সুদীর্ঘ ৫ বছর সম্পূর্ণ নীরবতার পর বাংলাদেশের রাজনীতিতে বেগম খালেদা জিয়া অকস্মাৎ তুমুল আলোচনার বিষয়বস্তু হয়ে উঠলেন কেন? বিএনপি তো এই ৫ বছরে একবারও বলেনি যে, বেগম জিয়াকে রাজনীতি করতে দিতে হবে। তারা বরং মনে করেছে যে, সরকার যেভাবে বিচার ব্যবস্থাকে কুক্ষিগত করেছে তার ফলে তারা বেগম জিয়ার এই সাজানো মামলায় ইনসাফ বা ন্যায্য বিচার পাবে না। তাহলে কারা হঠাৎ করে এই আলোচনার জন্ম দিলো? কেন তারা এই আলোচনার জন্ম দিলো? অকস্মাৎ এই ধরনের আলোচনার অবতারণার পেছনে কি কোনো সুনির্দিষ্ট রাজনৈতিক উদ্দেশ্য রয়েছে? এসব প্রশ্নের জবাব খোঁজার জন্য আসুন, আমরা দেখে নেই, কীভাবে কে বা কারা এই আলোচনা শুরু করলো।
এই তো সেদিনের কথা। জাতীয় সংসদের অধিবেশন চলছিল। সেখানে বেগম জিয়াকে নিয়ে কেউ কোনো প্রসঙ্গের অবতারণা করেননি। সেখানে হঠাৎ করে ফ্লোর নেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আপন ফুপাতো ভাই, সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী শেখ ফজলুল করিম সেলিম এমপি। তিনি বলে বসেন, রাজনীতি করবেন না, এই মর্মে মুচলেকা দেওয়ার পর বেগম জিয়ার কারাদন্ডাদেশ স্থগিত করা হয়েছে এবং তাকে নাজিমুদ্দিন রোডের নির্জন কারাবাস থেকে তার গুলশানের বাসভবনে বসবাস করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। শেখ সেলিমের এই বক্তব্যের পরদিনই বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দৃঢ়তার সাথে বলেন যে, কোনো রকম মুচলেকা বেগম জিয়া দেননি। শিক্ষিত সচেতন মানুষ ভেবেছিলেন যে, এখানেই হয়তো এই বিষয়টি শেষ হয়ে যাবে। কারণ, বেগম জিয়া যদি মুচলেকা দিয়ে দন্ডাদেশ স্থগিত করাতেন তাহলে শেখ সেলিমের মতো ব্যক্তি সংসদ ভবনে হাত উঁচু করে ঐ মুচলেকার কাগজটি সংসদ সদস্যদের দেখাতেন। হয়তো পরদিন ঐ কথিত মুচলেকার ফটোকপি গণমাধ্যমে ছাপা হতো এবং সম্প্রচারিত হতো।
এরপর ৪/৫ দিনও গেল না। দেখা গেলো, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক নিজেই এক বক্তৃতা দিতে গিয়ে বলেছেন, বেগম জিয়া রাজনীতি করবেন না, এই রকম কোনো মুচলেকা দেননি। তার ভাই তার মুক্তির জন্য সরকারের কাছে যে চিঠি লিখেছেন তাতে বলেছেন যে, বেগম জিয়ার অসুখ খুব গুরুতর। তার জীবন বিপন্ন। তাকে বাঁচাতে হলে বিদেশে নিয়ে গিয়ে উন্নত চিকিৎসা করাতে হবে। তখন বিষয়টি সরকার বিবেচনা করে। কিন্তু দেখা যায় যে, তার ১০+৭ সমান ১৭ বছরের কারাদন্ড হয়েছে এবং সেটি উচ্চ আদালতের রায়ে। সুতরাং আইনী প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তাকে জেল থেকে বের করা সম্ভব নয়। তবে ফৌজদারি দন্ডবিধি বা ক্রিমিনাল প্রসিডিওর অ্যাক্ট (সিআরপিসি) এর ৪০১(১) ধারা অনুযায়ী নির্বাহী আদেশে তার দন্ড স্থগিত করার সুযোগ রয়েছে। তখন সেটিই করা হয়। সিআরপিসির ৪০১(১) ধারা অনুযায়ী তার দন্ডাদেশ ৬ মাসের জন্য স্থগিত করা হয়েছে এবং তাকে তার নিজ বাসভবনে থাকার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তবে এই দন্ডাদেশ স্থগিত করার আদেশে দুটি শর্ত দেওয়া হয়েছে। (১) বেগম জিয়াকে বাংলাদেশেই চিকিৎসা নিতে হবে। (২) তিনি দেশের বাইরে যেতে পারবেন না। এসব বিষয় উল্লেখ করে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন যে, তার দন্ডাদেশ স্থগিত করার আদেশে এমন কথা লেখা নাই যে, তিনি রাজনীতি করতে পারবেন না। তবে বাংলাদেশের সংবিধানের সংশ্লিষ্ট অনুচ্ছেদ মোতাবেক তিনি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন না। পাঠকদের সুবিধার জন্য আমরা সিআরপিসির ৪০১(১) ধারাটি তুলে দিলাম। ডযবহ ধহু ঢ়বৎংড়হ যধং নববহ ংবহঃবহপবফ ঃড় ঢ়ঁহরংযসবহঃ ভড়ৎ ধহ ড়ভভবহপব, ঃযব এড়াবৎহসবহঃ সধু ধঃ ধহু ঃরসব রিঃযড়ঁঃ পড়হফরঃরড়হং ড়ৎ ঁঢ়ড়হ ধহু পড়হফরঃরড়হং যিরপয ঃযব ঢ়বৎংড়হ ংবহঃবহপবফ ধপপবঢ়ঃং, ংঁংঢ়বহফ ঃযব বীবপঁঃরড়হ ড়ভ যরং ংবহঃবহপব ড়ৎ ৎবসরঃ ঃযব যিড়ষব ড়ৎ ধহু ঢ়ধৎঃ ড়ভ ঃযব ঢ়ঁহরংযসবহঃ ঃড় যিরপয যব যধং নববহ ংবহঃবহপবফ. বাংলা অনুবাদ: যখন কোনো ব্যক্তিকে দন্ড দেওয়া হয় তখন সরকার যেকোনো সময় শর্তসহ অথবা বিনা শর্তে, যেটি দন্ডিত ব্যক্তি গ্রহণ করেন, দন্ডিত ব্যক্তির দন্ড আংশিক স্থগিত করতে পারেন অথবা সম্পূর্ণ মওকুফ করতে পারেন।
॥দুই॥
দন্ডিত ব্যক্তির দন্ড সম্পূর্ণ মওকুফ করার উদাহরণ বাংলাদেশে অনেক রয়েছে। সেগুলো আলোচনার আগে দেখা যাক এ ব্যাপারে আওয়ামী লীগের অন্যান্য বড় নেতা কী বলেন। আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের এই বক্তব্যের ৩/৪ দিন পরেই কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক আনিসুল হকের মতো এত ইনিয়ে বিনিয়ে পেঁচিয়ে কথা বলার চেয়ে সরাসরি বলেন যে, বেগম জিয়ার রাজনীতি করার ওপর কোনো নিষেধাজ্ঞা নাই। তবে সংবিধানের ৬৬ অনুচ্ছেদ মোতাবেক তিনি নির্বাচন করতে পারবেন না। উল্লেখ্য যে, আব্দুর রাজ্জাক কৃষিমন্ত্রী ছাড়াও আওয়ামী লীগ প্রেসিডিয়ামের সদস্য। এই দুই মন্ত্রীর মধ্যেই খালেদা জিয়া প্রসঙ্গ সীমাবদ্ধ থাকেনি। এই আলোচনায় যোগ দেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি যা বলেন তার সারাংশ হলো এই যে, তার ভাই বেগম জিয়ার কারামুক্তির জন্য সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগে যে দরখাস্ত করেছেন সেখানে বলা হয়েছে যে, তার বোন গুরুতর অসুস্থ। তার জীবন বাঁচানোর জন্য তাকে উন্নত চিকিৎসার উদ্দেশ্যে বিদেশে পাঠানো হোক। সরকার তার চিকিৎসার জন্য নাজিমুদ্দিন রোডের জেলখানা থেকে গুলশানে তার বাসভবনে পাঠিয়েছেন। ওবায়দুল কাদের বলেন, এখন যদি তিনি রাজনীতি করেন তাহলে বোঝা যাবে যে, তিনি সুস্থ হয়েছেন। তাহলে সেক্ষেত্রে তাকে আবার কারাগারে পাঠানো যেতে পারে। চিকিৎসার জন্য যার দন্ডাদেশ স্থগিত হয়েছে তার রাজনীতি করার অধিকার নাই। এই বিতর্কে যোগ দিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী হাসান মাহমুদও। তিনিও ওবায়দুল কাদেরের সাথে একমত।
তাহলে দেখা যাচ্ছে যে, খোদ আওয়ামী লীগের ভেতরেই বেগম জিয়ার রাজনীতি করা বা না করা নিয়ে মতভিন্নতা রয়েছে। একদিকে ওবায়দুল কাদের এবং হাসান মাহমুদ। অন্যদিকে আনিসুল হক এবং আব্দুর রাজ্জাক। আর মাথার ওপর শেখ ফজলুল করিম সেলিম। এ ব্যাপারে বিএনপি নির্বিকার। বিএনপি যে প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে সেটিকে সুধী সমাজ অত্যন্ত বিচক্ষণ বলে মনে করছেন। বিএনপি নেতারা বলছেন যে, বেগম জিয়ার রাজনীতি করা বা না করা প্রসঙ্গ বিগত ৫ বছরে বিএনপি তোলেনি। আজও তুলছে না। বিএনপি বরং বলেছে যে, আন্দোলনের মাধ্যমে বেগম জিয়াকে মুক্ত করা হবে। বিগত ৫ বছর ধরে বেগম জিয়াকে আন্দোলনের মাধ্যমে কেন মুক্ত করা সম্ভব হয়নি, সেটি সম্পূর্ণ ভিন্ন কথা। তারা বলছেন যে, বেগম জিয়ার রাজনীতি করা সম্পর্কে মন্ত্রীরা যেসব কথা বলছেন সেসব কথায় তারা মোটেই ইন্টারেস্টেড নন। প্রথমে স্ট্যান্ডিং কমিটির একজন নেতা বলেছিলেন যে বিষয়টি নিয়ে দলের স্ট্যান্ডিং কমিটিতে আলোচনা করা হবে। আলোচনা করা হয়েছে। স্ট্যান্ডিং কমিটি বলেছে, এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করবে না এবং এপর্যন্ত অফিসিয়ালি কোনো মন্তব্য কেউ করেননি। তবে রুমিন ফারহানার মতো দুই একজন নেতা বলেছেন যে, আওয়ামী লীগের কথা ও কাজে কোনো মিল নাই। তাদের কথায় বিশ^াস করা যায় না।
॥তিন॥
এখানে দুইটি বিষয় আলোচনার দাবি রাখে। একটি হলো, হঠাৎ করে সরকারের তরফ থেকে এই বিষয়টি শেখ সেলিমসহ ৫ জন শীর্ষ আওয়ামী নেতা উত্থাপন করলেন কেন? আরেকটি হলো, নির্বাহী আদেশে দন্ড স্থগিত নয়, দন্ড সম্পূর্ণ মওকুফ করা এবং দন্ডিত ব্যক্তিকে রাজনীতি করার সুযোগ দেওয়া- এমন একাধিক নজির রয়েছে। জেএসডি নেতা আ স ম আব্দুর রবের ১৪ বছর কারাদন্ড হয়েছিল। তখন প্রেসিডেন্ট ছিলেন জেনারেল জিয়াউর রহমান। তিনি আব্দুর রবের দন্ডাদেশ স্থগিত করেছিলেন এবং সরকারি খরচে তাকে জার্মানিতে চিকিৎসা করতে পাঠিয়েছিলেন। জার্মানিতে চিকিৎসা করার পর তিনি দেশে ফিরেছিলেন। তাকে আর কারাগারে ঢুকতে হয়নি। দেশে ফিরে তিনি জিয়া বিরোধী রাজনীতিতে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন। সাবেক সেনা প্রধান জেনারেল আব্দুল আজিজের দুই ভাইয়ের গুরুদন্ড এই আওয়ামী লীগ আমলেই সম্পূর্ণ মওকুফ করা হয়েছে। আওয়ামী এমপি হাজী সেলিম দুর্নীতির দায়ে উচ্চ আদালত কর্তৃক দন্ডিত হয়েছেন। তাকে এক দিনও জেল খাটতে হয়নি। ২৪ ঘণ্টা পর তিনি পিজি হাসপাতালের ভিআইপি কেবিনে স্থানান্তরিত হন। সেখান থেকে তার দন্ডাদেশ স্থগিত করা হয়। এই রকম আরো আছে। আওয়ামী লীগ নেতা সাবেক মন্ত্রী মরহুম নাসিমসহ আরো অনেকে। এই পয়েন্টে আজকে আর কোনো কথা বলবো না। এখন মূল প্রশ্নে আসছি।
॥চার॥
ওপরের আলোচনা থেকে দেখা গেল যে, এই ইস্যুটি নিয়ে বিএনপি কোনো কথা বলেনি। আওয়ামী লীগই খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে ইস্যুটি উত্থাপন করেছে। ইংরেজি ভাষা ব্যবহার করলে বিষয়টি সঠিকভাবে বলা ও বোঝা যায়। সেটি হলো, অধিসর খবধমঁব যধং শরপশবফ ড়ভভ ঃযব ফবনধঃব, যদিও এখানে কোনো ডিবেট নাই। তাহলে আওয়ামী লীগ এই ইস্যুটি নির্বাচনের ১০ মাস আগে সামনে নিয়ে এলো কেন? আসলে বিদেশিদের বিশেষ করে পশ্চিমাদের চাপে আওয়ামী লীগ সরকার বেশ কিছুটা মুসিবতে আছে। এখন আমেরিকা এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের চাপ হচ্ছে, সুষ্ঠু এবং অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন। আর সেই নির্বাচন করতে গেলে সকলকে সমান সুযোগ দিতে হবে। আর বিএনপি এবং তাদের যুগপৎ আন্দোলনের সাথীরা শেখ হাসিনা তথা আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচনে যাবে না। বিএনপি আক্ষরিক অর্থে যে অবস্থান গ্রহণ করেছে, সেটিকে বলা যেতে পারে, পয়েন্ট অব নো রিটার্ন।
আর একথা ঠিক যে, বিএনপি এবং সমমনা ৫৪টি দল যদি নির্বাচনে না আসে তাহলে ডিসেম্বর বা জানুয়ারিতে নির্বাচন হবে না। এটি ২০১৪ বা ২০১৮ সাল নয়। এটি ২০২৩ এর ডিসেম্বর অথবা ২০২৪ এর জানুয়ারি। একই অথবা সেই পুরানো কৌশল এবার খাটবে না। তাই বেগম জিয়ার রাজনীতি করার ইস্যুটি আওয়ামী লীগের একটি টোপ। টোপটি গেলার শর্ত হলো, যদি তোমরা বেগম জিয়া রাজনীতি করুক সেটি চাও, তাহলে ইলেকশনে আসো। আর ইলেকশনে এসে বেগম জিয়া যদি জনগণের মধ্যে একটি বৈপ্লবিক পরিস্থিতির সৃষ্টি করতে পারেন তাহলে তার দন্ডাদেশ বাতিল করে ফের জেলে পাঠানো হবে। অর্থাৎ বেগম জিয়া রাজনীতি করবেন, কিন্তু সেটি হতে হবে নিয়মতান্ত্রিক এবং শান্তিপূর্ণ।
বেগম জিয়ার রাজনীতি করা না করা ছেলের হাতের মোয়া নয়। এ সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নিতে গেলে সরকার এবং বিরোধী দলের মধ্যে একটি সংলাপ হতে হবে। সরকার চাচ্ছে সেই সংলাপটি হোক। তাহলে তারা পশ্চিমাদের দেখাতে পারবে যে, তারা তো অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন করতে চায়।
কিন্তু বিএনপির এখন পর্যন্ত দাবি হলো এই যে, সংলাপ হতে পারে। তবে সেটি হতে হবে কীভাবে এই সরকার সরে যাবে এবং নির্বাচনকালীন কেয়ারটেকার অথবা নিরপেক্ষ সরকার গঠন করা হবে। এখন পর্যন্ত সরকার এই পয়েন্টে অনঢ় যে, সংবিধানের বাইরে কোনো নির্বাচন হবে না। অর্থাৎ সংবিধান মোতাবেক নির্বাচন হবে এই সরকারের অধীনে, বর্তমান নির্বাচন কমিশনের অধীনে এবং বর্তমান জাতীয় সংসদ বহাল রেখে। এই অবস্থান বিএনপি এবং তার সমমনাদের কাছে মোটেই গ্রহণযোগ্য নয় এবং তারা সরাসরি সেই বক্তব্য প্রত্যাখান করছে।
নির্বাচনের এখনও ১০ মাস সময় অবশিষ্ট আছে। এই ১০ মাস বুড়িঙ্গা দিয়ে অনেক পানি গড়াবে (যদিও ময়লা ও আবর্জনায় বুড়িঙ্গার পানি দূষিত হয়ে কালো কিসকিসে রং ধারণ করেছে)। বিএনপি এবার মাথা ঠান্ডা রেখে হিসাব করে স্টেপ ফেলছে। এখন দেখা যাক, আগামী দিনের রাজনীতি কীভাবে নিজেকে আনফোল্ড করে। আসুন, আমরা সকলে আগামী দিনগুলোর প্রতীক্ষা করি।
Email: journalist15@gmail.com
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন