বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

মহানগর

মাদক মামলায় সাজাপ্রাপ্ত লিটন আইন শৃঙ্খলা-বাহিনীকে নজর এড়িয়ে মাদক ব্যবসা করত

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশের সময় : ৭ মার্চ, ২০২৩, ১০:৫০ এএম

জামিনে বের হয়ে যাবজ্জীবন কারাদন্ড সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি মো. লিটন হাওলাদারকে (৪৫) গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-২। সোমবার রাতে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। মাদক মামলায় যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড সাজাপ্রাপ্ত হয়ে ৩৪ মাস জেল খাটার পর জামিনে বের হয়ে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর নজর এড়িয়ে বিভিন্ন ছদ্মবেশ ধারণ করে আত্মগোপনে থেকে মাদক ব্যবসা চালিয়ে যায় সে।


মঙ্গলবার সকালে র‍্যাব-২ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) সিনিয়র এএসপি মো. ফজলুল হক এ তথ্য জানান।

র‍্যাব জানায়, ২০১৮ সালের ১৭ মে সালে ডিএমপির কদমতলী থানায় মাদক মামলার আসামি লিটন হাওলাদার এর বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন মামলা হয়। মামলায় ৩৪ মাস জেল খাটার পর ২০২১ সালে জামিনে বের হয়ে নিয়মিত হাজিরা না দিয়ে গ্রেপ্তার এড়ানোর জন্য আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে আত্মগোপনে থাকে। আদালত উক্ত মাদক মামলার অবগত সাক্ষীদের সাক্ষ্য গ্রহণ ও তথ্য প্রমাণসহ বিচারিক কার্যক্রম শেষে আসামির বিরুদ্ধে অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় বিশেষ দায়রা জজ ও বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-৩, ২০২২ সালের ২৩ জুন সালে আসামি মো. লিটন হাওলাদারকে (৪৫) যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড দেন।

এরই ধারাবাহিকতায়, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে র‌্যাব-২ এর একটি চৌকস আভিযানিক দল গত ০৬ মার্চ ২০২৩ ইং তারিখ ঢাকার যাত্রাবাড়ী থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি মোঃ লিটন হাওলাদার (৪৫) গ্রেপ্তার করে।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে র‍্যাবের সিনিয়র এএসপি ফজলুল হক জানায়, গ্রেপ্তার আসামি এক জন পেশাদার মাদক চক্রের সদস্য। তার বিরুদ্ধে মাদক এর ২টি মামলা রয়েছে। সে দীর্ঘদিন ধরে বেআইনীভাবে সীমান্ত জেলাসহ দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে নেশা জাতীয় মাদকদ্রব্য রাজধানীর ঢাকায় নিয়ে এসে তার অন্যান্য সংঘবদ্ধ সহযোগীদের কাছে সরবরাহ পূর্বক মাদক ব্যবসা করে আসছিলো।

তিনি বলেন, যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড সাজাপ্রাপ্ত আসামি উক্ত মামলায় ৩৪ মাস জেল খাটার পর জামিনে বের হয়ে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর নজর এড়িয়ে বিভিন্ন ছদ্মবেশ ধারণ করে আত্মগোপনে থেকে মাদক ব্যবসা চালিয়ে যায়। আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদে আরও অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে যা যাচাই বাছাই করে ভবিষ্যতে র‌্যাব-২ এ ধরনের অভিযান অব্যাহত রাখবে।

গ্রেপ্তার আসামির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও জানান র‍্যাবের এই কর্মকর্তা।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন