স্টাফ রিপোর্টার : সুদীর্ঘ বর্ণাঢ্য জীবনের অধিকারী প্রখ্যাত ভাষা সৈনিক, প্রবীণ সাংবাদিক অধ্যাপক আব্দুল গফুরের জন্মদিনের অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেছেন, তিনি কর্মচাঞ্চল্যতার প্রতীক। তমদ্দুন মজলিসের সূচনা থেকেই তার কর্মতৎপরতা ছিল উল্লেখ করার মতো। ভাষা আন্দোলনের প্রত্যক্ষ এই সৈনিক আজীবন সংগ্রাম, ত্যাগ ও বিসর্জনের মধ্য দিয়ে জীবনাতিপাত করেছেন। কয়েকবার সরকারি চাকরিকে বিসর্জন দিয়ে দেশ ও দেশের মানুষের মুক্তির জন্য সংগ্রাম করেছেন।
বক্তারা বলেন, অধ্যাপক আবদুল গফুরের মতো আরো অনেক দেশপ্রেমীদের হাত ধরেই দেশের রাজনীতি গড়ে উঠেছে। অথচ সেই রাজনীতিবিদরা তাদের মতো মহান মনীষীদের ভুলে গিয়ে নিজেদের আখের গোছানোয় ব্যস্ত। যা আসলেই অত্যন্ত দুঃখজনক।
বক্তারা বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অথবা ঢাকা কলেজে তার নামে একটা চেয়ার অথবা ঢাকা শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে একটি সড়ক নামকরণের দাবি জানান। তার সহচর্যে থেকে কাজ করার ও দিক-নির্দেশনার কথা স্মৃতিচারণ করেন। বক্তাগণ তার সুস্থতা কামনা করেন এবং দেশ ও দেশের মানুষের কল্যাণে আরো অবদান রাখার জন্য একুশে পদকপ্রাপ্ত এ মহান কর্মবীরের দীর্ঘায়ু কামনা করেন।
গতকাল অধ্যাপক আব্দুল গফুরের ৮৭তম জন্মদিন উপলক্ষে তার বাসভবনে অনুষ্ঠিত এ অনুষ্ঠানে তাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান তমদ্দুন মজলিসের কেন্দ্রীয় কমিটি, মহানগর কমিটি, বনানী সাহিত্য সংসদ, ফররুখ গবেষণা ফাউন্ডেশন সিএনসি। এছাড়াও তাকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান ড. মুহাম্মদ সিদ্দিক, এম.এ. হান্নান, অধ্যাপক মো. মনিরুজ্জামান, আদেলউদ্দীন আল মাহমুদ, মোহাম্মদ তাওহিদ খান, সোহরাব আসাদ, ওয়াহিদ আল হাসান, মো. মনিরুল ইসলাম, খন্দকার সোহান, সুজন মাহমুদ প্রমুখ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন