যুক্তরাষ্ট্রের ৪৫তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার এই দায়িত্বভার গ্রহণের মধ্য দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও বিশ্বে নতুন যুগের সূচনা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র ও বিশ্ব ওবামা যুগ থেকে ট্রাম্প যুগে প্রবেশ করেছে। বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিধর ও প্রভাবশালী দেশ যুক্তরাষ্ট্র। তার প্রেসিডেন্টের ক্ষমতা, প্রভাব, উৎসাহ ও মন্ত্রণা কেবল যুক্তরাষ্ট্রই নয়, বিশ্বব্যাপী বিস্তৃত। বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট কেবল যুক্তরাষ্ট্রেরই নন, ভিন্নার্থে বিশ্বেরও প্রেসিডেন্ট। সঙ্গতকারণেই যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচন, ক্ষমতার পালাবদল ও নতুন প্রেসিডেন্টের দায়িত্বভার গ্রহণÑ সবকিছুর ব্যাপারেই বিশ্বের রাষ্ট্রসমূহ ও জনগণের বিশেষ দৃষ্টি ও নজর থাকে। গত নভেম্বরের নির্বাচন, ট্রাম্পের অভাবিত বিজয় এবং ২০ জানুয়ারি ঐতিহ্যবাহী অনুষ্ঠানাদির মাধ্যমে তার প্রেসিডেন্ট হিসেবে অভিষিক্ত হওয়া পর্যন্ত এটা লক্ষ্য করা গেছে। প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ গ্রহণের পর ট্রাম্প অভিষেক ভাষণে কি বলেন সেটা শোনা ও জানার জন্যও যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের জনম-লীর আগ্রহ ও উৎসাহ নিতান্ত কম ছিল না। ওই ভাষণ তাদের কতটা সন্তুষ্ট করতে পেরেছে তা একটি বিরাট প্রশ্ন। ভাষণে কট্টর মার্কিন জাতীয়তাবাদের প্রতিফলন রয়েছে। বিশ্বের ঐক্য, সংহতি, শান্তি, নিরাপত্তা ও সমৃদ্ধির কোনো বার্তা তাতে নেই। ট্রাম্প তার ভাষণে ঘোষণা করেন, এখন থেকে তার প্রশাসন শুধু ‘সবার আগে আমেরিকা’, এই দৃষ্টিভঙ্গি দ্বারা পরিচালিত হবে। এখন থেকে প্রতিটি সিদ্ধান্ত, তা অভ্যন্তরীণ বা পররাষ্ট্রনীতি-বিষয়ক হোক, যুক্তরাষ্ট্র ও এর নাগরিকদের স্বার্থ মাথায় রেখে গৃহীত হবে। রাজনীতিকদের কটাক্ষ করে তিনি বলেন, এতদিন রাজনীতিকরা কেবল নিজেদের স্বার্থ রক্ষায় কাজ করেছেন। এতে তারা লাভবান হয়েছেন। ক্ষতির শিকার হয়েছে আমেরিকার সাধারণ মানুষ। তিনি ঘোষণা দেন, আজ আমরা ওয়াশিংটন থেকে ক্ষমতা হস্তান্তর করে, আপনাদের দেশের মানুষের কাছে তুলে দিচ্ছি। তিনি বিশ্বের ক্ষমতা আমেরিকার জনগণের কাছে ফিরিয়ে আনার অঙ্গীকার করেন। বলেন, আমরা, আমেরিকান জনগণরা দেশকে পুনর্গঠনে এক মহান জাতীয় প্রচেষ্টায় যোগ দিয়েছি। আমরা আমেরিকা ও বিশ্বের দীর্ঘস্থায়ী পথচলা নির্ধারণ করব। বলার অপেক্ষা রাখে না, যুক্তরাষ্ট্র ও বিশ্বের অনেকেই আশাবাদী ছিলেন এই ভেবে যে, ট্রাম্পের অভিষেক ভাষণ এমন হবে, যা যুক্তরাষ্ট্রের গণতন্ত্র শক্তিশালী ও জাতীয় ঐক্য নিরঙ্কুশ করতে অনুপ্রেরণা জোগাবে। একই সঙ্গে বিশ্বের জন্য থাকবে শুভ সংবাদ ও দিকনির্দেশনা। ভাষণে আশ্বস্ত হওয়ার তেমন কিছু নেই। উদ্বিগ্ন হওয়ার কারণ রয়েছে যথেষ্ট। ট্রাম্পের উগ্র মার্কিন জাতীয়তাবাদী চিন্তা-ভাবনা বিশেষ করে হোয়াইট সুপ্রিমেসি প্রতিষ্ঠার প্রয়াস অধিকাংশ মার্কিন নাগরিকের পছন্দ নয়। এই কার্ডটি খেলে তিনি নির্বাচনে বিজয়ী হলেও কল্যাণবৃদ্ধিসম্পন্নœ মার্কিন নাগরিকেরা বরাবরই বিরোধিতা করে আসছে। তার অভিষেকের দিন যে প্রতিবাদ-বিক্ষোভ হয়েছে, মার্কিন ইতিহাসে তা নজিরবিহীন। জরিপে দেখা গেছে, তার প্রতি সমর্থন ৪০ শতাংশের বেশি নয়। তার ভাষণ যুক্তরাষ্ট্রের কিছু মানুষকে খুশি করতে পারলেও অধিকাংশ মানুষই হতাশ। অন্যদিকে, বিশ্বের জন্য তার ভাষণে প্রচ্ছন্ন হুমকি আছে, যা বিশ্বের রাষ্ট্রসমূহ বিশেষত ক্ষুদ্র ও কম শক্তিশালী রাষ্ট্রগুলোর উদ্বেগের কারণ হিসেবে বিবেচিত হতে পারে। বিশ্বের গতিধারা বা পথচলা কিভাবে যুক্তরাষ্ট্র নির্ধারণ করবে, এই প্রশ্নটি খুবই গুরুতর। রাশিয়া কিংবা চীন অথবা অন্যান্য শক্তিধর রাষ্ট্রকে নিয়ন্ত্রণ বা প্রভাবিত করার ক্ষমতা কি যুক্তরাষ্ট্রের আছে? ক্ষুদ্র ও দুর্বল রাষ্ট্রগুলো যুক্তরাষ্ট্রের টার্গেটে পরিণত হতে পারে, এরূপ আশঙ্কা তাই অমূলক নয়।
প্রেসিডেন্ট হিসেবে ট্রাম্প কিভাবে রাষ্ট্র পরিচালনা করবেন, জনগণের উন্নয়ন, কল্যাণ, সমৃদ্ধি প্রতিষ্ঠায় কী নীতি-দর্শন অবলম্বন ও পদক্ষেপ নেবেন, কিভাবে প্রান্তিকজনের দারিদ্র্য বিমোচন করবেন, দেশের বাণিজ্যিক ও অর্থনৈতিক স্বার্থ সুরক্ষা করবেন কিভাবে, কিভাবে শিল্প কারখানা ও কর্মসংস্থান বাড়াবেন, এতদিনের অভ্যন্তরীণ নীতি-ব্যবস্থার কোথায় কতটুকু পরিবর্তন আনবেন, সেটা তার বিষয়, তার প্রশাসনের বিষয় এবং ব্যাপক অর্থে যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ বিষয়। এ নিয়ে বাইরের বিশ্বের তেমন কিছু বলা বা করার নেই। কিন্তু যেহেতু বিশ্বের বৃহত্তম পরাশক্তি ও অর্থনৈতিক শক্তি হিসেবে তার অভ্যন্তরীণ নীতির প্রভাব-প্রতিক্রিয়া বিশ্বব্যাপী পড়তে বাধ্য সুতরাং তার অভ্যন্তরীণ নীতি-ব্যবস্থাও বিশ্বের আগ্রহের বাইরে থাকে না। একথা ঠিক, প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রক্রিয়ার শুরু থেকে প্রেসিডেন্ট হিসেবে অভিষেক পর্যন্ত সময়ে ট্রাম্প তার বক্তব্যের মাধ্যমে নানামুখী বিতর্কের জন্ম দিয়েছেন। তিনি কট্টর মার্কিন জাতীয়তাবাদ বা শ্বেতাঙ্গ বর্ণবাদের পক্ষে বক্তব্য দিয়ে মার্কিন ঐতিহ্যবাহী সমাজ ও মানস কাঠামোর ওপর প্রচ- আঘাত করেছেন। এতে সমাজে বিভেদের বিষবাষ্প ছড়িয়ে পড়েছে। তিনি ল্যাটিনোদের বিরুদ্ধে, মুসলমানদের বিরুদ্ধে, অভিবাসীদের বিরুদ্ধে কথা বলেছেন। এতে মার্কিন বহুত্ববাদী সমাজচেতনা ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ক্ষতির শিকার হয়েছে। অধিকাংশ মার্কিনী এটা ভালোভাবে গ্রহণ করেনি। ট্রাম্প এখন যাই বলুন, মার্কিন জনগণের ঐক্য, সংহতি ও সমতা ছাড়া তার পক্ষে যুক্তরাষ্ট্রকে এগিয়ে নেয়া সম্ভব নয়। তিনি যদি জনগণকে বিশৃঙ্খল ও বিভাজিত রেখে এগুতে চান, তবে খুব বেশী দূর যেতে পারবেন না। যে কোনো রাষ্ট্রে ক্ষমতার পালাবদল হলে কিছু পরিবর্তন হয়ই। তবে সেই পরিবর্তন সব ক্ষেত্রে আমূল হয় না। অনেক কিছুরই ধারাবাহিকতা বহাল থাকে। ট্রাম্প তার দায়িত্বভার গ্রহণ করার পরই ওবামা কেয়ার কর্মসূচী বাতিল করেছেন। বলেছেন, এর বদলে নতুন কর্মসূচী দেয়া হবে। ওবামা কেয়ার বাতিলে অন্তত দু’কোটি লোক ক্ষতিগ্রস্ত হবে। শুধু পরিবর্তনের জন্য পরিবর্তন কোনো মঙ্গল বয়ে আনে না। তিনি বিদেশী পণ্যের ওপর শুল্ক আরোপ করে বাণিজ্য নিয়ন্ত্রণের কথা শুরু থেকেই বলে আসছেন। সেটা করলে মার্কিন জনগণই সবচেয়ে বেশী ক্ষতির মধ্যে পড়বে বলে বিশ্লেষকদের ধারণা। বলা নিষ্প্রয়োজন, ক্ষমতার বাইরে থেকে অনেক কিছুই বলা যায়, অনেক প্রতিশ্রুতিও দেয়া যায়। কিন্তু চেয়ারে বসলে সেই কথা ও প্রতিশ্রুতির ষোলআনা রক্ষা করা অধিকাংশ ক্ষেত্রেই অসম্ভব বলে নির্ণীত হয়। দেখা যাচ্ছে, ট্রাম্প অভ্যন্তরীণ ক্ষেত্রে এতদিন যা বলে এসেছেন, বাস্তবে হয়তো তা বাস্তবায়নের পথেই হাঁটবেন। এর ফল কি হবে, আগামী দিনগুলোতেই তা প্রত্যক্ষ করা যাবে।
যুক্তরাষ্ট্র তার নিজস্ব স্বার্থের বাইরে একচুলও এদিক-ওদিক যায় না। বিশ্ব পরিস্থিতির নানা দিকে, তা রাজনীতি, অর্থনীতি, কূটনীতি যাই হোক না কেন সর্বত্র যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাব বিদ্যমান রয়েছে। এই প্রেক্ষাপটে ট্রাম্প নানা বিষয়ে অনেক কথা, অনেক ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি ক্ষমতায় এলে ল্যাটিন আমেরিকানদের ঝেঁটিয়ে বিদায় করবেন, মেক্সিকোর বর্ডারে দেয়াল তুলবেন, মুসলমানদের ঢুকতে দেবেন না, চীনা ও মেক্সিকান পণ্যের ওপর করারোপ করবেন, রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তুলবেন ইত্যাদি বলার পাশাপাশি, ইরানের পারমাণবিক চুক্তি, উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক, ন্যাটো, ব্রেক্সিট, ফ্রান্সসহ ইউরোপীয় মিত্রদের বিষয়ে বহু কথা বলেছেন। তার এসব বক্তব্যে সবাই কমবেশী ক্ষুব্ধ, অসন্তুষ্ট ও নাখোশ। তাদের মধ্যে সঙ্গত উদ্বেগ-বিচলনও রয়েছে। অনেকে মনে করেন, আনপ্রেডিকটেবিলিটি হচ্ছে তার চরিত্রের একটি বড় বৈশিষ্ট্য। এ কথা কে না জানে, প্রেসিডেন্ট বুশ যে আগ্রাসী পররাষ্ট্রনীতি অনুসরণ করেছেন তার ফল যুক্তরাষ্ট্রসহ গোটা বিশ্ব ভোগ করছে। ওবামা যুগ পার হলেও বিশ্ব পরিস্থিতির তেমন কোনো পরিবর্তন আসেনি। ক্ষেত্র বিশেষ নতুন নতুন সমস্যা ও জটিলতা দেখা দিয়েছে। আফগানিস্তান-পাকিস্তান থেকে মধ্যপ্রাচ্যের বহু দেশেই বিরাজ করছে অস্বাভাবিক পরিস্থিতি, যার জন্য প্রধানত যুক্তরাষ্ট্রই দায়ী। বিশ্ব অর্থনীতির দিক দিয়েও কোনো সুখবর নেই। দীর্ঘমেয়াদী মন্দার কবলে রয়েছে গোটা বিশ্বই। বিশ্ব রাজনীতি ও অর্থনীতির এই নাজুক অবস্থা উত্তরণে যুক্তরাষ্ট্রের সদিচ্ছা ও সক্রিয় ভূমিকা অনস্বীকার্য। কিন্তু এর মধ্যেই যে আলামত পরিদৃষ্ট হয়ে উঠেছে, তা বিশ্ববাসীকে আশ্বস্ত না করে বরং শংকিত করে তুলেছে। নিকট প্রতিবেশীসহ ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে অসদ্ভাব, চীনের সঙ্গে বিরোধ, মুসলিম দেশগুলোর সঙ্গে বিরূপ আচরণ ইত্যাদি যুক্তরাষ্ট্রের জন্য কোনো ভালো ফল বয়ে আনতে পারবে না। রাশিয়া, উত্তর কোরিয়া, তাইওয়ান প্রভৃতি দেশের সঙ্গে সুসম্পর্ক কোনো উপযুক্ত বিকল্প নয়। যুক্তরাষ্ট্র শুধু মার্কিন জনগণের জন্য নয়, তার অবস্থানগত কারণে বিশ্বের জনগণের জন্যও তার অনেক কিছু করার আছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে ট্রাম্পকে এই অনিবার্য সত্য উপলব্ধি করতে হবে। সে অনুযায়ীই তার নীতি-পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। তাহলে যুক্তরাষ্ট্র যেমন এগিয়ে যাবে বিশ্বও তেমনি এগুতে থাকবে। বিশ্বের শান্তি, নিরাপত্তা, স্থিতিশীলতা, অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও সমৃদ্ধি অনেকাংশেই যুক্তরাষ্ট্রের ওপর নির্ভর করে বলে এই নির্ভরতার বিষয়টি ট্রাম্পকে বিবেচনায় রাখতে হবে এবং তিনি তা রাখবেন বলেই বিশ্ববাসীর প্রত্যাশা। একথা মনে রাখা দরকার, কোনো রাষ্ট্র, তা সে যত শক্তিধর ও প্রভাবশালীই হোক না কেন, বিশ্বের গতিধারা ঠিক করা বা নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতা রাখে না। এ ধরনের চেষ্টা বিশ্বের জন্য এবং সেই দেশের জন্যও অত্যন্ত হুমকিস্বরূপ ও অকল্যাণকর বলে পরিগণিত হতে বাধ্য। সদ্ভাব, সুসম্পর্ক, শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান ও পারস্পরিক সহযোগিতাই সকলের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ কল্যাণ নিশ্চিত করতে পারে। বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক স্বাভাবিক ও হৃদ্যতাপূর্ণ। যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষমতার পালাবদল এই সম্পর্কের ক্ষেত্রে কোনো বিরূপ প্রভাব ফেলবে না বলেই আমরা আশা করি। বাংলাদেশকে অবশ্যই সতর্ক থাকতে হবে অন্যান্য স্বার্থসহ বাণিজ্যিক স্বার্থের ব্যাপারে। যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের গার্মেন্ট পণ্যের বড় ক্রেতা। জিএসপি সুবিধা অনেক আগে থেকেই নেই। নতুন প্রশাসন বিদেশী পণ্যের ওপর বাড়তি শুল্ক বসালে বাংলাদেশ ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারে। এখনই এদিকে দৃষ্টি দিতে হবে। নতুন প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করতে হবে। আর ক্ষমতাসীন নেতাদের কথা বলার ক্ষেত্রেও বাক-সংযম প্রদর্শন করতে হবে। অতীতে এ জন্য কিছু না কিছু খেসারত দিতে হয়েছে। গার্মেন্ট পণ্য আমাদের রফতানি আয়ের বড় উৎস। এই উৎসে যাতে ভাটার টান না পড়ে সেটা দেখতে হবে। অ্যাকর্ড-অ্যালায়েন্সের একটা খবরদারি-নজরদারি রয়েছে, আমরা জানি। কর্মপরিবেশ নিয়ে তাদের অবস্থান ভূমিকা মানতে আমরা রাজি। কিন্তু সম্প্রতি অ্যাকর্ড শ্রমিকদের মজুরি বাড়ানোর জন্য তাকিদ দিয়েছে। এটা এক ধনের হস্তক্ষেপের শামিল। এ ব্যাপারে শক্ত প্রতিক্রিয়া বাংলাদেশের দেখানো উচিৎ। এই শিল্পের বিকাশ ও বাণিজ্য সম্প্রসারণে তাদের কোনো অবদান নেই। এ সম্পর্কে সতর্ক থাকার পাশাপাশি জনগণকেও বিষয়টি জানানো আবশ্যক। যা হোক, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বিনিয়োগ, উন্নয়ন-অংশীদারিত্ব ও ব্যবসা-বাণিজ্যের যে সম্পর্ক রয়েছে তা অব্যাহত থাকবে, এটাই আমরা বিশ্বাস করি। পরিশেষে নতুন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাফল্য কামনা করি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন