প্রাথমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে সচেতন করতে পিসাইকেল একটি নতুন প্রকল্প ‘গ্রিন প্রিমিসেস’ শুরু করেছে। একটি পরিবেশবান্ধব প্রজন্ম গড়ে তোলার লক্ষ্যে পিসাইকেল সোমবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় স্কুল ও কলেজের শিক্ষার্থীদের জন্য বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিয়ে সচেতনতা সেশনের মাধ্যমে সঠিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনার উপরে মডেল স্কুল উদ্বোধন করেছে।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় স্কুল ও কলেজে পিসাইকেল Ôগ্রীণ প্রিমিসেসÕ (সবুজ অঙ্গন) প্রকল্পের আওতায় কীভাবে পচনশীল ও অপচনশীল বর্জ্য আলাদাভাবে ডাস্টবিনে ফেলতে আগ্রহী করে তোলা এবং শিক্ষার্থীদের যথাযথ বর্জ্য ব্যবস্থাপনার গুরুত্ব সম্পর্কে অবহিত করা এবং তাদের পরিবেশ সম্পর্কে সচেতন হতে উৎসাহিত করার জন্য সেশন আয়োজন করেছে। । এই সেশনটি সোমবার সকালে অনুষ্ঠিত হয়, যাতে স্কুলের ২ শতাধিক শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে।
পচনশীল এবং অপচনশীল বর্জ্যের ধারণার একটি সূচনা দিয়ে সেশনটি শুরু হয়। শিক্ষার্থীদের উভয়ের মধ্যে পার্থক্য এবং পরিবেশের উপর তাদের প্রভাব শেখানো হয়, সেই সাথে তাদের প্রতিটি ধরণের বর্জ্যের বিভিন্ন উদাহরণও দেখানো হয়। তারপর তাদেরকে শেখানো হয় কিভাবে বর্জ্য আলাদা করতে হয় এবং তার সর্বোচ্চ পুনর্ব্যবহার নিশ্চিত করা যায়। পিসাইকেল এই প্রকল্পের আওতায় ঐ নির্দিষ্ট প্রতিষ্ঠানে পচনশীল এবং অপচনশীল বর্জ্যের জন্য পৃথক ডাস্টবিন প্রদান করেছে। যেটার মাধ্যমে তারা বর্জ্য পৃথকীকরণে অভ্যস্ত হতে পারবে।
শিক্ষার্থীরা এই সম্পর্কে খুব উৎসাহ প্রকাশ করেছে এবং পরিবেশ সম্পর্কে আরও জানতে আগ্রহী এবং কীভাবে তারা নতুন প্রজন্ম হিসেবে একটি ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে সে সম্পর্কেও ধারনা পেয়েছে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে পিসাইকেলের সদস্যরা আশা করে যে এই সেশন শিক্ষার্থীদের বর্জ্য অপসারণের অভ্যাস সম্পর্কে আরও সচেতন হতে উৎসাহিত করবে এবং পরিবেশ রক্ষার জন্য পদক্ষেপ নিতে অনুপ্রাণিত করবে।
ঐ প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ আব্দুল জলিল ভূঁইয়া বলেন, “আমরা এই ধরনের প্রকল্পকে সাধুবাদ জানাই এবং আশা করি এর মাধ্যমে আমাদের শিক্ষার্থীরা পরিবেশ পরিচ্ছন্ন রাখতে শিখবে। সেই সাথে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে আমরা ক্লাইমেট একশন এ ভূমিকা রাখতে পেরে অনেক আনন্দিত।“
"জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় স্কুল ও কলেজের শিক্ষার্থীদের সঠিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনার গুরুত্ব এবং পরিবেশের উপরে এর প্রভাব সম্পর্কে জানাতে পেরে আমরা আনন্দিত", গ্রীন প্রিমিসেসের কো-লিড শাহরীন সিদ্দিকা চৈতী বলেছেন৷ অপর কো-লিড মোঃ রবিউল ইসলাম যুক্ত করেন, "আমরা আশা করছি যে এই প্রকল্পটি শিক্ষার্থীদের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিয়ে পদক্ষেপ নিতে এবং পরিবেশের উপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে অনুপ্রাণিত করবে।"
ব্রিটিশ কাউন্সিলের সহায়তায় এই প্রকল্পটি সচেতনতা সৃষ্টির পাশাপাশি কুইজ এবং চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা এবং অন্যান্য কার্যক্রম গ্রহণ করবে যা বিভিন্ন স্কুলে চলমান থাকবে। এরই ধারাবাহিকতায় পর্যায়ক্রমে ১৫০০ শিক্ষার্থীকে এই প্রকল্পের আওতায় আনা হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন