স্টাফ রিপোর্টার : রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে সংলাপ শেষ হওয়ায় প্রেসিডেন্টের কাছ থেকে একটি নিরপেক্ষ সার্চ কমিটি প্রত্যাশা করছে বিএনপি।
৩১টি রাজনৈতিক দলের সাথে প্রেসিডেন্ট আবদুল হামিদের নির্বাচন কমিশন সংলাপ শেষ হওয়ার প্রেক্ষাপটে অভিমত জানাতে চাইলে গতকাল সাংবাদিকদের কাছে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দলের এই প্রত্যাশার কথা জানান।
তিনি বলেন, আমরা ইতিবাচক রাজনীতি করি এবং এর মধ্যদিয়ে নির্বাচন কমিশন গঠন করবার জন্য আমাদের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া একটি অত্যন্ত সুন্দর প্রস্তাবনা দিয়েছিলেন। সেই প্রস্তাবনার ভিত্তিতেই প্রেসিডেন্ট বিভিন্ন রাজনৈতিক দলকে ডেকেছেন, কথা বলেছেন। এখন আমরা আশা করবো, মহামান্য প্রেসিডেন্ট সত্যিকার অর্থে একটি নিরপেক্ষ সার্চ কমিটির মাধ্যমে একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠন করবেন যা সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন পরিচালনা করবার জন্য যোগ্য হবে।
নিরপেক্ষ সার্চ কমিটি না হলে আপনারা কী করবেন প্রশ্ন করা হলে মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, আমরা আগেই বলেছি যে, নিরপেক্ষ সার্চ কমিটি ও নির্বাচন কমিশন গঠন না হয়, এদেশের মানুষ কখনোই তা গ্রহণ করবে না।
গত এক মাসে ৩১টি রাজনৈতিক দলের সাথে নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে মহামান্য প্রেসিডেন্ট আবদুল হামিদ আলোচনা করেছেন। গত বুধবার শেষ হয়েছে। ১৮ ডিসেম্বর বিএনপির সাথে আলোচনার মধ্যদিয়ে এই সংলাপ শুরু করেন প্রেসিডেন্ট।
কাজী রকিবউদ্দীন আহমদের নেতৃত্বাধীন বর্তমান নির্বাচন কমিশনের মেয়াদ শেষ হচ্ছে ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে। বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী পাঁচ বছর মেয়াদী নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনের এখতিয়ার প্রেসিডেন্টের।
সংবিধানের ১১৮ অনুচ্ছেদে বলা আছে, প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং অনধিক চারজন নির্বাচন কমিশনারকে নিয়ে এই নির্বাচন কমিশন হবে। এ বিষয়ে প্রণীত আইনের বিধান অনুযায়ী প্রেসিডেন্ট কমিশন নিয়োগ দেবেন।
শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৮১তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে নেতা-কর্মীরা নেতার মাজারে পুস্পস্তবক অপর্ন করেন।
রাজনৈতিকগুলোর নিজেদের মধ্যে সংলাপ করতে প্রেসিডেন্টের আহ্বান প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আমরা বরাবরই প্রেসিডেন্টের এই বক্তব্যই বলে এসেছি আজ থেকে নয়, প্রথম থেকে। গণতন্ত্র কখনো ফলোপ্রসূ হবে না, কার্যকরী হবে না, যদি রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে আলাপ-আলোচনা না থাকে। একটা সহনশীল সমঝোতার মধ্য দিয়ে, সংলাপের মধ্যদিয়ে গণতন্ত্র বিকশিত হয়। সেটা আমাদেরও কথা। প্রেসিডেন্ট সেটা বলেছেন, সেজন্য তাকে ধন্যবাদ। আমরা আশা করবো প্রেসিডেন্ট এই ব্যাপারে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।
দেশে গণতন্ত্র অবরুদ্ধ উল্লেখ করে তিনি বলেন, বরাবর বলে এসেছি, একদলীয় শাসনব্যবস্থা ১৯৭৫ সালে এদেশের মানুষ বাতিল করে দিয়েছিলো, তা প্রত্যাখান করেছিলো, আবার ভিন্ন আঙ্গিকে একদলীয় শাসন চাপিয়ে দেয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। মানুষের অধিকারগুলোকে হরণ করা হচ্ছে, গণতন্ত্রকে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে। তারই বিরুদ্ধে গোটা দেশের মানুষ সংগ্রাম করছে। দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার সংগ্রাম অব্যাহত রাখবো এই দীপ্ত শপথ আজকে আমরা গ্রহণ করেছি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন