ভোট কারচুপির অভিযোগ এনে ঢাকা আইনজীবী সমিতির ২০২৩-২০২৪ কার্যনির্বাহী পরিষদ নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন বিএনপিপন্থি আইনজীবীদের নীল প্যানেলের প্রার্থীরা। বুধবার ১ম দিনের ভোট গ্রহণ শেষে রাতে ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন নীল প্যানেলের মনোনীত সভাপতি প্রার্থী খোরশেদ মিয়া আলম ও সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ নজরুল ইসলাম। তারা নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ এনে নির্বাচন কমিশনের প্রতি অনাস্থা জ্ঞাপন করেছেন। একইসঙ্গে বৃহস্পতিবার ভোট বর্জন করে অন্যান্য ভোটারদের ভোটদান থেকে বিরত থাকার অনুরোধ জানান।
দুই দিনব্যাপী এ নির্বাচনের প্রথম দিনের ভোটগ্রহণ শুরু হয় বুধবার। এদিন সকাল ৯টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে এক ঘণ্টার জন্য বিরতি দিয়ে চলে বিকেল ৫টা পর্যন্ত। ১৯ হাজার ৬১৮ ভোটারের মধ্যে ৫০২৮ জন আইনজীবী তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন বলে জানান নির্বাচন কমিশনার অ্যাডভোকেট আহসান হাবীব। নীল দলের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব এডভোকেট ওমর ফারুক ফারুকী মানবজমিনকে বলেন, আমাদের সভাপতি -সাধারণ সম্পাদকদের পোলিং এজেন্টগণ তাদের হিসেবে ৪০২৩ ভোট কাস্টিং হয়েছে বলে নির্বাচন কমিশনকে জানান। কিন্তু নির্বাচন কমিশন ১০০৫ ভোট বেশি কাস্ট হয়েছে বলে জানিয়েছে। আমরা ভোট কাস্টিং এর মোড়ি দেখতে চাই। কিন্তু তিনি দেখাতে অপারগতা প্রকাশ করেন।
এ বিষয়ে বিএনপিপন্থি নীল প্যানেলের সভাপতি পদপ্রার্থী এডভোকেট খোরশেদ মিয়া আলম ও সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী সৈয়দ নজরুল ইসলাম মানবজমিনকে বলেন, আমরা আগেই বলেছিলাম প্রধান নির্বাচন কমিশনার আবদুল্লাহ আবুর অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না।
তিনি এর আগের নির্বাচনেও ভোট সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করেন নি। এবারের নির্বাচনে যাতে তাকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার না করা হয়, সে ব্যাপারে আমরা বার কাউন্সিলে লিখিতভাবে জানিয়েছিলাম। কিন্তু বিষয়টি আমলে নেয়নি। তারা আরো বলেন, প্রথম দিনে ১৪টি কাউন্টারে ভোট গ্রহণ হয়েছে। আমাদের এজেন্টদের হিসেবে চার হাজার ২৩ ভোট কাস্টিং হয়েছে। কিন্তু নির্বাচন কমিশনার পাঁচ হাজার ২৮ ভোট কাস্টিং হয়েছে বলে ঘোষণা দেন। আমরা নির্বাচন কমিশনারকে জানাই চার হাজার ২৩ ভোট কাস্টিং হয়েছে। আমরা মোড়ি দেখাতে বলি। তিনি আমাদের কথায় কর্ণপাত না করে ফের পাঁচ হাজার ২৮ ভোট কাস্টিং হয়েছে বলে ঘোষণা দেন। এসব কারণে আমরা ভোট বর্জন করেছি।
এবারের আইনজীবী সমিতির কার্যকরী কমিটির ২৩টি পদের বিপরীতে বিএনপি-জামায়াত সমর্থিত নীল প্যানেলের ২৩ জন এবং আওয়ামী লীগ সমর্থিত সাদা প্যানেলের ২৩ জন করে মোট ৪৬ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন