শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

মহানগর

সরকার অঘোষিত সান্ধ্য আইন জারি করে দেশ শাসন করছে - রিজভী

প্রকাশের সময় : ২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : সরকার অঘোষিত সান্ধ্য আইন জারি করে দেশ শাসন করছে অভিযোগ করেছে বিএনপি। দলটির যুগ্মমহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সরকার ও নির্বাচন কমিশন ‘যমজ ভাই’ এর মতো কাজ করেছে। শতাধিক ইউনিয়নে ক্ষমতাসীনদের হুমকিতে বিএনপির প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমা দিতে দেয়া হয়নি। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই অভিযোগ করেন। নয়া পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এ সম্মেলন হয়।
রিজভী আহম্মেদ বলেন, ইউপি নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার সময় থেকেই শুরু হয়েছে আওয়ামী শাসকগোষ্ঠীর নির্বাচন বিনাশী চরিত্রের বীভৎস আত্মপ্রকাশ। বিরোধী দলের প্রার্থীরা নির্বাচনী কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিতে গেলে তাদেরকে বাধা দেয়া হয় এবং মনোনয়নপত্র ছিঁড়ে ফেলা হয়। এই পর্যন্ত শতাধিক ইউনিয়নের প্রার্থীদের হুমকি দিচ্ছে এবং তাদের জমা না দেয়ার ঘটনার কথা আমরা জানতে পেরেছি। এখনো পুরো তথ্য আমাদের কাছে আসেনি।
তিনি বলেন, ভোটারবিহীন দখলবাজ সরকার আসন্ন ইউপি নির্বাচনকে আরেকটি দখলবাজী মহড়ার একটি উকৃষ্ট মডেল বানাতে চায়। আর সেজন্যই সরকার ও নির্বাচন কমিশন যমজ ভাইয়ের মতো একযোগে কাজ করে চলছে। দেশের জনগণ জানে এই ইউপি নির্বাচনের পরিণতি কী হবে।
রিজভী বলেন, আওয়ামী লীগের দলীয় ইউপি চেয়ারম্যান প্রার্থীরা দলের মনোনয়ন পাওয়াটাকেই বিজয়ী হযেছে বলে মনে করছেন যা ইতিমধ্যে সংবাদপত্রে প্রকাশিত হয়েছে। ফলে এই নির্বাচনটা সরকার নিজের মনের মাধুরী দিয়ে যে সাজিয়ে রেখেছেন মনোনয়নপত্র জমার শেষ তারিখের বিভিন্ন ঘটনাবলী এই বিষয়ে আর কোনো সন্দেহ আছে বলে মনে হয় না।
সংবাদ সম্মেলনে রিজভী জানান, বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলার সব ইউনিয়ন, সদর উপজেলার বারুইপাড়া, ডেমা, বেমরতা, খানপুর, ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার মোল্লার হাট, রানা পাশা, কুলকাঠি, খুলনার তেরখেদা উপজেলার ছাগলাদহ, আজগড়া, বারাসাত, মধুপুর, তেরখেদা ইউনিয়ন, সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের বিএনপি দলীয় প্রার্থীদের হুমকি প্রদান এবং তাদের মনোনয়নপত্র জমা দিতে দেয়া হয়নি।
এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট স্থানীয় প্রশাসনকে জানিয়েও কোনো প্রতিকার পাওয়া যায়নি বলে জানান রিজভী।
মুন্সিগঞ্জের সিরাজদি খান উপজেলার জইনশার ইউপি নির্বাচনে দলের প্রার্থী নাজিমমুদ্দিন, সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলায় যুগীখালী ইউপির প্রার্থী রবিউল ইসলাম, সোনাবাড়ীয়া ইউপি প্রার্থী শহীদুল ইসলাম, দেয়াড়া ইউপি প্রার্থী ইব্রাহিম হোসেন, কয়লা ইউপি প্রার্থী আব্দুর রকীব ও কেরালকাতা ইউপি প্রার্থী জহুরুল ইসলামকে মনোনয়ন পত্র জমা দিতে দেয়া হয়নি বলে রিজভীর অভিযোগ।
তিনি বলেন, আওয়ামী শাসকগোষ্ঠী যেন মনে হয়, অঘোষিত সান্ধ্য আইন জারি করে দেশ শাসন করে যাচ্ছে। এখানে গণতন্ত্রের পক্ষে কথা বললে তার বিরুদ্ধে নাশকতার মামলা হয়, মিছিল সমাবেশ করলে গুলি চালানো হয়, সংবাদপত্রে কথা বললে সম্পাদককে জেলে থাকতে হয়, রাজণৈতিক বন্দি জামিনে মুক্তি পাওয়ার পরও জেল গেইট থেকে বার বার গ্রেপ্তার করা হয়। এসব নিষ্ঠুর দমনপীড়ন, হামলা-মামলা করা হয় পুলিশি ক্ষমতার যথেচ্ছা প্রয়োগের মাধ্যমে।
এই অবস্থা থেকে উত্তরণে সরকার পতনের কোনো বিকল্প নেই মন্তব্য করে রিজভী বলেন, একমাত্র আন্দোলনের পথই হচ্ছে চূড়ান্ত পথ। এই সরকারের অধীনে নির্বাচন মানেই দখলবাজী আর কেড়ে নেয়ার মহোৎসব।
সংবাদ সম্মেলনে রিজভীর পাশে অর্থনৈতিক সম্পাদক আবদুস সালাম, কেন্দ্রীয় নেতা আবদুস সালাম আজাদ, আসাদুল করীম শাহিন, হাবিবুল ইসলাম হাবিব, তাইফুল ইসলাম টিপু প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন