্ষার্থীরা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
এ বিষয়ে তেঁতুলিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার সোহাগ চন্দ্র সাহা মুঠোফোনে জানান,আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা বাংলা ভাষার পাশাপাশি সকল দেশের ভাষার প্রতি শ্রদ্ধা ও সম্মান জানানোর জন্য, সকল ভাষার অক্ষর শহীদ মিনারে অঙ্কন করা হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন