শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

মহানগর

অ্যাসেনসিয়াল ড্রাগ্সে ইউনিয়নের নামে নৈরাজ্য ভোট ছাড়াই কমিটি হাইকোর্টের রায় উপেক্ষা

প্রকাশের সময় : ২০ জানুয়ারি, ২০১৬, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : কথিত কর্মচারী ইউনিয়ন (সিবিএ) নেতাদের দাপটে দিশেহারা অ্যাসেনসিয়াল ড্রাগ্স কোম্পানী লি.। শ্রমিকদের প্রত্যক্ষভোটের মাধ্যমে প্রতি ২ বছর অন্তর অন্তর কর্মচারী ইউনিয়নের কমিটি গঠন করার নিয়ম থাকলেও ২০০০ সালের পর থেকে কোন নির্বাচন হয়নি। বর্তমান ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর ২০১১ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত কাজী ওবায়দুর রহমান ও সরদার আলমগীর হোসেন যথাক্রমে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন। ক্ষমতার অপব্যবহার করে শ্রমিকদের জিম্মি করে কোন ধরণের নির্বাচন ছাড়াই প্রতি ২ বছর পর পর তাদের মেয়াদ বাড়িয়ে নিচ্ছেন। ইউনিয়নের নাম ভাঙ্গিয়ে টেন্ডার, বদলি, নিয়োগ বাণিজ্যেসহ বিভিন্ন অনিয়মের মহোৎসব তৈরি করেছেন প্রতিষ্ঠানটিতে। কর্মচারীরা গত ২৫ নভেম্বর প্রতিবাদ করে কমিটির বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিট করেন। রিটের বদৌলতে ওই দিনই ২ মাসের জন্য কার্যকরী কমিটির কার্যক্রমের স্থগিতাদেশের রায় দেয় হাইকোর্ট। পরবর্তীতে বর্তমান কমিটি হাইকোর্টকে চ্যালেঞ্জ করে রিট আবেদন তা খারিজ করে দেয় আদালত। একই সঙ্গে বর্তমান কমিটির বিরুদ্ধে গত ১১ জানুয়ারি নতুন করে ৩ মাসের স্থগিতাদেশ জারি করেন আদালত। কিন্তু এরপরও নিজেদের পরিচয় থেকে সব ধরণের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে কমিটি বলে অভিযোগ উঠেছে।
অ্যাসেনসিয়াল ড্রাগ্স কোম্পানী লি.’র কর্মচারীরা জানান, ২ বছর পর পর নির্বাচনের কথা থাকলেও ২০০০ সালের পর প্রতিষ্ঠানটিতে কোন ধরণের নির্বাচন হয়নি। ক্ষমতার অপব্যবাহর করে দীর্ঘদিন ধরে পদ আগলে রেখেছেন ওবায়দুর রহমান ও সরদার আলমগীর হোসেন। তারা জানান, বর্তমান কমিটির নেতৃবৃন্দ তাদের কথামতো কাজ না হওয়ায় একাধিকবার কর্মচারী এবং উধ্বর্তন কর্মকর্তাদের লাঞ্চিত করেছেন।
জানা যায়, ২০১১ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি শ্রম অধিদপ্তরের অসাধু কর্মকর্তাদের সহায়তায় প্রহসনমূলক নির্বাচন দেখিয়ে ওবায়দুর রহমান ও সরদার আলমগীর হোসেন কর্মচারী ইউনিয়নের দায়িত্ব নেয়। পরবর্তীতে একই ভাবে ২০১৩ সালের ১১ জানুয়ারি এবং গত ৩ জানুয়ারি কার্যকরি পরিষদ গঠিন ঘরে। অথচ শ্রমিকদের প্রত্যক্ষভোটের মাধ্যমে ২ বছর পর পর কমিটি গঠন করার কথা।
এ সম্পর্কে কথা বলতে সভাপতি ওবায়দুর রহমানের মোবাইলে যোগাযোগ করলে তার নম্বর বন্ধ পাওয়া যায়। সাধারণ সম্পাদক সরদার আলমগীর হোসেন বিভিন্ন অভিযোগ সম্পর্কে তিনি বলেন, কাজ করতে গেলে অভিযোগ আসবেই। সবাইকে খুশি করা যায় না। একটি গ্রুপের স্বার্থ হাসিল করতে কমিটির বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে। হাইকোর্ট নতুন করে ৩ মাসের জন্য কমিটির কার্যক্রমে স্থগিতাদেশ প্রদান করেছে জানতে চাইলে আলমগীর হোসেন বলেন, আগামী ২১ জানুয়ারি রায়ে জিতলে সব ঠিক হয়ে যাবে। নির্বাচনের মাধ্যমে পূর্বে কমিটি গঠন করা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ইন্টারনাল ভোটে কমিটি হয়েছে। একই সঙ্গে দুই বারই নির্বাচন হয়েছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন