স্টাফ রিপোর্টার : গত অর্থবছরে (২০১৫-১৬) বিশ্বের ১০৪টি দেশে ৮৫ হাজার ২০৮ দশমিক ৬৩ মে. টন পাটজাত দ্রব্য রফতানি করে ৬৫৯ কোটি টাকা (সাবসিডি ব্যতীত) বৈদেশিক মুদ্রা অর্জিত হয়েছে বলে জানিয়েছেন বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী মুহাম্মদ ইমাজ উদ্দিন প্রামাণিক। চলতি অর্থবছরে (২০১৬-১৭) বিজিএমসি এ খাতে ১ হাজার ২৬৩ কোটি ৯৩ লাখ টাকাবৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে বলেও জানান তিনি। গতকাল সোমবার জাতীয় সংসদে দিদারুল আলম, নুরুল ইসলাম মিলন এবং হাজেরা খাতুনের পৃথক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এসব তথ্য জানান।
সংরক্ষিত মহিলা আসনের সদস্য পিনু খানের লিখিত প্রশ্নের জবাবে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী জানান, বাংলাদেশ পাটকল করপোরেশনের (বিজিএমসি) নিয়ন্ত্রণাধীন ২২টি পাটকল বর্তমানে সচল আছে। এ ছাড়া আরও তিনটি নন-জুট মিল ও একটি মিল বন্ধ আছে। বিগত পাঁচ বছরে বিজিএমসি’র নিয়ন্ত্রণাধীন মিলগুলো লাভের মুখ দেখেনি। তবে বর্তমান সরকার এই খাতের উন্নয়নের লক্ষে নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। ‘ম্যান্ডেটরি প্যাকেজিং এ্যাক্ট’ ২০১০ প্রণয়নের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট সবাইকে অবহিত করা হয়েছে। তিনি জানান, বিটিএমসির নিয়ন্ত্রণাধীন রাষ্ট্র মালিকানাধীন বস্ত্রকলের সংখ্যা ২০টি। বিগত অর্থবছরের মধ্যে কোনো মিলই লাভের মুখ দেখেনি। বন্ধ ও লোকসানি বস্ত্র কলগুলো লিজ দেবারও কোনো পরিকল্পনা নেই বলে জানান তিনি।
মো. মনিরুল ইসলামের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, দেশে বাৎসরিক বস্ত্রের চাহিদার পরিমাণ প্রায় ২ হাজার ৪০০ মিলিয়ন মিটার, উৎপাদন হয় ১ হাজার ৭০০ মিলিয়ন থেকে ২০০০ মিলিয়ন মিটার। প্রায় ৪৯০ মিলিয়ন মিটার কাপড় বিদেশ হতে আমদানি করতে হয়। আ খ ম জাহাঙ্গীর হোসাঈনের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, আমাদের বস্ত্রশিল্প কারখানাগুলো দেশের অভ্যন্তরীণ চাহিদার ৭০-৮৩ শতাংশ মেটাতে সক্ষম।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন