শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মহানগর

২০১৬ সালে সার্বিকভাবে সাফল্য লাভ করেছে গ্রামীণফোন

প্রকাশের সময় : ২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭, ১২:০০ এএম | আপডেট : ১২:০৭ এএম, ২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭

আয় ১১ হাজার ৪৯০ কোটি টাকা
স্টাফ রিপোর্টার : ২০১৬ সালে সার্বিকভাবে সাফল্য অর্জন করেছে বেসরকারি মোবাইল ফোন অপারেটর গ্রামীণ ফোন। পুরো বছরে অপারেটরটি রাজস্ব আয় করেছে ১১ হাজার ৪৯০ কোটি টাকা। এই সময়ে প্রতিষ্ঠানটির বার্ষিক প্রবৃদ্ধি ৯ দশমিক ৬ শতাংশ। গত মঙ্গলবার রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে গ্রামীণফোনের বার্ষিক প্রতিবেদন প্রকাশ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এসব তথ্য জানানো হয়। অনুষ্ঠানে গ্রামীণ ফোনের পক্ষ থেকে বলা হয়, ২০১৬ সালে নতুন গ্রাহক এবং সেবা থেকে অর্জিত রাজস্ব (আন্ত:সংযোগ আয় ব্যতীত) বেড়েছে ১২ শতাংশ এবং সেই সাথে ডাটা রাজস্বের প্রবৃদ্ধিও অব্যাহত ছিল। ডাটা থেকে অর্জিত রাজস্ব বেড়েছে ৬৯ দশমিক ৭ শতাংশ, ডাটা গ্রাহক ৫৬ দশমিক ১ শতাংশ ব্যবহারের পরিমাণ বেড়েছে ১৬৭ দশমিক ৯ শতাংশ। ব্যবহৃত মিনিটের পরিমাণ বাড়ার ফলে ভয়েস থেকে অর্জিত রাজস্ব বেড়েছে ৫ দশমিক ১ শতাংশ। চতুর্থ প্রান্তিকে নতুন গ্রাহক ও ট্রাফিক রাজস্ব (ইন্টারকানেকশন বাদে) ২০১৫ এর একই সময়ের তুলনায় ১২ দশমিক ২ শতাংশ বেড়েছে। গ্রামীণ ফোন ৫ কোটি ৮০ লাখ স্বক্রিয় গ্রাহক নিয়ে বছরটি শেষ করেছে যেখানে প্রবৃদ্ধির হার ছিল ২ দশমিক ২ শতাংশ। গত বছর গ্রামীণ ফোনে যুক্ত হয়েছে ৮৮ লাখ ডাটা গ্রাহক। এর ফলে মোট গ্রাহকের ৪২ দশমিক ৩ শতাংশ ইন্টারনেট সেবা ব্যবহার করছে।
গ্রামীণ ফোনের সিইও পেটার ফারবার্গ বলেন, ২০১৬ ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে গ্রামীণফোনের জন্য একটি সার্বিক সাফল্যের বছর। ডাটা রাজস্বের অব্যাহত প্রবৃদ্ধির পাশাপাশি ভয়েস খাতেও প্রবৃদ্ধি হয়েছে। এই বছর আমরা সাফল্যের সাথে বায়োমেট্রিক যাচাই প্রক্রিয়া ও ৯০ শতাংশ সাইটে থ্রিজি পৌঁছে দিতে পেরেছি। তিনি আরো বলেন, ভবিষ্যতে আমরা এক বছর আগে স্থির করা প্রমাণিত কৌশলগত অগ্রাধিকার নিয়ে কাজ অব্যাহত রাখব এবং শেয়ারেহাল্ডারদের জন্য মূল্য সংযোজন করব। আয়কর প্রদানের পর ২০১৬ সালে মুনাফা হয়েছে ২ হাজার ২৫০ কোটি টাকা যা ২০১৫ সালে ছিল ১ হাজার ৯৭০ কোটি টাকা। উচ্চ রাজস্ব আয় এবং দক্ষ পরিচালন ব্যয়ের কারণে এবছর ইবিটি হয়েছে ৫৫ দশমিক ৩ শতাংশ মার্জিনসহ ৬ হাজার ৩৮০ কোটি টাকা। এবছর শেয়ার প্রতি আয় ছিল ১৬ দশমিক ৬৮ টাকা।
গ্রামীণ ফোনের সিএফও দিলীপ পাল বলেন, গ্রামীণ ফোন দৃঢ় টপ লাইন এবং পরিচলণ দক্ষতা উদ্যোগ সমূহের কারণে ১৪ দশমিক ৩ শতাংশ রাজস্ব প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে। ৯ দশমিক ৬ শতাংশ রাজস্ব প্রবৃদ্ধির বিপরীতে বড় ধরনের নেটওয়ার্ক সম্প্রাসারণ সত্ত্বেও পরিচলন ব্যয় মাত্র ৬ দশমিক ৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। ২ শতাংশ মার্জিন বৃদ্ধিসহ ইবিটি বেড়েছে ১৩ দশমিক ৮ শতাংশ। তিনি আরো বলেন, আমাদের বিশ্বাস সম্ভাব্য প্রবৃদ্ধি এবং পরিচালন দক্ষতা কোম্পানিকে ভবিষ্যতে লাভজনক থাকতে সহায়তা করবে। বোর্ড অফ ডিরেক্টরস শেয়ারহোল্ডারদের জন্য শেয়ার প্রতি ৯ টাকা লভ্যাংশ সুপারিশ করেছেন।  
সংবাদ সম্মেলনে আরও জানানো হয়, গ্রামীণ ফোন ২০১৬ তে থ্রি-জি নেটওয়ার্ক স্থাপন, টু-জি নেটওয়ার্ক এর মানোন্নয়ন এবং আইটি অবকাঠামোর দক্ষতা বৃদ্ধিতে ২১১০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছে। এদিকে দেশের বৃহত্তম করদাতা গ্রামীণফোন ২০১৬ সালে সরকারি কোষাগারে কর, ভ্যাট, শুল্ক ও লাইসেন্স ফি হিসেবে ৫ হাজার ৮৬০ কোটি টাকা দিয়েছে যা কোম্পানির মোট রাজস্ব আয়ের ৫১ শতাংশ।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন