শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাতীয় সংবাদ

২০১৭ সাল এলো এক সেকেন্ড বিলম্বে

| প্রকাশের সময় : ১ জানুয়ারি, ২০১৭, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : ‘লিপ ইয়ারে’ যেমন আরো একটি দিন যুক্ত হয় তেমনি ‘লিপ সেকেন্ডে’ যুক্ত হয় আরো একটি সেকেন্ড। এ রকম একটি সেকেন্ড যুক্ত হয়ে নতুন বছর এসেছে এক সেকেন্ড বিলম্বে। পৃথিবীর ঘূর্ণনে শ্লথ গতির কারণে পিছিয়ে পড়া পুষিয়ে দিতেই এই সেকেন্ডটি যুক্ত হয়েছে।
অতিরিক্ত এই এক সেকেন্ড সময় যোগ করা হয় নতুন বছর শুরু হওয়ার আগে, মধ্যরাতে, ঘড়িতে যখন ঠিক ২৩:৫৯:৬০ বাজে, সেই সময়ে। ফলে ২০১৭ সাল এসেছে একটু দেরিতে।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, পৃথিবী যখন নিজে একবার ঘোরে তখন তার গতি কম বেশি হতে পারে। ফলে কোন একটি দিন অন্য একটির চাইতে বড় বা ছোট হতে পারে। আর সময়ের এই ব্যবধান যখন খুব বেশি বেড়ে যায়, তখনই যোগ করা হয় অতিরিক্ত এই একটি সেকেন্ড, যাতে সবকিছুর মধ্যে সামঞ্জস্য বজায় থাকে।
এই ‘লিপ সেকেন্ড’ শেষবারের মতো হয়েছিলো ২০১৫ সালের জুন মাসে। আর এ নিয়ে মোট ২৭ বার এ ধরনের ঘটনা ঘটছে। বিজ্ঞানীরা বলছেন, স্ট্যান্ডার্ড টাইম বা মান সময় এটমিক ক্লক থেকে পিছিয়ে পড়ার কারণে সময়ে এই পরিবর্তন আনতে হয়।
সারা বিশ্বের সব ঘড়িতেই এই পরিবর্তন আনা হবে যাতে সময়ের একটা সমন্বয় ঘটে।
পৃথিবী তার নিজের চারদিকে একবার ঘোরে চব্বিশ ঘণ্টায়। কিন্তু সেটি কখনো সামান্য দ্রুত আবার কখনো সামান্য শ্লথও হতে পারে। তবে কখন দ্রুত আর কখন শ্লথ হবে সেটা আগে থেকে বোঝা যায় না।
যুক্তরাজ্যে বিজ্ঞানী পিটার হুইবারলি বলেছেন, পৃথিবীর ঘূর্ণনের সাথে তাল মিলিয়ে সময় ধরে রাখতে এটমিক ক্লক কয়েক লাখ গুণে ভালো। তিনি বলেন, ‘পৃথিবীর সময় থেকে যেনো সময় হারিয়ে না যায় সেজন্যেই এই লিপ সেকেন্ড’।
‘যে ক্ষণটা হারিয়ে যায় সেটা খুব অল্প একটু সময়। যদি এই সময়টা ঠিক করা না হয় তাহলে এক ঘণ্টার ব্যবধান তৈরি হতে সময় লাগবে এক হাজার বছর,’ বলেন তিনি।
পৃথিবীর এই ঘূর্ণনের উপর নজর রাখে ফ্রান্সে ইন্টারন্যাশনাল আর্থ রোটেশান এন্ড রেফারেন্স সিস্টেমস সার্ভিস।
এখান থেকেই ঘোষণা করা হয় কখন এই লিপ সেকেন্ড যোগ করার প্রয়োজনীয়তা তৈরি হয়েছে। সূত্র : বিবিসি।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন