অর্থনৈতিক রিপোর্টার : রসুন, পেঁয়াজ, ভোজ্যতেলের দাম বৃদ্ধির পরে এবার বাড়ছে মুরগির দাম। বাজারে সবজির দাম স্থিতিশীল থাকলেও বেড়েছে বরবটি ও করলার দাম। আগের সপ্তাহে বৃদ্ধির পরে চিনি ও ভোজ্যতেলের দাম স্থিতিমীল রয়েছে।
শুক্রবার রাজধানীর বিভিন্ন পাইকারি ও খুচরা বাজার দেখা গেছে, ফার্মের মুরগি গত সপ্তাহ থেকে প্রতিকেজি ১০ টাকা বেশি দামে ১৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ সপ্তাহে প্রতিকেজি লেয়ার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকায়, যা গত সপ্তাহে ছিলো ১৮০ থেকে ১৯০ টাকা। দেশি মুরগি প্রতিপিসে ১০ থেকে ২০ টাকা বেশি রাখছেন বিক্রেতারা। তবে ছোট-বড় আকারভেবে দেশি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৬০ থেকে ২৮০ টাকা। পাকিস্তানি মুরগি (পিস) ২০০ টাকা এবং কেজিতে বিক্রি হচ্ছে ২৫০ টাকা দরে। গরু ও খাসির মাংস আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে। প্রতিকেজি গরুর গোশত ৩৮০ টাকা এবং খাসির গোশত ৫৬০ থেকে ৫৮০ টাকা।
মুরগি বিক্রেতারা জানান, ফার্মের মুরগির বাচ্চা পিছ প্রতি ২০ টাকা বেশি দামে কিনতে হচ্ছে। এ কারণে ফার্মের মুরগির দাম বেড়েছে। যে বাচ্চা ৩৩ টাকা ছিল, সেই বাচ্চা এখন ৫০ থেকে ৫৫ টাকায় কিনতে হচ্ছে।
এদিকে রাজধানীর খুচরা বাজারে প্রায় দুই মাস ধরে ঊর্ধ্বমুখী রসুনের দাম। তবে গত সপ্তাহে বাজারে নতুন দেশি রসুন আসায় এ সপ্তাহে দেশি রসুন বিক্রি হচ্ছে ১১০ থেকে ১২০ টাকায়। আর আমদানি করা রসুন অপরিবর্তিত দামে কেজিপ্রতি ১৮০ থেকে ২০০ টাকা দরে বিক্রি করছেন বিক্রেতারা। বাজারে অপরিবর্তিত দামে বিক্রি হচ্ছে আলু ও পেঁয়াজ। আলু প্রতিকেজি ১৫ থেকে ১৮ টাকা, পেঁয়াজ প্রতিকেজি ২৮ থেকে ৩০ টাকায় কিনতে হচ্ছে ক্রেতাদের।
বাজার ও ডিমের আকারভেদে রাজধানীর বাজারে অপরিবর্তিত দামে ফার্মের মুরগির ডিম বিক্রি হচ্ছে প্রতিহালি ৩৪ থেকে ৩৬ টাকায়, ডজন ১০০ টাকা। দেশি মুরগির ডিম হালি ৪৫ টাকা, ডজন ১৩৫ টাকা। হাঁসের ডিমের হালি ৪৬ টাকা, ডজন ১৩৫ টাকা।
রাজধানীর কাঁচাবাজার ঘুরে জানা গেছে, চিচিঙ্গা প্রতিকেজি ৩০ টাকা থেকে ৪০ টাকা, বরবটি ৫০-৫৫ টাকা ও ঢেড়স কেজিতে দাম বেড়ে হয়েছে ৬০ টাকায়। গেল সপ্তাহে ৩০ টাকা থাকলেও কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে শশা বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়, হালি প্রতি লেবু ২০ থেকে ৩৫ টাকা এবং কাচা মরিচের কেজি ৫০ টাকা। ধনে পাতা কেজি ৬০ টাকা হলেও পুদিনা পাতায় যেন লেগেছে আগুন। কেজি ১৫০ টাকা। কচু ডাটা ৪০ টাকা কেজি, বরবটি ৬০ টাকা। যদিও স্থিতিশিল রয়েছে বেগুন, ফুলকপি ও বাধাকপিতে। বাজারে গাজর ও টমেটো পাওয়া যাচ্ছে ২৫ থেকে ৩০ টাকায়। মিষ্টি আলু ৪০ টাকা, লাল ও নতুন দেশি আলু ২০ থেকে ২৫ টাকা, করলা ৩০ টাকা, শিম ২০ টাকা এবং লাউ পিস বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়।
এদিকে ডাটা ২০-২৫ টাকা, কলমি শাক ১৫ টাকা, লাউ শাক ১৫ টাকা আটি। লাল শাক আটি ৫ টাকা। পেঁপে ২৫ টাকা, মুলা ২০ টাকা, জালি কুমড়া পিস ছোট ২০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া কেজি ২০ টাকা।
মাছের বাজার স্থিতিশীল থাকলেও বেড়েছে কিছু কিছু মাছের দাম। প্রতি কেজি বড় আকারের কাতল মাছের দাম ৩৬০-৪০০ টাকা, ছোট টেংরা ৪০০ টাকা, বড় টেংরা ৬০০ টাকা, বাটা ২০০-২২০ টাকা, ছোট চিংড়ি ৪৮০-৫৫০ টাকা, বড় চিংড়ি ১২০০ টাকা কেজি। কৈ ২০০-২২০ টাকা, পাঙ্গাসের দাম কিছুটা বেড়ে ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা, তবে বড় পাঙ্গাসের কেজি ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা কেজি। সিলভার কার্প ১৫০-১৮০ টাকা, মাঝারি শিং মাছ ৪৫০-৫০০ টাকা, তেলাপিয়া মাছ ১৫০-২০০ টাকা, মাঝারি আকারের রুই ৩৫০। মাঝারি আকারের জোড়া ইলিশ ১২শ’ টাকা থেকে ১৫শ’ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। ছোট পুটি মাছ কেজি ৪০০ টাকা, বোয়াল ২০০ টাকা, টাকি ২৫০ টাকা, চিতলের দাম ৮০০ থেকে ১০০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। গছি মাছের দাম আকাশ ছোয়াই রয়ে গেছে, কেজি ১২০০ টাকা।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন