স্টাফ রিপোর্টার : ব্যর্থতার হতাশা থেকে বিএনপি বেপরোয়া দলে পরিণত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, বেপরোয়া চালকের মতো বিএনপি এখন বেপরোয়া দল হয়ে পড়েছে। জানি না বেপরোয়া চালকের মতো তারা আবার কখন রাজনীতিতে দুর্ঘটনা ঘটিয়ে ফেলে। বিএনপি তাদের ভুল রাজনীতির কারণে আন্দোলন ও নির্বাচনে ব্যর্থ হয়ে হতাশায় বেপরোয়া হয়ে উঠেছে।
গতকাল শুক্রবার রাজধানীর কাকরাইলে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী যুবলীগের এক অনুষ্ঠানে নতুন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নুরুল হুদাকে নিয়ে বিএনপি নেতাদের বক্তব্যের জবাবে ওবায়দুল কাদের এ মন্তব্য করেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আমি তো এর আগেও বলেছি, আন্দোলনে ও নির্বাচনে ভুল করে ব্যর্থ হয়ে বিএনপি হতাশায় বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। বেপরোয়া চালকের মতো বিএনপি এখন বেপরোয়া দল। বেপরোয়া চালক যেমন দুর্ঘটনার কারণ, আমি জানি না, বিএনপি আবার কখন কোন দুর্ঘটনা রাজনীতিতে ঘটিয়ে বসে।
এর আগে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী নতুন সিইসি’র বক্তব্যকে আওয়ামী লীগের মুখপাত্রের মতো বলে অভিহিত করেন। এর জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি নেতারা কখন যে কী বলে তারা নিজেরা ছাড়া কেউ জানে না। নতুন প্রধান নির্বাচন কমিশনার আওয়ামী লীগের লোক, বিএনপির এমন বক্তব্যের জবাবে কাদের বলেন, বিএনপি ছাড়া আর কেউ কি এটা মনে করেছে? আসলে বিএনপি কখন কি বলে তা নিজেরাও জানে না।
‘যুবজাগরণ লাইব্রেরি ও গবেষণা কেন্দ্রের’ উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের বই পড়ার পরামর্শ দিয়ে বলেন, রাজনীতি অশিক্ষিত-অর্ধশিক্ষিত লোকে ভরে গেছে। রাজনীতি করতে হলে রাজনৈতিক কর্মীদের পড়াশোনা করতে হবে। নিজেদের যোগ্যতা অর্জন করতে হবে। আওয়ামী যুবলীগ সভাপতি ওমর ফারুক চৌধুরী প্রতিষ্ঠিত যুবলীগের গবেষণা কেন্দ্র হতে প্রকাশিত জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর আদর্শ এবং রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার রাজনৈতিক দর্শনভিত্তিক গ্রন্থের লাইব্রেরি ‘যুবজাগরণ’র উদ্বোধন করেন ওবায়দুল কদের।
যুবলীগের লাইব্রেরি প্রতিষ্ঠার উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে কাদের বলেন, অশিক্ষিত-অর্ধশিক্ষিতদের দিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে ভরে গেছে। রাজনীতিতে পড়াশুনার কোনো বিকল্প নেই।
ছুটির দিন ছাড়া রাজধানীতে কোনও জনসভা করতে দেয়া হবে না জানিয়ে সেতুমন্ত্রী বলেন, আমরা রাজনীতি করি জনগণের জন্য। মানুষের দুর্ভোগ হয়, কষ্ট পায়- এমন কর্মসূচি আমরা গ্রহণ করবো না। এ জন্য আগামী মার্চে তিনটি জাতীয় দিবসে জনসভা বা মিছিলের পরিবর্তে ঘরোয়া আলোচনা সভার আয়োজন করা হবে। কারণ, কর্মসূচি দিয়ে মানুষের ভোগান্তি করতে চাই না। তিনি বলেন, এসব দিনে আমরা জনসভার কর্মসূচি বাদ দিয়ে ঘরোয়া অনুষ্ঠান করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এটা আমরা করেছি জনগণের স্বার্থে। কারণ, আমরা রাজনীতি করি জনস্বার্থে। জনগণ বিরক্ত হয় এমন কর্মসূচি থেকে আমরা বিরত থাকব।
যুবলীগ চেয়ারম্যান বলেন, রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা বিশ্ব শান্তির দর্শন ‘জনগণের ক্ষমতায়ন’ এর পতাকাবাহী সংগঠন হলো আওয়ামী যুবলীগ। এই দর্শনের মূল কথা হল জনগণের সম্মিলিত অংশগ্রহণের মাধ্যমে ক্ষুধা, দারিদ্র্য, বৈষম্যমুক্ত একটি শান্তিময় ও প্রগতিশীল বিশ্ব গড়ে তোলা। আমরা মনে করি, বাংলাদেশের রাজনীতির এটাই মূল ধারা। যে ধারার প্রবর্তক রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী স¤্রাটের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে যুবলীগের চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশিদ বক্তব্য রাখেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন