বুধবার ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাতীয় সংবাদ

‘শিক্ষাখাতে সঠিকভাবে বিনিয়োগ করলে ১৯ গুণ সুফল মিলবে’

| প্রকাশের সময় : ৫ জানুয়ারি, ২০১৭, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : বিনিয়োগ হিসেবে শিক্ষা সবচেয়ে লাভজনক হলেও এ খাতে প্রত্যাশা অনুযায়ী বাজেট বরাদ্দ দেয়া হচ্ছে না। অথচ শিক্ষাখাতে সঠিকভাবে প্রারম্ভিক শিশু বিকাশে এক টাকা বিনিয়োগ করলে তার বিপরীতে ১৯ গুণ সুফল মিলবে বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষাবিদেরা। গতকাল বুধবার রাজধানীর মহাখালীর ব্র্যাক সেন্টারে আয়োজিত ‘বাংলাদেশের শিক্ষাখাতে নীতিগত অগ্রাধিকার’ শীর্ষক সেমিনারে মূল প্রবন্ধে এ তথ্য তুলে ধরা হয়। বাংলাদেশ সরকারের রূপকল্প ২০২১ বাস্তবায়নে করণীয় নিয়ে সুপারিশমালা তুলে ধরতে ব্র্যাক ও আন্তর্জাতিক গবেষণা সংস্থা কোপেনহেগেন কনসেনসাস সেন্টারের যৌথ আয়োজনে এ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী অ্যাডভোকেট মোস্তাফিজুর রহমান। বিশেষ অতিথি ছিলেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব চৌধুরী মুফাদ আহমেদ। সভাপতিত্ব করেন ব্র্যাকের শিক্ষা কর্মসূচির পরিচালক ড. শফিকুল ইসলাম।
প্রথম সেশনে ব্র্যাকের অ্যাডভোকেসি ফর সোশ্যাল চেইঞ্জ কর্মসূচির পরিচালক কে এ এম মোর্শেদের সঞ্চালনায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ইউনিসেফ বাংলাদেশের প্রতিনিধি এডওয়ার্ড বেগবেদার,  সেভ দ্য চিলড্রেনের শিক্ষা কর্মসূচির পরিচালক তালাত মাহমুদ, ব্র্যাকের গবেষণা ও মূল্যায়ন বিভাগের পরিচালক প্রফেসর আব্দুল বায়েস, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের  শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউট এর শিক্ষক প্রফেসর ড. এস এম হাফিজুর রহমান প্রমুখ।
সেমিনারে ‘দক্ষতামূলক প্রশিক্ষণের স্বীকৃতি’ শীর্ষক মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. অতনু রাব্বানি। এ ছাড়া ‘বিলম্বে শিশু বিয়ে ও শিক্ষার মাধ্যমে পুষ্টি উন্নয়ন’ শীর্ষক অন্য আর একটি প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন নর্থ-সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সহকারী শিক্ষক ড. আহসানুজ্জামান। সূচনা বক্তব্য রাখেন কোপেনহেগেন কনসেনসাস সেন্টারের আউটরিচ ম্যানেজার হাসানুজ্জামান জামান।
মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘বাংলাদেশের শিক্ষাখাতে নীতিগত অগ্রাধিকার দেয়ার বিষয়টিই মুখ্য। একই সঙ্গে বাংলাদেশ সরকার শিশু ও মাধ্যমিক শ্রেণিতে ছাত্রীদের জন্য মনো-সামাজিক উদ্দিপণা প্রদানের বিষয়টিকে প্রাধান্য দেবে।’
ইউনিসেফ প্রতিনিধি এডওয়ার্ড বেগবেদার বলেন, ‘কোপেনহেগেন কনসেনসাস ও ব্র্যাক আয়োজিত সেমিনারটি সত্যিই গুরুত্বপূর্ণ। আমি মনে করি, এ ধরনের আলোচনায় যেসব পদক্ষেপের কথা বলা হয়েছে, সরকার তা ইতিবাচকভাবে নেবে এবং আমরা তা বাস্তবায়নের জন্য বিবেচনা করব।’
ড. শফিকুল ইসলাম বলেন, বাজেট বৃদ্ধির পাশাপাশি আমাদের মানসম্মত শিক্ষার বিষয়টিও গুরুত্ব দিতে হবে। ড. অতনু রাব্বানি তার মূল প্রবন্ধে উল্লেখ করেন, শিক্ষাখাতে সঠিকভাবে প্রারম্ভিক শিশু বিকাশে এক টাকা বিনিয়োগ করলে তার বিপরীতে ১৯ গুণ সুফল মিলবে। এছাড়া অল্প শিক্ষিত গার্মেন্ট বা কারখানার শ্রমিকদের প্রশিক্ষিত ও ব্যবস্থাপনায় দক্ষতার জন্য বিনিয়োগ করলে এক টাকার বিপরীতে ৫ দশমিক ৪ টাকার সুফল পাওয়া সম্ভব।  
দ্বিতীয় সেশন সঞ্চালনা করেন ব্র্যাকের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও জলবায়ু পরিবর্তন কর্মসূচির পরিচালক গওহার নঈম ওয়ারা। সেমিনারে বক্তারা যেসব চ্যালেঞ্জের কথা উল্লেখ করেন তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- গুণগত শিক্ষার অভাব, প্রাথমিক পর্যায়ের পর মাধ্যমিক পর্যায়ে ঝরে পড়ার হার বৃদ্ধি, শিশুদের মেধাভিত্তিক ভাগ না করে শিক্ষা দেয়া, শিক্ষা ব্যবস্থাপনায় ত্রুুটি, শিক্ষক স্বল্পতা, শিক্ষকদের জবাবদিহিতা কম থাকা ইত্যাদি

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন