সালথায় নোংরা পরিবেশে তৈরী হচ্ছে মিষ্টির প্যাকেট মানবজীবন হুমকীতে। দেখার কেউ নাই।
ফরিদপুরের সালথায় স্যাঁতসেঁতে ও নোংরা পরিবেশে তৈরী হচ্ছে মিষ্টির প্যাকেট, নেই পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমতি। যে মিষ্টির প্রতি আমাদের এতো আবেগ এতো টান, যে মিষ্টি পছন্দ করেনা এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া দুষ্কর সেই মিষ্টির প্যাকেটই তৈরী হচ্ছে নোংরা পঁচা দুর্গন্ধময় পরিবেশে। যার ফলে মানবদেহে সৃষ্টি হচ্ছে নানান ধরনের রোগ।
সরেজমিনে রবিবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) ঘটনাস্থল গিয়ে দেখা যায়, সালথার রামকান্তপুর ইউনিয়নের মাঠ সালথায় তথা তেলি সালথা নামক স্থানে রাস্তার পাশে উন্মুক্ত ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে বিসমিল্লাহ বোর্ড মিল নামক প্রতিষ্ঠানের মালিক ইয়াছিন নামক এক ব্যক্তি এই মিষ্টির প্যাকেট তৈরী করছে। তিনি বোয়ালমারী উপজেলার সাতৈর এলাকার মো: হালিম এর ছেলে। মাঠ সালথায় শশুর বাড়ীতে থাকেন। শশুর বাড়ী থেকেই এই ব্যবসা পরিচালনা করছেন।
জানা যায়, তিনি প্রায় ৩ বছর ধরে ঐ এলাকার স্থানীয় আনোয়ার এর নিকট থেকে ২০ শতাংশ জমি বছরে ১০ হাজার টাকায় ভাড়া নিয়ে এই ব্যবসা পরিচালনা করছেন।
উক্ত প্রতিষ্ঠানে যাওয়ার পথিমধ্যে দুপাশে ময়লা আবর্জনার স্তুপ পড়ে থাকতে দেখা যায়। পাশে মল মুত্রের ময়লায় ভরা। প্রাথমিক ভাবে প্যাকেট তৈরী করার পর তা চকের মধ্যে উন্মুুক্ত জায়গায় শুকাতে দিচ্ছে। যেখানে পশু-পাখি অবাদে চলাফেরা করে।
উক্ত প্রতিষ্ঠানে ৬/৭ কর্মচারীদের কাজ করতে দেখা যায়। যাদের নেই কোনো নিরাপত্তা। ফলে যেকোন সময় কারখানায় দুর্ঘটনা ঘটার শঙ্কা থেকেই যায়।
উক্ত প্রতিষ্ঠানের মালিক ইয়াছিন এর সাথে কথা বলে জানা যায়, তিনি ইউনিয়ন পরিষদ হতে ট্রেড লাইসেন্স নিয়ে ব্যবসা করছেন। তবে পরিবেশ অধিদপ্তরের কোনো অনুমতি নেই।
এ বিষয়ে আরিফুল ইসলাম নামে এক সমাজকর্মী বলেন, প্যাকেট তৈরী করার সময় পুরাতন ও ময়লা কাগজগুলো একসাথে পানিতে গোলানো হয়, এতে করে ময়লা থেকে যায় প্যাকেটে। তাছাড়া এরা কোন পলিথিন রিসাইকেল করে না এরা নোংরা পরিবেশে এসব বোর্ড পেপার রোডে শুকায় যা অনেক সময় খাবার সাথে মানবদেহে প্রবেশ করে। এসময় তিনি যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানান।
সালথা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আক্তার হোসেন শাহিন বলেন, আইনগত ব্যবস্থা করা হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন