চট্টগ্রাম ব্যুরো : নি:স্ব, হতদরিদ্র ও দারিদ্র্য জনগোষ্ঠীর হোল্ডিং ট্যাক্স মওকুফ থাকবে উল্লেখ করে সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেছেন, অস্বচ্ছলদের উপরও কোনো ধরনের জুলুম করা হবে না। তবে বিত্তবান ও সক্ষম নাগরিকদের সরকার নির্দিষ্ট হাওে হোল্ডিং ট্যাক্স পরিশোধ করতে হবে। কারণ হোল্ডিং ট্যাক্সের উপর নির্ভর করে সিটি করপোরেশনের যাবতীয় সেবা ও প্রশাসনিক ব্যয় নির্বাহ হয়ে থাকে।
মেয়র কৃতি শিক্ষার্থীদের সুনাগরিক হিসেবে গড়ে উঠার উপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, জ্ঞানের আলোতে আলোকিত মানুষ ছাড়া দেশ ও জাতির উন্নয়ন ও কল্যাণ সম্ভব নয়। সে কারণে নীতি-নৈতিকতায় চরিত্রবান নাগরিক হিসেবে গড়ে উঠার সময় হলো শিক্ষাজীবন।
গতকাল (শুক্রবার) বিকেলে নগরীর ২৪ নম্ব্র উত্তর আগ্রাবাদ ওয়ার্ডস্থ শ্যামলী আবাসিক এলাকায় স্থানীয় নাগরিকদের আয়োজিত ডাস্টবিন বিতরণ, কৃতী শিক্ষার্থী সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। স্থানীয় আওয়ামী লীগের সভাপতি সৈয়দ মোহাম্মদ জাকারিয়া অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন।
এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন ২৪ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের স্বাস্থ্য ও শিক্ষাবিষয়ক স্থায়ী কমিটির সভাপতি নাজমুল হক ডিউক, শ্যামলী আবাসিক কল্যাণ সমিতির সাবেক সভাপতি সৈয়দ মোহাম্মদ সাদেকুর রহমান, সাবেক সাধারণ সম্পাদক নুরুল আমিন ভূঁইয়া, বর্তমান সভাপতি আলমগীর হোসেন পিলু, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইলিয়াছ খোকা।
অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগ, আওয়ামী যুবলীগ, আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও ছাত্রলীগের বিভিন্নস্তরের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। মেয়র পিইসি, জেএসসি ও এসএসসি পরীক্ষায় কৃতী শতাধিক ছাত্র-ছাত্রীদের পুরস্কার তুলে দেন। এ সময় তিনি শ্যামলী আবাসিক এলাকার বাসিন্দাদের মাঝে আবর্জনা রাখার জন্য বিন বিতরণ করেন।
মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন আরো বলেন, তার ভিশন ও পরিকল্পনা অনুযায়ী চট্টগ্রামকে বাসপোযোগী, নান্দনিক ও বিশ্বমানের নগরী হিসেবে গড়ে তোলা হবে। এ লক্ষ্যে অবকাঠামোগত উন্নয়ন, সড়ক ও রাস্তা সম্প্রসারণ ও উন্নয়ন, নালা-নর্দমা গভীর ও বড় করা, পুরাতন খালের ধারণক্ষমতা বৃদ্ধি, অবৈধ দখল উচ্ছেদ এবং নতুন নতুন খাল খননসহ বহুমুখী উন্নয়নের মহাপরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, মদুনাঘাট থেকে পতেঙ্গার নেভাল একাডেমি পর্যন্ত প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার কোটি টাকার প্রকল্প একনেকে বিবেচনাধীন আছে। এ ছাড়াও এক হাজার পাঁচ শত কোটি ও দুই হাজার কোটি টাকার অপর দুটি প্রকল্প প্রক্রিয়াধীন আছে। নগরীকে আলোকিত করার লক্ষে এলইডি লাইটিং খাতে প্রায় ৩২ কোটি টাকার প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে। তিনি আশা করেন, তিন অর্থ বছরের মধ্যে শতভাগ নাগরিক সেবা পৌঁছে দেয়া সম্ভব হবে। মেয়র তার পরিকল্পনা বাস্তবায়নে নগরবাসীর সহযোগিতা কামনা করেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন