স্টাফ রিপোর্টার : দেশে নিরাপদ খাদ্য সরবরাহ বৃদ্ধির জন্য একটি আন্তর্জাতিক মানের খাদ্য নিরাপত্তা ও মান প্রশিক্ষণ কেন্দ্র গড়ে তোলার তাগিদ দিয়েছেন খাদ্য বিজ্ঞানী ও পরীক্ষকরা। তারা বলেন, এ প্রতিষ্ঠান থেকে খাদ্য শিল্প উদ্যোক্তা, বিজ্ঞানী, গবেষক, প্রযুক্তিবিদ ও পরীক্ষকরা নিরাপদ খাদ্যসম্পর্কিত যাবতীয় আইন, বিধি, প্রযুক্তি ও অবকাঠামো সম্পর্কে বাস্তব ধারণা পাবেন। এর ফলে দেশে নিরাপদ খাদ্য উৎপাদনের জন্য প্রয়োজনীয় গবেষণাগার ও মান নির্ণয়ক অবকাঠামো গড়ে উঠবে।
গতকাল (সোমবার) বাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেশন বোর্ড (বিএবি), বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ এবং জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি বিষয়ক সংস্থার (এফএও)যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত ‘বাংলাদেশের খাদ্য পরীক্ষাগার সম্পর্কিত আলোচনা’ শীর্ষক কর্মশালায় এ পরামর্শ দেওয়া হয়।
রাজধানীর বিদ্যুৎ ভবনের মুক্তি হলে দিনব্যাপী এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম সমাপনী অধিবেশনে উপস্থিত ছিলেন।
বিএবি মহাপরিচালক মো. আবু আবদুল্লাহর সভাপতিত্বে অধিবেশনে কর্মশালার সুপারিশমালা তুলে ধরেন এফএও’র বিশেষ কারিগরি পরামর্শক অধ্যাপক এলান রেইলি।
অন্যদের মধ্যে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মুস্তাক হাসান মো. ইফতেখার, এফএও’র বাংলাদেশস্থ প্রতিনিধি মাইক রবসন বক্তব্য রাখেন। কারিগরি সেশনে বিএসটিআই ও বিসিএসআইআরয়ের খাদ্যবিজ্ঞানীরা মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।
কর্মশালায় বক্তারা বলেন, বাংলাদেশে নিরাপদ খাদ্যের সরবরাহ বাড়াতে ফুড সেফটি নেটওয়ার্ক শক্তিশালী করা প্রয়োজন। এ লক্ষ্যে সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে স্থাপিত গবেষণাগারগুলোর মধ্যে মান ও অবকাঠামো বিষয়ক তথ্য আদান-প্রদানের সুযোগ বাড়াতে হবে। একইসঙ্গে তারা বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থাপিত গবেষণাগারগুলোকে অ্যাক্রেডিটেড করার পরামর্শ দেন।
খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেন, সরকার দেশে খাদ্য নিরাপত্তা জোরদারের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এ লক্ষ্যে নিরাপদ খাদ্য আইন-২০১৩ পাস করা হয়েছে। তিনি বলেন, এ আইন বাস্তবায়নে ইতিমধ্যে সকল প্রকার বিধি, প্রবিধান, গাইডলাইন, সাংগঠনিক কাঠামো অনুমোদনসহ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ গড়ে তোলা হয়েছে।
এশিয়ার অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশে আরো দ্রæততার সাথে এ আইন বাস্তবায়ন করা হবে বলে জানান খাদ্যমন্ত্রী।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশে উৎপাদিত খাদ্যপণ্যের গুণগত মান আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করতে বিদ্যমান খাদ্য পরীক্ষাগারগুলোর আধুনিকায়ন ও অবকাঠামোগত উন্নয়নে করণীয় নির্ধারণের জন্য এ কর্মশালার আয়োজন করা হয়। এতে খাদ্য পরীক্ষাগার, গবেষণাগার, মানবিষয়ক নীতি নির্ধারক সংস্থা ও উন্নয়ন সহযোগী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি এবং শিক্ষাবিদসহ দুই শতাধিক প্রতিনিধি অংশ নেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন