টানা এক সপ্তাহ থেকে কর্মবিরতি পালন করছেন রাজশাহীর রেশম কারখানার শ্রমিকরা। গত ছয় মাসের বকেয়া বেতন পরিশোধ না করা হলে তারা কাজে ফিরবেন না বলে জানিয়েছেন।
গত ২২ ফেবব্রুয়ারি থেকে রাজশাহী রেশম কারখানার প্রধান ফটকের সামনে নারী-পুরুষ শ্রমিকরা কর্মবিরতি পালন করলেও এখনো টনক নড়েনি কর্তৃপক্ষের।
শ্রমিকদের হুশিয়ারী, আমাদের বেতন দেওয়ার মনোভাব এখনো দেখিনি। কারখানা কর্তৃপক্ষের কেউই আমাদের সাথে কথা বলেনি। বেতন দেওয়ার কোন আশ্বাস না পেলে আগামীতে কঠোর আন্দোলনের হুমিয়ারী দেন শ্রমিকরা।
তাদের মূল দাবি ছয় মাসের বকেয়া বেতন পরিশোধ না করা হলে তারা কাজে ফিরবেন না বলে জানিয়েছেন। ফলে অচল হয়ে পড়েছে কারখানাটি।
মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে আবারও আন্দোলন শুরু করে কারখানার শ্রমিকরা। এই সময় শ্রমিকরা জানান, আমাদের পিঠ দেওয়ালে ঠেকে গেছে। দৈনিক মজুরী ৩০০ টাকা থেকে ৫০০ টাকা করবে বলে তারা আশ্বাস দিয়েছিলো। তবে সেটাও করেনি বরং আমাদের গত ৬ মাসের পুরো বেতন আটকিয়ে দিয়েছে। ফলে আমাদের সংসার চলছে না। অর্ধাহারে, অনাহারে দিন চলছে আমাদের।
এর আগে সোমবার দুপুরেও রাজশাহী রেশম কারখানার প্রধান ফটকের সামনে বিক্ষোভ করে তারা কর্মবিরতি পালন করেন। শ্রমিকদের অভিযোগ, সপ্তাহব্যাপী কর্মবিরতি পালন করলেও রেশম বোর্ডের কোনো কর্মকর্তা তাদের সঙ্গে আজ পর্যন্ত যোগাযোগ করেননি। শ্রমিকদের বকেয়া বেতনের বিষয়েও তারা কথা বলেননি।
কারখানার শ্রমিক মো. লালন বলেন, এর আগে গত ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে ৬ মাসের বকেয়া বেতন পরিশোধের দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করেন রাজশাহী রেশম কারখানার শ্রমিকরা। সেই দিন থেকে রেশম কারখানার প্রধান ফটকের সামনে অবস্থান নিয়ে কর্মবিরতি পালন করছেন তারা। যতদিন বকেয়া বেতন না পরিশোধ করবে ততদিন কর্মবিরতি চলবে। একইভাবে রেশম বোর্ড, বোর্ডের গবেষণা ও কারখানার শ্রমিকদের বেতন বন্ধ আছে। তাই তারাও আলাদাভাবে আন্দোলন কর্মসূচি পালন করেছেন বলে জানান লালন।
রাজশাহী রেশম সম্প্রসারণ কার্যালয়ের আঞ্চলিক উপ-পরিচালক ও কারখানা ইনচার্জ কাজী মাসুদ রেজা বলেন, শ্রমিকদের বকেয়া বেতন পরিশোধের জন্য তারা আপ্রাণ চেষ্টা করছেন। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনাও হয়েছে। শিগগিরই বেতন দেওয়া সম্ভব হবে বলেও আশা প্রকাশ করেন এই কমকর্তা।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন