শক্রবার ০৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ কার্তিক ১৪৩১, ০৬ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষনা : বন্যপ্রানীর অবৈধ বিক্রি চলে সিলেটে!

সিলেট ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ৭ মার্চ, ২০২৩, ৪:৫৯ পিএম

দেশে বন্যপ্রাণীর অবৈধ বেচাকেনা চলে। এসব প্রাণী অবৈধভাবে পাচার করা হয় প্রতিবেশী ভারত, মিয়ানমারসহ প্রতিবেশী কয়েকটি দেশে। যুক্তরাজ্যের কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে পরিচালিত এক গবেষণায় এমন তথ্য উঠে এসেছে
গবেষণা প্রতিবেদন বলছে, দেশের মোট ১৩টি জেলায় বন্যপ্রাণীর বেচাকেনা চলে প্রকাশ্যে। এই তালিকায় আছে সিলেট। এছাড়া রয়েছেন সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, বান্দরবান, গাজীপুর কুষ্টিয়া, ময়মনসিংহ, কিশোরগঞ্জ, মানিকগঞ্জ, গোপালগঞ্জ, রাঙামাটি ও কক্সবাজার । বাংলাদেশে বন্যপ্রাণী বেচাকেনা ও পাচার নিয়ে যুক্তরাজ্যের কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে গবেষণা শুরু হয় ২০১৮ সালের মধ্যভাগে। গবেষণা দলে ৮ জন ছিলেন ।

গবেষক মো. নাসিরউদ্দিনের নেতৃত্বে এই দলে ছিলেন তানিয়া আখতার, আরিফুল ইসলাম, দেলোয়ার হোসেন, তাসনিম আরা, স্যাম ইনোচ, অ্যালিসি হুগেজ ও ক্রেইগ ফুলস্টোন। সম্প্রতি তাদের গবেষণা প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হয়েছে ‘এক্সপ্লোরিং মার্কেট-বেইজড ওয়াইল্ড লাইফ ট্রেড ডাইনামিকস ইন বাংলাদেশ’ শিরোনামে কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে। প্রতিবেদন অনুসারে, বাংলাদেশে যেসব স্থানে বন্যপ্রাণী বেচাকেনা হয়, পরিদর্শন করেছেনসেসব স্থান গবেষক দল। শুধুমাত্র ২০১৯ সালের পরিসংখ্যানে বলা হয়েছে, সে বছর ৯২৮টি বন্যপ্রাণী বেচাকেনা হয়। গবেষক দল ৪২৩ ব্যক্তিকে চিহ্নিত করেছে, যারা বন্যপ্রাণী বেচাকেনার সঙ্গে জড়িত। তাদের পরিচয় অবশ্য গোপন রাখা হয়েছে। পরিচয় গোপন রাখা হবে এমন শর্তে এসব ব্যক্তিদের ৩৩৭ জন গবেষক দলকে সাক্ষাৎকারও দিয়েছেন, যেখানে তারা বন্যপ্রাণী বেচাকেনা, হত্যা ও পাচারের কথা স্বীকার করেছেন। বন্যপ্রানী বিক্রেতাদের মতে, যেসব প্রাণীর চাহিদা পাওয়া যায়, সেগুলোর জন্য দরদাম ঠিক করা হয় আগেভাগেই। এরপর বন থেকে সে প্রাণী ধরে এনে করা হয় বিক্রি।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন