সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

খাল ও নালায় স্থাপিত অবৈধ স্থাপনা অপসারণ করা হবে -মেয়র আ জ ম নাছির

প্রকাশের সময় : ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬, ১২:০০ এএম

চট্টগ্রাম ব্যুরো : চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেছেন, আগামী মার্চ ও এপ্রিলে ক্রাশ প্রোগ্রাম পরিচালনা করে নগরীর সবগুলো খাল ও নালার ওপর স্থাপিত সকল ধরনের অবৈধ স্থাপনা অপসারণ করা হবে। পানিবদ্ধতা নিরসনে সকল খাল ও নালার মাটি ও আবর্জনা অপসারণ করে ধারণ ক্ষমতা বৃদ্ধি করা হবে। এ লক্ষ্যে ৪১ ওয়ার্ডে ভিডিও ধারণ করা হয়েছে। ভিডিও দেখে কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে। গতকাল (বুধবার) চসিকের কে বি আবদুচ ছত্তার মিলনায়তনে ৫ম নির্বাচিত পরিষদের ৭ম সাধারণ সভায় সভাপতির বক্তব্যে মেয়র এসব কথা বলেন।
সভায় নির্বাচিত পরিষদের সাধারণ ওয়ার্ড ও সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর, অফিসিয়াল কাউন্সিলরসহ সিটি কর্পোরেশনের বিভাগীয় প্রধানগণ উপস্থিত ছিলেন। সভা পরিচালনা করেন সিটি কপোরেশনের সচিব রশিদ আহমদ। সভায় বিগত ৪ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত ৬ষ্ঠ সাধারণ সভার কার্যবিবরণী অনুমোদন, স্থায়ী কমিটি সমূহের কার্যবিবরণী আলোচনান্তে অনুমোদিত হয়। সভায় সিটি কর্পোরেশনে কর্মরত অস্থায়ী কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বেতন ২৭ শতাংশ থেকে ৩৫ শতাংশ পর্যন্ত বর্ধিত করার সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়। যা জুলাই ২০১৫ থেকে কার্যকরী হবে।
সভায় নগর ভবন নির্মাণের জন্য জনতা ব্যাংক লি. থেকে প্রচলিত সুদের চেয়ে ৩ শতাংশ কম সুদে ঋণ গ্রহণের বিষয়টিও বিবেচনায় আনা হয়। সভায় যে সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষকের স্বল্পতা রয়েছে সে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অতিরিক্ত ক্লাস নেয়ার জন্য মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে দৈনিক ৩শ’ টাকা বেতনের অতিরিক্ত ভাতা প্রদান এবং কলেজের শিক্ষকের ক্ষেত্রে দৈনিক ৪শ’ টাকা অতিরিক্ত ভাতা প্রদানের নীতিগত সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়। মেয়র বলেন, সংসদ সদস্য জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু’র কোটায় চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের অধীনে ৬ তলা বিশিষ্ট ৮টি নতুন শিক্ষা ভবন এবং ৫টি ভবন বর্ধিতকরণের জন্য প্রায় ৪০ কোটি টাকা বরাদ্দ পাওয়া যাবে। তিনি বলেন, শিক্ষা কার্যক্রম আরও প্রসারিত করার লক্ষে সিটি কর্পোরেশন আরও কিছু নতুন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অধিগ্রহণের অপেক্ষায় আছে। মেয়র বলেন, আগামী ৩ দিনের মধ্যে কাউন্সিলরদের কাছ থেকে পরিচ্ছন্ন বিভাগের কর্মীদের তালিকা সংগ্রহ করে প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে সেবক নিয়োগের উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে। তিনি বলেন, ইতোমধ্যে জাইকা, এডিপি ও থোক বরাদ্দ থেকে প্রায় সাড়ে সাতশত প্রকল্পের কার্যাদেশ প্রদান করা হয়েছে। আগামী ৩ বছরের মধ্যে চট্টগ্রাম নগরীতে কোনো রাস্তা আর কাঁচা থাকবে না।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন