অর্থনীতি, টেকসই উন্নয়ন ইত্যাদি নিয়ে গবেষণাধর্মী লেখালেখির পাশাপাশি ভাষা আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, রবীন্দ্র চিন্তা, এবং সর্বোপরি বঙ্গবন্ধু বিষয়ে অধ্যাপক ড. আতিউর রহমানের সৃজনশীল কাজগুলো দেশের মানুষকে বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মকে আরও সংবেদনশীল ও দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। নিজের শুভচিন্তাগুলো সহজবোধ্য ভাষায় লেখালেখির মাধ্যমে প্রকাশ করে তিনি আমাদের আলোর পথ দেখাচ্ছেন।” বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর অধ্যাপক ড. আতিউর রহমান সম্পর্কে এ কথা বলেন তাঁর লেখা ‘ভাষার লড়াই বাঁচার লড়াই’ শিরোনামের পাঠ উন্মোচন অনুষ্ঠানের আলোচকবৃন্দ। †mvgevi (২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩) ঢাকায় উন্নয়ন সমন্বয় কার্যালয়ের খন্দকার ইব্রাহিম খালেদ কনফারেন্স কক্ষে এই অনুষ্ঠান আয়োজন করে বইটির প্রকাশক বিশ্বসাহিত্য ভবন এবং উন্নয়ন সমন্বয়। অনুষ্ঠানে ড. আতিউর রহমানের বাংলা একাডেমির রবীন্দ্র সম্মাননা ২০২১ প্রাপ্তিও উদযাপন করা হয়।
এ বছর একুশে পদপ্রাপ্ত শিক্ষাবিদ ড. মনিরুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাবেক প্রধান বিচারপতি এবং আইন কমিশনের চেয়ারম্যান- এ. বি. এম. খায়রুল হক। সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আইন কমিশনের সদস্য বিচারপতি এ. টি. এম. ফজলে কবির, এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা ও বিশিষ্ট সাংবাদিক আবেদ খান। আবেদ খান তাঁর বক্তব্যে বলেন যে, আতিউর রহমান তাঁর অর্থনীতি বিষয়ক লেখালেখির মাধ্যমে উন্নয়নের জটিল বিষয়গুলো সহজ ভাষায় মানুষের কাছে নিয়ে গেছেন এবং এ দেশের রাজনীতি ও ইতিহাস বিষয়ে লেখালেখিগুলোর মাধ্যমে তরুণদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ করতে অমূল্য ভূমিকা রেখে চলেছেন। প্রধান অতিথির বক্তব্যে সাবেক প্রধান বিচারপতি খায়রুল হক বলেন- “পদ্মাসেতু বাস্তবায়ন যখন একটি চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছিলো তখন যারা দেশের নিজস্ব শক্তিতে এই প্রকল্প বাস্তবায়নের সাহস যুগিয়েছিলেন ড. আতিউর তাঁদের একজন। ভাষা আন্দোলন নিয়ে তাঁর গবেষণাতেও এদেশের মানুষের নিজস্ব শক্তি আমাদের মুক্তির আন্দোলনে যে ভূমিকা রেখেছে তা তুলে ধরতে সচেষ্ট হয়েছেন।” ভাষা আন্দোলনের অন্তর্নিহিত চেতনাটিকে আমাদের মূলধারার উন্নয়ন ভাবনায় যথাযথ গুরুত্বের জায়গায় রাখার বিষয়টি ড. আতিউর তাঁর গবেষণার মাধ্যমে সামনে নিয়ে এসেছেন বলে অভিমত ব্যক্ত করেন ড. মনিরুজ্জামান।
নিজের অনুভূতি ব্যক্ত করতে গিয়ে ড. আতিউর বলেন- “নিজস্ব সংস্কৃতির শক্তির ওপর ভর করে বাংলাদেশের যে অগ্রযাত্রা এটি একশো মিটারের স্প্রিন্ট নয়। বরং একটি ক্যারাভান। তাই এই যাত্রায় সফলতার জন্য সমাজের সকল অংশীজনকে একযোগে কাজ করতে হবে।” উল্লেখ্য, ফেব্রুয়ারি ২০২৩-এ ড. আতিউর রহমানের আরও তিনটি বই প্রকাশিত হয়েছে। এগুলো হলো- বাংলাদেশের অর্থনীতির সমকালিন গতি প্রকৃতি (ঐতিহ্য প্রকাশনি), রবীন্দ্র চিন্তায় দারিদ্র্য ও প্রগতি (বিশ্ব সাহিত্য ভবন), এবং Towards Golder Bengal: Thoughts of Tagore and Bangabandhu on Inclusive Development (জার্নিম্যান প্রকাশনি)|
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন