গতকাল শনিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৪টা ৩৯ মিনিটে ৪ দশমিক ১০ মাত্রার ভূমিকম্পের পর এই ফাটলগুলো দেখা দিয়েছে। তবে এখনো জেলার কোথাও হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
এদিকে শনিবার টেকনাফে কয়েকটি বাড়ি-ঘরে ফাটলের খবর জানা যায়। এছাড়া টেকনাফ উপজেলা মৎস্য কেন্দ্রের কার্যালয়ে ফাটলের কিছু ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
এ বিষয়ে জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন বলেন, শনিবার বিকেলে ভূকম্পন অনুভূত হলে আমরা তাড়াতাড়ি অফিস থেকে বেরিয়ে পড়ি। পরে এসে অফিস ভবনের কয়েকটি জায়গায় ফাটল দেখতে পাই।
টেকনাফ পৌর এলাকার দিদার আলম বলেন, ভূমিকম্পে আমার বাড়িতে ফাটল দেখা দিয়েছে। আমার জীবনে এবারের মতো বড় ধরনের ভূকম্পন আর অনুভূত হয়নি। তবে আল্লাহর রহমতে বড় ধরনের ক্ষতি হয়নি।
টেকনাফ রাজারছড়ার বাসিন্দা সরওয়ার আলম বলেন, মনে হয়েছিলো পেছন থেকে এসে কেউ যেন ঝাঁকুনি দিচ্ছে। পরে দেখি ভূমিকম্পে পুরো বাড়িঘর কাপঁছে। অনেক বড় বিপদ থেকে রক্ষা পেলাম।
তবে টেকনাফে যত্রতত্র অপরিকল্পিতভাবে ভবন নির্মাণ ভূমিকম্পে এই ক্ষয়ক্ষতির কারণ বলছেন সচেতন মহল।
টেকনাফ ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের কর্মকর্তা মুকুল কুমার নাথ বলেন, টেকনাফে বিভিন্ন জায়গায় ভূমিকম্পের ঝাঁকুনির খবর পেয়েছি। তবে ক্ষয়ক্ষতির তেমন কোনো খবর পাওয়া যায়নি। এ ব্যাপারে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ নেওয়া হচ্ছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর কক্সবাজার আঞ্চলিক কার্যালয়ের সহকারী আবহাওয়াবিদ আব্দুর রহমান বলেন, শনিবার বিকেল ৪টা ৩৯ মিনিটে মিয়ামারের অভ্যন্তরে ২০ দশমিক ৯০ অক্ষাংশ এবং ৯২ দশমিক ৩৩ দ্রাঘিমাংশে ভূকম্পনটির উৎপত্তি হয়েছে। যেটি ঢাকা থেকে ৩৭৭ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থিত। এর ফলে ৪ দশমিক ১০ মাত্রার কম্পন অনুভূত হয়েছে কক্সবাজারে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন