ঢাকার সাভারে সাংবাদিককে মারধর ও চাঁদা দাবির অভিযোগে সাভার মডেল থানার এক দারোগাসহ চারজনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
সোমবার চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলাটি (সিআর মামলা নং-৫১/২০১৭) দায়ের করেন সাভার প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও একাত্তর টেলিভিশনের প্রতিনিধি মিঠুন সরকার।
মামলার আসামীরা হচ্ছে- স্বরবর্ণ মাল্টিমিডিয়ার কর্ণধার অভিজিৎ রায় ওরফে অজয়, সাভার মডেল থানার এসআই কবীর হোসেন, ডগরমোড়া এলাকার বিজয় চন্দ্র রায় ও আশুলিয়ার কুড়গাঁও এলাকার রফিকুল ইসলাম।
অতিরিক্ত চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোস্তাফিজুর রহমান মামলাটি এফআইআর হিসেবে নথিভুক্ত করার জন্য সাভার মডেল থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার বাদী মিঠুন সরকার জানান, সাভারের শাহীবাগ এলাকায় অবস্থিত স্বরবর্ণ মাল্টিমিডিয়ার কর্ণধার অজয় রায় কালিনগর এলাকার আনোয়ার হোসেনের মেয়ে আখি আক্তারকে (১৭) গতবছরের ৯ডিসেম্বর সকালে নায়িকা বানানোর প্রলোভন দিয়ে তার অফিসে নেয়ার পর থেকেই নিখোঁজ হয়।
পরে বিভিন্ন স্থানে পরিবারের পক্ষ থেকে খোঁজাখুঁজি করে তার কোন হদিস না পেয়ে সাভার মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (নং-১০১৬) করেন আখির মা খাদিজা বেগম। ডায়েরির তদন্তভার দেয়া হয় সাভার মডেল থানার এসআই কবীর হোসেনকে।
মিঠুন আরও জানায়, এনিয়ে সংবাদ প্রকাশ করায় ক্ষিপ্ত হয়ে আসামীরা রোববার ওয়াদা রোডের অফিসে এসে আমাকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল, মারধর ও অফিসে ভাংচুর করে। এছাড়া তারা এক লাখ টাকা চাঁদা দাবী করে। টাকা না দিলে প্রাণনাশেরও হুমকি দেয়।
পরে আমি সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে আদালতে মামলা দায়ের করি -বলেন তিনি।
মামলায় নিখোঁজ আখির বাবা আনোয়ার হোসেনকে ২নং স্বাক্ষী করা হয়েছে।
তবে মামলার ২নং আসামী সাভার মডেল থানার এসআই কবীর হোসেন অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
এদিকে মিঠুন সরকারের উপর হামলার ঘটনায় সাভার প্রেসক্লাবের সকল সাংবাদিকরা নিন্দা জানিয়ে জড়িতদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার দাবী জানিয়েছেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন