শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

ভালুকায় অপহরণের ১১ ঘণ্টা পর মুক্তিপণ দিয়ে ছাড়া পেল এক কলেজ ছাত্র

ময়মনসিংহ অফিস | প্রকাশের সময় : ২৯ ডিসেম্বর, ২০১৬, ৫:৩৭ পিএম

ময়মনসিংহ অফিস : ময়মনসিংহের ভালুকায় অপহরণের ১১ ঘণ্টা পর মুক্তিপণ নিয়ে ওলি আহমেদ (১৮) নামের এক কলেজ ছাত্রকে রাস্তার পাশে ফেলে গেলো অপহরণকারীরা।
পরে খোঁজ পেয়ে স্থানীয় লোকজন ফায়ার সার্ভিসকে খবর দিলে আহত ওলি আহমেদকে উদ্ধার করে ভালুকা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।

অপহৃতের পরিবার, হাসপাতাল ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ভরাডোবা ইউনিয়ন পরিষদের নারী সদস্য আরিফা আক্তার একদানার ছেলে ওলি আহমেদ। সে ধলিয়া বহুলি উচ্চ বিদ্যালয় অ্যান্ড কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র।
ওলি আহমেদ বুধবার দুপুরে বাড়ি থেকে অটো রিকশায় চড়ে ভালুকা বাস স্ট্যান্ড এসে নামে। এ সময় অজ্ঞাত দুই যুবক তার নাকে রুমাল চেপে অজ্ঞান করে প্রাইভেটকারে তুলে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়।
বিকেল পৌনে ৩টায় অপহৃত ওলি আহমেদের ব্যবহৃত ফোন থেকে তার মা আরিফা আক্তারকে বলে, “ওলি আহমেদ আমার আই ফোন-৬টি ভেঙে ফেলেছে, আপনি ৩০ হাজার টাকা পাঠান।”
পরে ওলি আহমেদও তার মাকে বলে টাকা না দিলে তাকে মেরে ফেলা হবে। সন্তানের জীবন রক্ষার্থে তাদের এক বিকাশ নম্বরে তিন কিস্তিকে ১৭ হাজার টাকা পাঠানো হয়।
এর পর রাত ১১টায় বাড়ি থেকে দেড় কিলোমিটার দূরে ফায়ার সার্ভিস অফিসের কাছে রাস্তার পাশে আহত অবস্থায় ওলি আহমেদকে ফেলে যায় অপহরণকারীরা।
অপহৃত ওলি আহমেদ জানায়, অপরিচিত দুই যুবক বাস স্ট্যান্ড থেকে চোখ বেঁধে প্রাইভেটকারে তাকে তুলে নিয়ে মোটা অংকের টাকা দাবি করে এবং ব্যাপক শারীরিক নির্যাতন চালায়। ১৭ হাজার টাকা দেয়ার পর রাতে আমার চোখ বেঁধে ওই স্থানে ফেলে যায় অজ্ঞাত যুবকরা।

তিনি আরো জানান, যে বিকাশ নম্বরের মাধ্যমে টাকা গুলো নেয়া হয়েছে, সেই মোবাইল নম্বরটি অপহৃত অপর একটি যুবকের। আমার সাথে তাকেও একই ঘরে আটক করে রাখা হয়েছিল। অপহরণকারীরা তার পরিবারের কাছেও মুক্তিপণের টাকা দাবি করেছে।

ইউপি সদস্যা আরিফা আক্তার একদানা জানান, ছেলের ফোন পেয়ে চেয়ারম্যান মো. শাহ আলমকে নিয়ে থানায় গিয়ে পুলিশকে অবহিত করেছি। এ ঘটনায় মামালা করার প্রস্তুতি চলছে।
ভালুকা মডেল থানার ওসি (তদন্ত) মো. হযরত আলী জানান, ইউপি সদস্যা আরিফা আক্তার একদানা ঘটনার দিন সন্ধ্যায় থানায় এসে তার ছেলেকে পাচ্ছেনা বলে মৌখিক ভাবে জানিয়ে যায়।
পরে শুনলাম তার ছেলেকে রাতে ফায়ার সার্ভিস এলাকায় আহত অবস্থায় ফেলে রেখে গেলে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ভিকটিমের সাথে কথা না বলে বিষয়টি পরিষ্কার বলা যাচ্ছেনা। তা ছাড়া লিখিত কোনো অভিযোগও আমরা পাইনি বলে জানান তিনি।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন