শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

নেছারাবাদে প্রশংসাপত্রে টাকা নেয়ার অভিযোগ প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে

নেছারাবাদ(পিরোজপুর)সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২ মার্চ, ২০২৩, ৩:১৬ পিএম

নেছারাবাদে পাচ টাকা দামের ফটোকপি কাগজের প্রশংসাপত্রে ১২০ টাকা করে ফি নিচ্ছেন স্বরূপকাঠি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো: শামসুল হক। সরকারি স্কুলে পড়ে নামমাত্র একটি ফটোকপি কাগজে প্রশংসাপত্রে টাকা নেওয়ার কারনে অভিভাবকদের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে।

শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের অভিযোগ প্রধান শিক্ষক শামসুল হক প্রশংসাপত্র ছাড়াও বছরে নানা কারনে অকারনে নানান ফিস নিয়ে থাকেন। পরীক্ষা ফি,বিদায় চাদা,ভর্তি ফি, স্পোর্টস ফি সহ নানা অযুহাতে তিনি চাদা নেন অভিভাবকদের কাছে। কেহ তার চাহিদামাফিক ফিস না দিলে ওইসব অভিভাবক সেবা থেকে বঞ্চিত থাকেন।

ওই বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণি থেকে সদ্য উত্তীর্ন হওয়া এক ছাত্রীর রিক্সা চালক পিতা মো: রফিকুল ইসলাম অভিযোগ করেন, তার মেয়ে পঞ্চম শ্রেণী থেকে এবছর ৬ষ্ঠ শ্রেণীতে উত্তীর্ন হয়েছে। ৬ষ্ঠ শ্রেণীতে পঠিত বিদ্যালয়ে পঞ্চম শ্রেণী থেকে পাশ করা বিদ্যালয়ের একটি প্রশংসাপত্র প্রয়োজন। তাই প্রশংসাপত্রের জন্য মেয়ের পূর্বপঠিত বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শামসুল হকের কাছে গিয়ে প্রশংসাপত্রের কথা বলি। তিনি আমার কাছে ১২০ টাকা নিয়ে একটি প্রশংসাপত্র দিয়েছেন। যে টাকা পরিশোধ করতে আমার খুব কষ্ট হয়েছে বলে জানান ওই অভিভাবক।

নাম না প্রকাশ শর্তে ওই বিদ্যালয়ের একাধিক অভিভাবক অভিযোগ করেন, প্রধান শিক্ষক শামসুল হক খুবই বদ মেজাজি লোক। বিদ্যালয়ের নানান সেবার কথা বলে তিনি বছরে তাদের কাছে থেকে অর্থ হাতিয়ে নেন। কোন অভিভাবক তার চাহিদামোতাবেক চাদার বিরুদ্ধে কোন প্রতিবাদ করলে তাকে হতে হয় মৌখিক লাঞ্চিত।

স্বরূপকাঠি উপজেলা সদরে বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাসরত এক অভিভাবক অভিযোগ করেন, তার বাচ্চাকে এ বছর ওই বিদ্যালয়ে ভর্তি করিয়েছেন। ভর্তির জন্য তার কাছ থেকে দেড়শ টাকা ভর্তি ফি এবং দেড়শ টাকা স্পোর্টস ফি সহ তিনশত টাকা নেয়া হয়েছে।

প্রশংসাপত্রে টাকা নেওয়ার কথা জিজ্ঞাস করে জানতে চাইলে প্রধান শিক্ষক শামসুল হক বলেন, আমিতো একা নেইনা। উপজেলার সব বিদ্যালয়ে প্রশংসাপত্রে টাকা নেওয়া হয়। এটা অমুল কিছু নয়। প্রশংসাপত্রে টাকা ছাড়া অন্যান্য ফি নেওয়ার কথা জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার বিদ্যালয়ে নানান অডিট এবং অনেক মেহমান আসে। তাদের একটু নাস্তা চায়ের জন্য বছরে আমার অনেক টাকা যায়। তাই মাজেসাজে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে কিছু ফি নেয়া হয়। তবে অভিভাবকরা যতটা বাড়িয়ে বলছে তা মিথ্যা বলে দাবী প্রধান অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক শামসুল হকের।

উপজেলা সহকারি শিক্ষা কর্মকর্তা মো: আরিফ হোসেন বলেন, প্রশংসাপত্রে টাকা নেয়ার কোন বিধান নেই। তিনি বলেন, শুধু প্রশংসাপত্র কেন, শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে কোন ফি নেয়ার নিয়ম নেই। আমি বিষয়টি জেনে নিয়ম অনুযায়ি ব্যবস্থা নেব।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন