বগুড়া অফিস : বগুড়ার শেরপুরে ধর্ষণের ঘটনা প্রমাণিত হওয়ায় এক যুবকের যাবজ্জীবন কারাদ- ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ওই ধর্ষকের আরও এক বছর সশ্রম কারাদ-ের আদেশ দেয়া হয়েছে। এছাড়া ধর্ষণের ফলে জন্ম নেয়া পুত্রসন্তান সাব্বিরের ২১ বছর পর্যন্ত ভরণপোষণের ব্যয়ভার রাষ্ট্র বহন করবে মর্মে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
জেলা বগুড়ার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২-এর বিচারক (জেলা জজ) বেগম মমতাজ পারভীন বুধবার বিকেলে এ রায় ঘোষণা করেন।
দ-প্রাপ্ত আসামি হলেন বগুড়ার শেরপুর উপজেলার জামাইল গ্রামের আলতাফ আলী ম-লের ছেলে মোঃ সাইদুল ইসলাম (৪৮)।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, দ-প্রাপ্ত আসামি একই গ্রামের মোজাহার আলী ম-লের মেয়ে মোছাম্মত ফাহিমা খাতুনকে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে ২০০১ সালের ১৬ জুলাই থেকে বেশ কয়েকবার ধর্ষণ করে। ফলে ফাহিমা অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। পরে বিয়ের প্রস্তাব দিলে শাহিদুল প্রত্যাখান করে এবং ধর্ষণের ঘটনা অস্বীকার করে। এ ঘটনায় বিচার দাবি করে একই বছরের ২০ নভেম্বর ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯(১) ধারায় আদালতে মামলা দায়ের করেন। আদালতের নির্দেশে ধর্ষণের অভিযোগটি শেরপুর থানায় এজাহার হিসেবে রেকর্ড করে তদন্ত শেষে থানার এসআই মোঃ মজিবর রহমান মামলার একমাত্র আসামী শাহিদুলের বিরুদ্ধে ৩১ জানুয়ারী ২০০২ আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে মামলা চলার পর সাক্ষীদের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আদালত গতকাল বিকেলে উপরোক্ত রায় ঘোষণা করে। রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন অ্যাডভোকেট আশেকুর রহমান সুজন। উল্লেখ্য, দ-প্রাপ্ত পলাতক আসামি গ্রেফতারের পর থেকে তার সাজা কার্যকর হবে বলে রায়ে উল্লেখ করা হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন