শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

কবে হবে স্বরূপকাঠি পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডের ভাঙা রাস্তাটির কাজ

| প্রকাশের সময় : ৯ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭, ১২:০০ এএম

নেছারাবাদ (পিরোজপুর) উপজেলা সংবাদদাতা : কোনো কোনো জায়গায় ছড়ানো ছিটানো ভাঙা ইট। আবার কোনখানে থেকে ইট ধেবে গেছে মাটির নিচে। অধিকাংশ জায়গার ইট লাপাত্তা হয়ে তৈরী হয়েছে রাস্তায় খানাখন্দে। সামান্য একটু বৃষ্টি হলেই রাস্তা হয়ে ওঠে পিচ্ছিল আর কদমাক্ত বিশেষকরে ভাদ্র আশ্বিনে পানি মৌসুমে নিচু এলাকার ওই রাস্তাটি বেশীরভাগ জায়গা দিয়ে তলিয়ে যায় দেড় থেকে দুই ফুট পানিতে। তখন আর কার যেন বোজার  উপায় থাকেনা এটি রাস্তা না খাল। এ হল নেছারাবাদ উপজেলার স্বরূপকাঠি ‘ক’ শ্রেণীর পৌরসভার জগৎপট্টি ৭নং ওয়ার্ডের  মোদাচ্ছের মিস্ত্রির বাড়ির পাশ হয়ে যাওয়া চৌকিদার বাড়ির শামসু ব্রিজ পর্যন্ত কয়েক শতাধিক মানুষের চলাচলের একটি মাত্র সড়ক।
পৌরসভার জগৎপট্টির ৭ নং ওয়ার্ডের বিশেষভাবে চৌকিদার বাড়ীর ত্রিশটিরমত বাসাবাড়ির লোকসহ ৮নং ওয়ার্ডের বেশকিছু মানুষের অভ্যন্তরিন চলাচলের অন্যতম সহজতর সড়ক এটি। তাছাড়া এ রাস্তা দিয়ে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষিকাসহ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা চলাফেরা করে। ওয়ার্ডের অন্যান্য এলাকার চেয়ে এলাকাটি খুবই নিচু হওয়ায় খালসংলগ্ন ওই রাস্তাটি ভরা পানি মৌসুমে তলিয়ে যায় পানির নিচে। বর্ষায় কাঁদায় প্রায় চলাচলের অনুপযোগী হওয়ায় তখন আর দুর্ভোগের সীমা থাকেনা এলাকাবাসীসহ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের। রাস্তাটির দৈর্ঘ্য প্রায় আধা কিলোমিটারমত। পৌরসভার জন্মলগ্নের আধি ভাঙাচোরা জরাজীর্ন এ সড়কটিতে মাটি বালু ফেলে উঁচু করে বেঁধে একটি মজবুত রাস্তা নির্মাণের জন্য এলাকাবাসী কর্তৃপক্ষকে বছরের পর বছর অবগত করে গেলেও আমলেই নিচ্ছেননা কেউ। স্বরূপকাঠি পৌরসভার জন্মলগ্ন ১৯৯৮ইং এর দু‘তিন বছরের মধ্যে ওয়ার্ডে এটি সলিং রাস্তা নির্মাণ করা হয়েছিল। সেই থেকে রাস্তাটি দিয়ে রিকশা, ভ্যান সাইকেলসহ দূরদূরান্তের পথচারিরাও নানান প্রয়োজনে সহজে চলাফেরা করত। পুরানো এ রাস্তাটি এখন মেরামত ও সংস্কারের অভাবে বিগত কয়েক বছর রিকশা, ভ্যানতো দূরের কথা রাস্তা দিয়ে এই শুকনো মৌসুমেও স্থানীয় বাসিন্দাদের চলাও বিষম দায় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, ভাঙাচোরা এ সলিং রাস্তাটির অধিকাংশ জায়গা দিয়েই নাই রাস্তার কোন চিহ্ন। যেটুকু রয়েছে তা আবার জায়গা জায়গা দিয়ে কেবল খানাখন্দ। রাস্তার কোনো কোনো জায়গা দিয়ে ইট উঠে সৃষ্টি হয়েছে বিশাল আকার গর্তের। উঠে যাওয়া রাস্তার সে সব ইট হয়ে গেছে লাপাত্তা। রাস্তাটির ভিতরে টনু মিয়ার বাড়ি থেকে শামসু ব্রিজ পর্যন্ত এতটাই বেহাল অবস্থা যা বলার অপেক্ষা রাখে না।


 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন