স্টাফ রিপোর্টার : ভারতীয় নাগরিক জিবরান তায়েবী হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন কারাদÐপ্রাপ্ত আসামি ব্যবসায়ী পুত্র ইয়াছিন রহমান টিটুর রিভিউ আবেদনের ওপর শুনানি শেষ। মামলার রায়ে করা রিভিউ শুনানি শেষে রায় ঘোষণার জন্য অপেক্ষমান (সিএভি) রাখা হয়েছে। প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে ছয় সদস্যের বেঞ্চ বৃহস্পতিবার মামলাটির রায়ের জন্য অপেক্ষমান রেখে আদেশ দেন বলে জানিয়েছেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল এস এম কামরুল হাসান।
রিভিউ আবেদনকারীর পক্ষে ছিলেন খন্দকার মাহবুব হোসেন ও ব্যারিস্টার রোকনউদ্দিন মাহমুদ। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মো. মোমতাজ উদ্দিন ফকির।
মামলায় ২০১২ সালের ১ আগস্ট জিবরান হত্যা মামলায় আপিল বিভাগ সংখ্যাগরিষ্ঠের মতে টিটুর যাবজ্জীবন কারাদÐ বহাল রাখেন। রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে টিটু রিভিউ আবেদনটি করেছিলেন।
জানা যায়, চট্টগ্রাম সেন্ট্রাল মেরিটাইম লিমিটেডের প্রিন্সিপাল রিপ্রেজেনটেটিভ হিসেবে কমর্রত থাকাকালে ১৯৯৯ সালের ৯ জুন অফিস থেকে বাসায় ফেরার পথে জিবরান তায়েবীকে আগ্রাবাদের শেখ মুজিব রোডের চুংকিং রেস্টুরেন্টের সামনে গুলি করে হত্যা করা হয়। পরদিন ডবলমুরিং থানায় জিবরানের এক সহকর্মী জেমস রায় মামলা করেন। জিবরানের বাবা টি এ খান পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের তৎকালীন শীর্ষ কর্মকর্তা ছিলেন। অন্যদিকে আসামি টিটু শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়ী গ্রæপ কেডিএসের চেয়ারম্যান এবং চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন চেম্বারের সভাপতি খলিলুর রহমানের ছেলে।
ওই ঘটনায় করা মামলায় ১৯৯৯ সালের ২২ নভেম্বর আটজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। অভিযুক্তরা হলেনÑ ইয়াছিন রহমান টিটু, মো. ওসমান আলী, আলী আকবর ওরফে দিদারুল আলম, জিল্লুর রহমান, জাহিদ হোসেন ওরফে কিরণ, মো. সিদ্দিক, ওমর আলী ওরফে জাহাঙ্গীর কসাই ও আলমগীর। এ মামলায় ২০০২ সালের ১২ এপ্রিল চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতের রায়ে পাঁচজনকে যাবজ্জীবন কারাদÐ দেয়া হয়। অপর আসামি টিটু, ওমর আলী ও আলমগীর খালাস পান।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন