শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

কালীগঞ্জে আগুন থেকে গবাদিপশু বাঁচাতে কৃষক দগ্ধ, ৩টি গরু পুড়ে ছাই

দগ্ধ আরো দু’টি, আড়াই লক্ষাধিক টাকা ক্ষতি

কালীগঞ্জ(ঝিনাইদহ) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৭ মার্চ, ২০২৩, ৫:৩৯ পিএম

আগুনের হাত থেকে গবাদিপশু বাঁচাতে গিয়ে মারাত্মক দগ্ধ হয়েছেন কৃষক খাইরুল ইসলাম। এসময় আগুনে ৩টি গরু পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। দগ্ধ হয়েছে আরো দু’টি গরু। গত সোমবার গভীর রাতে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার ত্রিলোচানপুর ইউনিয়নের বালিয়াডাঙ্গা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আগুনে দগ্ধ কৃষক খাইরুলকে কালীগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

দগ্ধ খাইরুল ইসলামের ভাই কৃষক সামাউল জানান, আমাদের দুই ভায়ের একটা গোয়াল ঘরের মাঝখানে দেওয়াল। প্রতিদিন সন্ধায় গরু ও ছাগল গুলি যার যার মত করে গোয়ালে তুলে তালাবদ্ধ করে রাখা হয়। প্রিতিদিনের ন্যায় সোমবার রাতে দুই ভাইয়ের গরু ছাগল গোয়াল ঘরে রাখার পর রাতে আমরা ঘুমায়ে পড়ি। রাত আনুমানিক সাড়ে ১২টার সময় আমার ভাইপো রাকিবুল ইসলাম সরুপপুর থেকে ওয়াজ শুনে বাড়ি এসে গোয়াল ঘরে আগুন লাগা দেখতে পান। এসময় তিনি আগুন আগুন বলে চিৎকার দেন। তখন পরিবারের লোকসহ আশে-পাশে লোকজন ঘটনাস্থালে এসে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনার চেষ্টা করে। ততক্ষণে তিনটি গরু আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এতে কৃষকের প্রায় আড়াই লক্ষাধিক টাকা ক্ষতি হয়েছে। এসময় আগুনের হাত থেকে আমরা আমাদের গবাদিপশু বাঁচানোর চেষ্টা করি। আমার ভাই খাইরুল ছয়টি ছাগল ও দুই গরু দগ্ধ অবস্থায় বাঁচাতে পারলেও আগুনের লেলিহানে তার শরিলের দু’টি হাত ও মুখ ঝলসে যায়। পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে কালীগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। তিনি জানান, গোয়াল ঘরটি টিন দিয়ে চৌরি করা। আর বৈদ্যুতিক পিলার থেকে বাড়ির মিটার গোয়াল ঘরে উপর দিয়ে নেওয়া কারণে বিদ্যুতের মেইন তারসহ সার্ভিস তার টিনের উপর ঝুলে পড়ে আগুনের সুত্রপাত হয়। খবর পেয়ে মঙ্গলবার সকালে ঘটনাস্থালে এসে পিলার থেকে বিদ্যুতের তার খুলে নেয় বিদ্যুত অফিসের লোকেরা।

কালীগঞ্জ উপজেলা ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার ডঃ শেখ মামুনুর রশিদ জানান, রাতে উপজেলা বালিয়াডাঙ্গা থেকে গোয়াল ঘরে আগুন লাগার সংবাদ পাই। তাৎক্ষনিক ভাবে আমি ঘটনাস্থালে যাওয়ার পথে মধ্যে কাশিপুরের মোড়ে যেয়ে লোকেশন জানার জন্য আবারও কল দিলে আপনাদের আসার দরকার নেই আগুন নিয়ন্ত্রন হয়ে গেছে বলে জানায়।

কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আব্দুর রহিম মোল্ল্যার সরকারি ফোনে একাধিক বার কল দিলেও তিনি ফোনটি রিসিভ করেননি। তবে, থানার ওসি (তদন্ত) হরিদাস রায়কে ফোন দিলে এবিষয়ে কিছু জানেনা বলে এই প্রতিবেদককে জানান।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন