কুষ্টিয়ার বইয়ের বাজারে উচ্চ মাধ্যমিকের চারটি বই একত্রে কেনা বাধ্যতামূলক করেছে পুস্তক ব্যবসায়ীরা। কয়েকজন অসাধু ব্যাবসায়ীদের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছে সাধারণ দোকান মালিক সহ শিক্ষার্থীরা। স্বাধ থাকলেও সাধ্য হয়ে উঠছে না শিক্ষার্থীদের।
জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্য পুস্তক বোর্ড প্রকাশিত সরকারি বই নিয়ে পুস্তক ব্যবসায়ীদের এমন আচরনে জনমনে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। এ বিষয়ে প্রশাসনের দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভুক্তভোগীরা।
জানা যায়, পপি লাইব্রেরী,পুঁথিঘর সহ কুষ্টিয়ার কয়েকজন দোকান মালিক প্রকাশনী থেকে ডিলার নিয়ে বই নিয়ে এসে খুচরা বিক্রি করে সাধারণ দোকান মালিকদের কাছে। ডিলাররা ২ টি ৩টি বই না দেওয়ায় জিম্মি হয়ে পড়েছে সাধারণ দোকান মালিক সহ শিক্ষার্থীরা।
একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণীর শিক্ষার্থী রাকিব হোসেন বলেন, “আমার বাবা রিক্সা চালায় আমার একবারে ৪ টি বই কেনার সামর্থ্য নেই। আমার বাবা আজকে ২ টা বই কেনার টাকা দিয়েছে আমি ২ টা বই কিনতে এসে কিনতে পারলাম না দোকানদাররা দিচ্ছে না”।
একই শ্রেণীর শিক্ষার্থী সুরাইয়া সুলতানা বলেন, “ক্লাস শুরু হয়েছে এখনো বই কিনতে পারি নি আমরা ৪ বোন আমিই সবার ছোট। কিন্তু আমি বই কিনতে এসে বই আর কেনা হলো না আমার কি করবো এভাবেই বাসায় ফিরে যাচ্ছি টাকা তো নাই”।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন খুচরা দোকান মালিকের সাথে কথা বললে তারা বলেন, “আমরা তো আর ঢাকা থেকে বই নিয়ে আসি না আমরা পপি লাইব্রেরী বা পুঁথিঘর থেকে বই নিয়ে ব্যাবসা করি। তারা যদি আমাদের খুচরা বই না দেয় আমরা কিভাবে দিবো। ডিলাররা বই দিলে আমরাও বিক্রি করতে পারবো শিক্ষার্থীদের কাছে”।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক সমিতির কুষ্টিয়ার আহবায়ক “ওয়াহিদুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের চারটি বই একসাথেই কিনতে হবে। এবার ঢাকা থেকেই এমন সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানান”।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন