পুলিশ কনস্টেবল নিয়োগ দিতে প্রতারণা করে টাকা হাতিয়ে নেয়ার মূলহোতা গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ন আহবায়ক আব্দুল্লাহ আল মেহেদী রাসেলকে খুঁজছে আইন শৃংখলা বাহিনী। রাসেল উপজেলার সর্বানন্দ ইউনিয়নের সাহাবাজ গ্রামের ইমান উদ্দিনের ছেলে ও বামনডাঙ্গা আঃ হক ডিগ্রী কলেজের প্রভাষক।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, গত ২৭ ফেব্রুয়ারি গাইবান্ধা পুলিশ লাইন্সে বাংলাদেশ পুলিশের কনস্টেবল পদে লোক নিয়োগ করা হয়। এরআগে উপজেলার বামনডাঙ্গা ইউনিয়নের তালুক ফলগাছা গ্রামের মৃত বাবর উদ্দিনের ছেলে জাকারিয়া হোসেনের কাছ থেকে তার ছেলে সুলতানকে পুলিশ কনস্টেবল পদে চাকুরি পাইয়ে দেয়ার কথা বলে ৫ লাখ ও আরও এক ব্যক্তির কাছ থেকে ৩ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয় প্রতারক চক্রটি। এই প্রতারক চক্রের মূলহোতা আব্দুল্লাহ আল মেহেদী রাসেল। কিন্তু ওইদিন জাকারিয়ার ছেলে সুলতানের চাকুরি না হওয়ায় প্রতারণা করে টাকা নেয়ার বিষয়টি জানাজানি হয়ে যায়। এক পর্যায়ে বিষয়টি আইন শৃংখলা বাহিনী জানতে পেরে ওইদিন সন্ধ্যায় গাইবান্ধা ডিবি পুলিশ তাৎক্ষনিকভাবে শহরে অভিযান চালিয়ে ওই প্রতারক চক্রের ৪ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেন। এসময় সুচতুর রাসেল পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন উপজেলার সাহাবাজ গ্রামের মৃত হোসেন আলীর ছেলে শফিকুল ইসলাম (৪০), মৃত মকবুল হোসেনের ছেলে গোলাম রব্বানী (৩৮), মৃত আলা বকসের ছেলে শাহ আলম (৩৬) ও মৃত শামছুল হকের ছেলে সাজেদুল ইসলাম সাজু (৪৩)। এঘটনায় জাকারিয়া হোসেন গ্রেপ্তারকৃত ৪ জনসহ পলাতক রাসেলকে আসামি করে সুন্দরগঞ্জ থানায় প্রতারণার অভিযোগে মামলা দায়ের করেন। সেই থেকে রাসেল পলাতক রয়েছে। তাকে গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানা গেছে।
এবিষয়ে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোখলেছুর রহমান বলেন, এ মামলার মূলহোতা রাসেলকে গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এছাড়াও প্রতারণার সাথে আর কেউ জড়িত আছে কিনা তা ক্ষতিয়ে দেখা হচ্ছে। গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতে হাজির করা হলে তারা ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছেন। জবানবন্দী শেষে বিজ্ঞ বিচারক আসামিদের জেলহাজতে প্রেরণ করেছেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন