রাজশাহী ব্যুরো : রাজশাহী নগরীর নওদাপাড়া এলাকায় অবস্থিত নগর মাতৃসদন আরবান প্রাইমারি হেলথ কেয়ার থেকে গত বৃহস্পতিবার রাতে একটি নবজাতক চুরি হয়ে গেছে। এ ঘটনায় নবজাতকটির নানী রোজিনা খাতুন বাদী হয়ে অজ্ঞাত এক নারীসহ দু’জনকে আসামি করে শাহমখদুম থানায় মামলা করেছেন। পুলিশ ওই ক্লিনিকের নার্স এলিজাবেথ ও মামলার প্রধান আসামি তহুরা বেগম (৪৬) নামের এক নারীকে আটক করেছে। তাদের মধ্যে এলিজাবেথকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়। প্রসূতি মুক্তি খাতুনের ওই নবজাতকটি আর পাওয়া যায়নি। মুক্তি রাজশাহীর পবারচর শ্যামপুর এলাকার রাজমিস্ত্রী নাসির উদ্দিনের স্ত্রী। এ ঘটনার পরে মুক্তি মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন। নবজাতকটির মামা শহিদুল ইসলাম জানান, গত বৃহস্পতিবার মুক্তি খাতুনের প্রসব বেদনা ওঠে। এ সময় নগরীর দাশপুকুর এলাকার হুমায়ন কবিরের স্ত্রী ও আরবান হেলথ কেয়ারের মাঠকর্মী তোহুরা খাতুন অজ্ঞাত এক নারীকে নিয়ে মুক্তির বাড়িতে যান।
অজ্ঞাত ওই নারী দরিদ্র প্রসূতিদের নিয়ে কাজ করছেন বলে এ সময় জানান। অজ্ঞাত ওই নারী এবং তার সহযোগী তহুরার কথামতো প্রসূতি মুক্তি খাতুনকে বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে নগরীর নওদাপাড়া আরবান ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়। এরপর সিজারিয়ানের মাধ্যমে এশটি ছেলেসন্তান জন্ম দেন মুক্তি। সিজারের প্রাথমিক খরচ বাবদ চার হাজার টাকা আরবান ক্লিনিক কর্তৃপক্ষকে প্রদান করেন অজ্ঞাত ওই নারী।
মামলার বাদী ও নবজাতকটির নানী রোজিনা খাতুন জানান, নবজাতকটি জন্ম নেয়ার আগ থেকেই মামলার প্রধান আসামি তোহুরা বেশ কয়েকবার প্রসূতির বাড়িতে যান। প্রসববেদনা ওঠার দিনই তোহুরা অজ্ঞাত ওই নারীকে সঙ্গে নিয়ে মুক্তিদের বাড়িতে যান এবং নবজাতক জন্ম নেয়ার পরও তোহুরা এবং অজ্ঞাত ওই নারী ক্লিনিকেই ছিলেন। রাত সাড়ে ৯টার দিকে নানী ঘুমিয়ে পড়লে তার নিকট থেকে নবজাতকটিকে নিয়ে দাদীর কাছে রাখার কথা বলে অজ্ঞাত ওই নারী সটকে পড়েন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন